ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলি : সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ

downloadঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ১৪ নং ওয়ার্ডের একটি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে জাল ভোট দেওয়ার ঘটনায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সেলিমের (ঠেলাগাড়ি) ভাই শাহীনুর রহমান শাহীন (৪৬) ও তার বন্ধু মামুন নামে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন রাইজিংবিডির নিজস্ব প্রতিবেদক ইয়াসিন রাব্বী। নির্বাচনচলাকালীন কেন্দ্র দখল করা নিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মাসুম হাসান শামীমের কর্মীদের ওপর চড়াও হয় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী গোলাম মোস্তফা। এ সময় উভয় গ্রুপের কর্মীরা লাঠি, ছোঁরা, ককটেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। উভয় পক্ষের লোকজন কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময়ও করে। এতে কয়েকজন ভোটারসহ সংবাদকর্মী ইয়াসিন রাব্বী আহত হন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের পর থেকে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের এই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ওই কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চলছিলো। এরপর মো. সেলিমের ভাই শাহীনূর রহমান কয়েকজন কর্মী-সমর্থক নিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে জোর পূর্বক ভোট দেয়ার চেষ্টা করে। এই খবর পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাবুল তার কর্মী সমর্থক নিয়ে গিয়ে প্রতিবাদ করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, একপর্যায়ে মো. সেলিমের সমর্থক ভোটকেন্দ্রের ভিতরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তর্কযুদ্ধে লিপ্ত হন। এ ব্যাপারে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার দুলাল কুমার মণ্ডল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চলছিল। কিন্তু হঠাৎ করে এক কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকেরা জোর করে ভোট দেয়ার চেষ্টা করে। এতে দায়িত্বরত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বাধা দেয়।’ এ ব্যাপারে মো. সেলিমের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে ভোট কেন্দ্রের ভিতর অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাবুল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সকাল থেকেই সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ চলছিল। কিন্তু তারা জোরপূর্বক জাল ভোট দেয়ার চেষ্টায় কেন্দ্র দখল নিতে শুরু করে। এতে আমি বাধা দিতে গেলে তারা আমাকে এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তাহলে কি আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ভাইসহ আরেকজন (শাহীন-মামুন) কার গুলিতে আহত হয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি কিছু বলতে পারবো না। তারা কার গুলিতে আহত হয়েছেন।’ সেই বুথে দায়িত্বরত এক সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তারা পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন। কারণ তারা পুলিশের বন্দুক কেড়ে নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষের লোকজনের উপর গুলি চালাতে চেষ্টা করছিল।’ ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার জানান, ওই কেন্দ্রে মোট ভোটার হচ্ছে ২০৬০ জন। ৫টা বুথে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ওই ১৪ নং ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কোন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না বলেও জানান অনেকে।

বিস্তারিতhttp://bdindex24.com/2015/04/28/5011.html/