মে দিবসে কাজ করতে অস্বীকৃতি : তিন শ্রমিককে পিটিয়েছেন হোটেল মালিক

Labour Abuse2সুরমা টাইমস ডেস্কঃ গতকাল ছিল মহান মে দিবস। মে দিবসে খানা দানা বেতন সহ ছুটির দাবিতে ৫ এপ্রিল থেকে ১লা মে পর্যন্ত সাংগঠনিক কর্মসূচি প্রদান করে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন। মালিক সমিতি সহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা। স্মারক লিপি থেকে শ্রম প্রতিমন্ত্রিও বাদ পড়েননি। এই দাবিতে শহরে মিছিল মিটিংও করা হয়েছে। গত ২৭ এপ্রিল হোটেল শ্রমিক প্রতিনিধির সাথে মালিক সমিতির একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে মে দিবসে সকল শ্রমিকদের পূর্ণ বেতনে ছুটি মঞ্জুর করেন মালিক পক্ষ। জেলা সহকারী শ্রম পরিচালক মি: শফিকুর রহমান এই ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মধ্যেস্থতা করেন। উনার কার্যালয়ে বসেই মালিক সমিতি পূর্ণ বেতনে ছুটি সহ মে দিবসে কর্মসূচিতে কোন ধরনের ভয়ভীতি বা বাধাপ্রদান করা হবে না বলেও লিখিত প্রতিস্রুতি প্রদান করা হয়। মালিক সমিতি কর্তৃক চুক্তির কাগজ সকল রেষ্টুরেন্টে বিতরণ করেন রেষ্টুরেন্ট মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও লিফলেটের মাধ্যমে শ্রমিক সদস্যকে অবগত করা হয় এমনকি নগরিতে মাইকিং করে বিষয়টি জানানো হয়। মালিক সমিতির কোন সিদ্ধান্তই মানলেন না দক্ষিণ সুরমা কদমতলি বাস টার্মিনালের উদুরে আল-আমিন রেষ্টুরেন্টের মালিক, তিনি মে দিবসে কাজ করার জন্য সকল শ্রমিককে চাপ সৃষ্টি করেন। প্রতিষ্ঠানের ষ্টাফ প্রধান বাবুর্চি আগেই ছুটিতে বাড়ি চলে গেছেন। সহকারী বাবুর্চীকে কাজ করার কথা বল্লে তিনি মে দিবসে ছুটি কাটাবেন বলে জানালেন মালিককে। চা কারিগর কাশেম, বিলাল ও ছুটিতে থাকবেন বলেন। সহকর্মিদের কথা শুনে প্লেইট বয় ১২ বছরের শিশু শ্রমিক ফয়ছল ও কাজ করবে না বলে জানায়। একে একে সকল শ্রমিক মে দিবসে কাজ করবে না জানালেই মাথা গরম হয়ে যায় হোটেল মালিক আলহাজ্ব মিছবাহ উদ্দিনের ছেলে বর্তমান মালিক মোঃ মহসিন এর। তিনি লাঠি দিয়ে বেদম ভাবে পিঠাতে থাকেন শ্রমিকদের। চা কারিগর কাশেম, বিলাল ও শিশু শ্রমিক ফয়সল মালিকের পিঠুনি খেয়ে মাঠিতে লুটিয়ে পড়েন। সহকারী বাবুর্চী অনুকোল দাস সহ অন্যান্ন শ্রমিকরা প্রাণ ভয়ে দৌড়ে প্রাণ বাচান। এই ঘটনা পাশের রেষ্টুরেন্টের শ্রমিকরা জানতে পেরে তিন শ্রমিককে উদ্ধার করে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসে নিয়ে আসেন। সংগঠনের চিকিৎসা বিষয়ক কমিটি তাদেরকে ওসমানি হাসপাতালে নিয়ে যান। ওসমানি হাসপাতালে পাঠানোর প্রাক্কালে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আতাউর রহমান ও সহকারী শ্রম পরিচালক মি: শফিকুর রহমানকে বিষয়টি অবগত করেছেন। আল-আমিন রেষ্টুরেন্টে শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় কাল হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে এক জরুরী সভার আহবান করা হয়েছে।