শমশেরনগর রেল স্টেশনে স্টপেজ আছে -আসন নেই, চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :
সিলেট-চট্টগ্রাম, সিলেট-ঢাকা রেলেপথে গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন মৌলভীবাজারের শমশেরনগর। এখান থেকে চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে কুমিল্লা, লাকসাম ও ফেনির যাত্রীদের জন্য স্টপেজ থাকলেও নেই কোন আসন। যাত্রীরা চট্টগ্রামের টিকেট কিনে অথবা আসনবিহীন অবস্থায় দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করতে হচ্ছে। ঈদের ছুটিতে দুর্ভোগ আরও বাড়ছে যাত্রীদের। ১২ জুলাই রবিবার সকালে শমশেরনগর স্টেশনে গিয়ে দেখা যায় চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, লাকসাম, ও ফেনি স্টেশনের যাত্রীরা নির্ধারিত স্টেশনের টিকেট চেয়েও পাচ্ছেন না। এই তিনটি স্টেশনে স্টপেজ থাকলেও দীর্ঘ দিন ধরে কোন আসন বরাদ্দ হয়নি। এ কারণে যাত্রীরা আসনবিহীন টিকেট কিনে অথবা দিগুণ দামে সরাসরি চট্টগ্রাম স্টেশনের টিকেট কিনতে হচ্ছে। তাও যাত্রী সংখ্যা অর্ধশত থাকলেও শমশেরনগর থেকে চট্টগ্রামের আসন রয়েছে মাত্র ১৫টি। কুমিল্লার যাত্রী খাইরুল ইসলাম ও লাকসামের যাত্রী খলিলুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ১০/১২ বছর আগে কুমিল্লা এলাকায় আন্তনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনা কবলিত হওয়ার পর ট্রেনের বগি কমে যাওয়ায় এই তিনটি স্টেশনের আসন বাতিল করা হয়েছিল। দুর্ঘটনার কিছুদিন পর আন্তঃনগর পাহাড়িকা ট্রেনে নতুন বগি সংযুক্ত হলেও আর শমশেরনগর থেকে কুমিল্লা লাকসাম ও ফেনি স্টেশনের জন্য আসন বরাদ্দ করেনি রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যাত্রীরা আরও জানান, শমশেরনগর থেকে কুমিল্লার ভাড়া ১৩৫ টাকা, লাকসামের ভাড়া ১৫০ টাকা ও ফেনির ভাড়া ১৮০ টাকা হলেও যাত্রীরা সরাসরি চট্টগ্রামের ভাড়া ২৪০ টাকা দিয়ে টিকেট কিনতে হয়। শমশেরনগর স্টেশন মাস্টার আব্দুল আজিজ বলেন, শমসেরনগর স্টেশন থেকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি রাজস্ব আয় হয়। যাত্রী সংখ্যাও অনেক বেশি। দশ বছর ধরে রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে মৌখিক ও লিখিতভাবে আন্তঃনগর পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেসে কুমিল্লা, লাকসাম ও ফেনির জন্য আসন বরাদ্দের আবেদন করা হলেও আজও আসন বরাদ্দ হয়নি।