ঈদ : মিজানুর রহমান মিজান

Eidপ্রতি বৎসর মুসলমানদের ধর্মীয় দু’টি ঈদ উৎসব আসে। একটি ঈদুল ফিতর ও অপরটি ঈদুল আযহা। ঈদ মানে আনন্দ , হাসি , খুশি ও কোলাকুলি। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আসে ঈদুল ফিতর।। রমজানের ত্রিশটি রোজা রাখার পর প্রতিটি মুসলিমের দরজায় কড়া নাড়ে ঈদ। রমজান মানে আত্মশুদ্ধির মাস। হিংসা-বিদ্বেষ , লোভ-লালসা পরিহারের মাধ্যমে সংযম ও সহনশীলতার এক পরিক্ষিত দিনের আগমন। অর্থ্যাৎ ঈদুল আযহার আগমনী বার্তা। ঈদের আনন্দে প্রতিটি মুসলিমের হৃদয় রাজ্যে বয়ে যায় আনন্দের বন্যা। যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। শুধু অনুভব ও অনুভুতিই জন্মে। এটা সার্বজনীন। অবারিত খুশির ঢ়েউ প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির হিসেবকে স্থান করে দেয়। এ সময় কোন অপূর্ণতা স্থান করে নিতে পারে না গহীন হৃদয় তন্ত্রীতে। তাইতো আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা হন আন্দোলিত।
সমতাকে সর্বত্র ছড়িয়ে দেবার এক অপূর্ব বিধান হিসেবে ফিতর ( ফিতরা) প্রদানের বিধি মুসলিম সমাজে প্রচলিত করেছেন বা নির্দেশনা দিয়েছেন মহান আল্লাহ তায়ালা। ধনীরা ফিতরা প্রদান করবেন অসহায় ও দরিদ্রদের মধ্যে। যাতে এ শ্রেণীর মানুষ ঈদের আনন্দে সামিল বা অংশ নিয়ে খুশির বার্তা ভাগাভাগি করতে পারে। উপভোগের ক্ষেত্রে কোন প্রকার বাঁধা গ্রস্থতা , প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কারন হয়ে না দাড়ায়। এ জন্যইতো বলা হয়েছে , ” সকল মুসলিম ভাই ভাই”। তারপর ও অনেক সময় স্থান কাল পাত্র ভেদে ঈদের আনন্দে ভাটা পড়ে। ব্যতিক্রম ছাড়া সবার কাছে কিন্তু ঈদের আনন্দ হানা দেয় , ধরা পড়ে সমতাকে আকড়িয়ে।
ঈদ এলে শিশুদের আনন্দ বেশি। ওরা চায় নুতন নুতন জামা কাপড় , জুতা। এ এক অঘোষিত বায়না। বড়রা তাদের এ বায়নার পরিসমাপ্তি ঘটাতে হিমশীম খেলে ও তৃপ্তি দানের আনন্দে উদ্ভাসিত হন মনের প্লাবিত বন্যায়।

লেখক মিজানুর রহমান মিজান
সভাপতি
বিশ্বনাথ প্রেসকাব , সিলেট।