গোলাপগঞ্জে এইচ এসসি পরীক্ষায় পাশের হার ও জিপিএ-৫এর সংখ্যা কমেছে

এমসি একাডেমীর শীর্ষস্থান অক্ষুন্ন

কে.এম আব্দুল্লাহ গোলাপগঞ্জ থেকে ঃ গোলাপগঞ্জে এইচ এসসি পরীক্ষায় পাশের হার ও জিপিএ-৫এর সংখ্যা কমেছে। উপজেলার ১১টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ৮শত ৮৩জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ১ হাজার ৬ শত ৫৩ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৮৭.৭৮%। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬জন। এর মধ্যে ঐতিহ্যবাহী এমসি একাডেমী মডেল স্কুল ও কলেজ থেকেই একক ভাবে পেয়েছে ২৪জন। এবার উপজেলায় জিপিএ-৫ এর সংখ্যা গত বছরের চেয়ে অর্ধেকেরও কমে নেমে এসেছে। পাশের হারও প্রায় ১০% কমেছে।
এমসি একাডেমী মডেল স্কুল ও কলেজ থেকে ৩৭৫জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে ৩৭১ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৯৮.৯৩%, জিপিএ -৫ পেয়েছে ২৪জন। ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ২৭২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে ২৬৪ জন পাশ করেছে পাশের হার ৯৭.০৫%। কুশিয়ারা কলেজ থেকে ১২৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে ১১৫ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৯২.৭৪%, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। ঢাকাদক্ষিণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ২৫৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে ২২৫ জন পাশ করেছে, পাশের হার ৮৮.৫৪%। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। ভাদেশ্বর মহিলা ডিগ্রী কলেজ থেকে ১৬৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে ১৪৪ জন পাশ করেছে, পাশের হার ৮৬.৭৫%, ঢাকাদক্ষিণ ডিগ্রী কলেজ থেকে ৩৪৮জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ২৫৩ জন পাশ করেছে, পাশের হার ৭২.৭০%।
এছাড়া এবছর ১ম বারের মতো উপজেলার ৪টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এইচ এসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সাফল্য লাভ করেছে। তার মধ্যে ফুলসাইন্দ দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ৩৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে ৩৬ জনই পাশ করে, শতভাগ সাফল্য লাভ করেছে। বিএনকে উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ৩৮জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৩৬জন পাশ করেছে, পাশের হার ৯৪.৭৪%। রানাপিং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ৭৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে ৭০ জন পাশ করেছে, পাশের হার ৮৮.৬৮%। রণকেলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫৩ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে ৪৭ জন পাশ করেছে, পাশের হার ৮৮.৬৮%।