প্রণজিতের স্বীকারোক্তি : জুনিয়র-সিনিয়র বিতর্কে খুন হয় আলী

Pronojeet-Killerসুরমা টাইমস ডেস্কঃ মদন মোহন কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুল আলী খুনের ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জনাববন্দি দিয়েছেন প্রধান আসামি প্রণজিৎ। শনিবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত তিন ঘন্টার টানা জবানবন্দি দেন তিনি। আদালত ৮ পৃষ্ঠায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন।
জবানবন্দিতে খুনের বিষয়টি স্বীকার করে প্রণজিত বলেছেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের মধ্যে আগ থেকেই বিরোধ চলে আসছিল। ১২ আগস্ট দুপুরে মদনমোহন কলেজ ক্যাম্পাসে জুনিয়র-সিনিয়র নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। প্রণজিতের দাবি, এর এক পর্যায়ে আব্দুল আলী তাকে ঘুষি মারেন। তখন ছুরি বের করে প্রণজিত আলীকে আঘাত করেন।
সিলেট মহানগরীর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সুহেল আহমদ স্বীকারোক্তির এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, দুই দিনের রিমান্ডে প্রণজিত আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়। এরপর শনিবার দুপুর ১২ টায় সিলেট মহানগর হাকিম আদালত-৩ এর বিচারক আনোয়ারুল হকের আদালতে তাকে হাজির করা হয়। বিচারকের কাছে বেলা ২টায় পর্যন্ত টানা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন প্রণজিৎ। চার পাতায় (৮ পৃষ্ঠা) সেই জবনবন্দি রেকর্ড করা হয়।
ওসি জানান, মামলার অপর আসামি আঙ্গুর মিয়ার তিন দিনের রিমান্ড চলছে। তিনিও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হবেন বলে মনে করছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বুধবার (১২ আগস্ট) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ক্যাম্পাসে নিজ দলের কর্মীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন আবদুল আলী। আলী একই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ও সিলেটের দণি সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানার নিজ সিলাম গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে। এই ঘটনায় ছাত্রলীগের নয়জনের বিরুদ্ধে ১৩ আগস্ট মামলা করেছেন নিহতের পিতা। ১৩ আগস্ট মামলার প্রধান আসামি প্রণজিতকে দুই দিনের ও ১৪ আগস্ট আঙ্গুর মিয়াকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।