মার্কিন কংগ্রেসে শুনানী : সংঘাতময় বাংলাদেশ

ANA PIC
বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে শুনানী। ছবি- এনা।

নিউইয়র্ক থেকে এনা: নানামুখী সমস্যায় আক্রান্ত বাংলাদেশকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র সে বিষয়ে কংগ্রেসের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় সাব- কমিটির এক শুনানী গত ৩০ এপ্রিল (নিউইয়র্ক সময়) দুপুরে ওয়াশিংটনের ক্যাপিট্যাল হিলের রেবার্ন ভবনে।
কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান ম্যাট স্যালমন বলেন, বাংলাদেশ একটি সংঘাত ও বিক্ষুদ্ধ দেশ। দেশটি বহুদিন ধরে রাজনৈতিক কোন্দলে আক্রান্ত। ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, মূলত: তখন থেকেই সহিংস, সংঘাত দেশটিতে ব্যাপক আকারে শুরু হয়। প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের কন্দোলনের ফলে কয়েক শত সাধারণ মানুষ প্রাণ হারায়।
তিনি বলেন, সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশে ইসলামি জঙ্গীবাদের উত্থানের সংবাদ। আন্তর্জাতিক ইসলামপন্থী জঙ্গী গোষ্ঠি যখন বিভিন্ন দেশে তাদের যোদ্ধা নিয়োগ দিচ্ছে আর যুক্তরাষ্ট্র যখন দক্ষিণ এশিয়ায় তার অংশিদারদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করছে, তখন বাংলাদেশের অবস্থা সম্পর্কে ভাল ধারণা নেয়াটা যুত্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই লক্ষ্যে এই শুনানিতে বাংলাদেশ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে এই সব কমিটি।
দুপুরে ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার এই শুনানিতে প্যানেল আলোচক হিসাবে অংশ নেন ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আলী রীয়াজ, হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের এশিয়ান স্টাডিজ সেন্টারের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো লিসা কার্টিজ, হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের পরিচালক চে কানসারা, বাংলাদেশে ব্যবসা করেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ফেচলি এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভারত পাকিস্তান ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউনিট্সল অন ফরেন রিলেশনসের সিনিয়র ফেলো আলিসা আয়ার্স।
শুনানিতে নিউইয়র্কের কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং বাংলাদেশের নানান সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন।
এদিকে প্যানেল আলোচকদের একতরফা বক্তব্যে দর্শকসারিতে সমালোচনা শুরু হলে শুনানির দ্বিতীয় পর্বে কোনো কোনো আলোচক বাংলাদেশের সমস্যা, উন্নয়ন ও সাফল্যের বিষয়ে ভারসাম্য বক্তব্য দেন। পরে এসব বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় সাব-কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান ম্যাট সালমন বলেন, এই শুনানি কোনো দেশের বিরুদ্ধে নয়। কোনো দেশের সরকারকে হেয় করার জন্য নয়। বরং একটি দেশ কীভাবে অগ্রগতি অর্জন করতে পারে সে বিষয়গুলো মার্কিন প্রশাসনের নজরে আনা। শুনানীতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।