এক মাসের মধ্যে ঘাতক কামরুলকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব

Kamrul Killerসুরমা টাইমস ডেস্কঃ শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত কামরুল ইসলামকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরত আনা সম্ভব হতে পারে। সৌদি আরবে আটক থাকা কামরুল ইসলামের ব্যাপারে সেখান থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে, এই রাজন হত্যা মামলায় আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে কামরুল ইসলামসহ পলাতক তিনজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। মামলাটির বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও সরকারী আইনজীবীরা।
সিলেটের কুমারগাঁওয়ে ১৩ বছর বয়সী সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যা হয় গত ৮ জুলাই। অন্যতম অভিযুক্ত সৌদি আরব প্রবাসী কামরুল ইসলাম ঘটনার পরদিনই দেশ থেকে পালিয়ে যান। তবে কয়েকদির পর তিনি সৌদি আরবেই ধরা পড়েন।
তাকে হত্যা মামলাটিতে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য এক মাসের বেশি সময় ধরে দেশে ফেরত আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ জানিয়েছেন, কামরুল ইসলামকে ফেরত পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের আবেদন এখন সৌদী কর্তৃপক্ষ অনুমোদন করেছে।
তবে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে সৌদী আরবের আইনগত অনেক প্রক্রিয়া রয়েছে, সেই প্রক্রিয়া এখন চলছে। গোলাম মসিহ উল্লেখ করেছেন, প্রক্রিয়াগুলো শেষ করে কামরুল ইসলামকে চার সপ্তাহের মধ্যে ফেরত আনা সম্ভব হতে পারে।
রাজন হত্যা মামলাটিতে সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে আটক থাকা কামরুল ইসলাম এবং আরও দু’জনকে পলাতক দেখিয়ে তাদেরসহ ১৩জনকে অভিযুক্ত করে রোববার যে চার্জশিট বা অভিযোপত্র দেয়া হয়।
সিলেটের হাকিম আদালত সেই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক তিনজনের বিরুদ্ধের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার পাশাপাশি তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। মলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ আগস্ট। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর মিসবাহউদ্দিন সিরাজ জানিয়েছেন, মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হলেই তা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে নেয়া হবে।
কিশোর রাজনকে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যার দৃশ্য ধারণ করে, সেই ভিডিও ফেইসবুকেও প্রকাশ করা হয়েছিল এবং হত্যার এই ঘটনা সারাদেশে আলোড়ন তুলেছিল। সরকারী আইনজীবীরা উল্লেখ করেছেন,মামলাটিকে সতর্কতার সাথে এবং সর্ব্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলাটিকে এগিয়ে নেয়া হচ্ছে।