রাজন হত্যা : ধরা পড়লো আলীও, ধরে দিলো জনতা

ফাইল ফটো
ফাইল ফটো

সুরমা টাইমস ডেস্কঃ শিশু সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামি আলী হায়দার (৩৪)কে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে জনতা। শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে কুমারগাওয়ের শেখপাড়া থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা আলীকে আটক করে। পরে পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
আলী আগেই গ্রেফতার হওয়া মুহিত আলম ও সৌদি আরবে আটক হওয়া কামরুল ইসলামের ভাই। আলীকে গ্রেফতারের মাধ্যমে আলোচিত এ হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত ৪ আসামীর সবাইকেই গ্রেফতার করা সম্ভব হলো। এজাহারভূক্ত আসামীর বাইরেও এ ঘটনায় আরো ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আলীসহ এজাহারভূক্ত আসামীদের প্রত্যেককেই জনতা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ৩ আসামীকে সিলেটে ও কামরুলকে সৌদিতে আটক করে জনতা। জালালাবাদ থানার ওসি আক্তার হোসেনজানান, আলীকে জালালাবাদ থানায় এনে রাখা হয়েছে।
গত ৮ জুলাই জালালাবাদের কুমারগাঁওয়ের ১৩ বছর বয়সী রাজনকে পিটিয়ে হত্যার পর তার লাশ নিয়ে গাড়িতে করে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী মুহিতকে ধরে পুলিশে দিয়েছিল। তার ভাই কামরুল সৌদি আরবে চলে গেলেও সেখানে প্রবাসীদের সহযোগিতায় তাকে ধরা হয়।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় স্থানীয় চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়নাকেও (৪৫) আসামি করা হয়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় মঙ্গলবার রাতে ময়নাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর বুধবার রাতে একইভাবে ধরা পড়েন নির্যাতনের সহযোগী নুর মিয়া (২০), যিনি সেদিন রাজনকে পেটানোর দৃশ্য ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। ২৮ মিনিটের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।