ওসির সামনে সাংবাদিকের চোখ তুলে নেওয়ার হুমকী ছাত্রলীগ নেতার

ফটো সাংবাদিক ফয়সল আহমেদ মুন্না ও যমুনা টিভি'র ব্যুরো চিফ মাহবুবুর রহমান রিপন
ফটো সাংবাদিক ফয়সল আহমেদ মুন্না ও যমুনা টিভি’র ব্যুরো চিফ মাহবুবুর রহমান রিপন

সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেটে সাংবাদিকের চোখ তুলে নেওয়ার হুমকী দিয়েছেন এক ছাত্রলীগ নেতা। রোববার রাতে নগরীর শামীমাবাদে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আলী আহমদ যমুনা টেলিভিশনের সিলেট ব্যুরো প্রধান মাহবুবুর রহমান রিপনকে এ হুমকী দেন। এসময় উপস্থিত অন্যান্য সাংবাদিকদেরও হুমকী দেন আলী।
সিলেট কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুহেল আহমদের সামনেই ছাত্রলীগ নেতা সাংবাদিকদের হুমকী দিলেও ওসি এসময় নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেন।
জানা যায়, সোমবার রাত ১১ টার দিকে নগরীর ১০ নং ওয়ার্ডের শামিমাবাদ এলাকায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ আলী ও আওয়ামী লীগ নেতা আফতাব উদ্দিনের গ্রুপের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে গুলাগুলির ঘটনাও ঘটে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ঘটনাস্থলে পৌছে সাংবাদিকরা সংঘর্ষের ভিডিও ও ছবি ধারন করতে গেলে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আলী আহমদ তাদের দিকে তেড়ে আসেন। আলী আহমদের তোপের মুখে পড়েন যুমনা টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন, দৈনিক সবুজ সিলেটের স্টাফ ফটোগ্রাফার ফয়সল আহমদ মুন্না ও দৈনিক যুগভেরীর আলোচিত্রী পাপ্পু তালুকদার।
মুন্না সংঘর্ষের ছবি ধারণ করতে গেলে আলী তার সাথে দুর্ব্যবহার করেন ও পাপ্পুর ক্যামেরা থেকে জোরপূর্বক ছবি অপসারণ করে নেন। এসময় যমুনা টেলিভিশনের সিলেট ব্যুরো প্রধান মাহবুবুর রহমান রিপন এগিয়ে গেলে তাকে ‘ ছবি তুললে চোখ তুলে ফেলবো’ বলে হুমকী দেন আলী।
এ ব্যাপারে দৈনিক যুগভেরীর আলোচিত্রী পাপ্পু তালুকদার বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমি ছবি তুলতে চাই। এসময় ছাত্রলীগ নেতা আলী আহমদ আমাকে গালিগালাজ করেন ও ক্যামেরা থেকে জোরপূর্বক ছবি অপসারণ করে ফেলেন। ফটো সাংবাদিক ফয়সল আহমদ মুন্না বলেন, সংঘর্ষের ছবি তুলতে গেলে আলী আহমদসহ ছাত্রলীগনেতারা আমাদের দিকে তেড়ে আসে। তারা আমাদের ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে হুমকী দেয়।
এ ব্যাপারে যমুনা টেলিভিশনের সিলেট ব্যুরো প্রধান মাহবুবুর রহমান রিপন গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাস্থলে যাওয়ার পরপরই আলী আহমদ চিত্র সাংবাদিকদের সাথে দুর্ব্যবহার শুরু করে। আমি তাদের সরিয়ে আনতে গেলে সে আমার চোথ তুলে নেওয়ার হুমকী দেয়।
কতোয়ালি থানার ওসি’র সামনেই আলী আমাকে হুমকী দিলেও তিনি এসময় চুপ করে ছিলেন, বলেন রিপন। এ ব্যাপারে সিলেট কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুহেল আহমদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।