শওকত মাহমুদকে ৮০ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

showkotসুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাংবাদিক শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে দায়ের করা পল্টন ও মতিঝিল থানার ৮ মামলায় ৮০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। রোববার মামলাগুলোর তদন্তকারী কর্মকর্তারা একযোগে এই রিমান্ড আবেদন করেন।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার মাহমুদ আদনানের আদালতে আগামীকাল সোমবার সকাল ১১টায় এই রিমান্ড আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে গতকাল শনিবার বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি শওকত মাহমুদকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে জেল হাজতে পাঠায় আদালত।
এদিন তিন দিনের রিমান্ড শেষে মেট্রোপলিট্টন মেজিস্ট্রেট ওয়ায়েজ কুরুলী খান চৌধুরীর আদালতে হাজির করা হলে তার জামিন আবেদন নাকচ করে বিচারক ওই আদেশ দেন।
গত ১৯ আগস্ট শওকত মাহমুদকে আদালতে হাজির করে মগবাজারে গাড়িতে আগুন দেয়ার এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে শওকত মাহমুদকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
আদেশে বলা হয়, সতর্কতার সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের আইন মেনে এবং রিমান্ডে মুখোমুখি হওয়ার শারীরিক সক্ষমতা আছে কি না- তা বিবেচনা করে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হল।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরাজিত প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের সংবাদ সম্মেলনে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার সকালে শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, কয়েকটি মামলা থাকায় শওকত মাহমুদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
গত ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আনিসুল হকের কাছে হেরে যান বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ। মঙ্গলবার পান্থপথের সামারাই কনভেনশন সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে ওই নির্বাচনে ‘কারচুপির অভিযোগ’ তুলে ধরার কথা ছিল তাবিথ আউয়ালের পক্ষে ভোটের প্রচারে কাজ করা আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের নেতাদের। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি শওকত মাহমুদ এর সদস্য সচিব।
যাত্রাবাড়ী থানার নাশকতার মামলায় শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে বলে আগের দিন পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানালেও বুধবার তাকে রিমান্ডে নেয়া হয় রমনা থানার একটি মামলায়। ২০ দলীয় জোটের অবরোধ-হরতালের মধ্যে গত ৯ জানুয়ারি মগবাজারের আউটার সার্কুলার রোডে পেট্রোল ঢেলে একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে এ মামলায়। ওই গাড়ির চালক আবুল কালাম গুরুতর দগ্ধ হয়ে ১৫ জানুয়ারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।