গোলাপগঞ্জের বাঘায় ছিনতাইকৃত সিএনজি অটোরিক্সা সহ ৪ ছিনতাইকারী আটক

DSCI0386 copyকে এম আব্দুলাহ গোলাপগঞ্জ প্রতিনধি ঃ গোলাপগঞ্জের বাঘায় ৪ সিএনজি অটোরিক্সা ছিনতাইকারীকে জনতার সহযোগীতায় পুলিশ আটক করেছে। সিলেট নগরী থেকে কানাই ঘাটের রাজাগঞ্জে যাবার কথা বলে সন্ধ্যা রাতে বাঘার একটি নির্জন এলাকায় চালককে মারধর করে পালিয়ে যাবার পথে একজন ধরা পড়ে। পরে ধৃত ছিনতাইকারীর তথ্যের ভিত্তিতে সিলেট নগরীর কাজীর বাজার থেকে আরো তিনজন কে আটক করা হয়।

সিএনজি অটোরিক্সা চালক কানাইঘাট উপজেলার গাছবাড়ী এলাকার চলিতাবাড়ী রাজাপুর গ্রামের রহিম উদ্দিনের পুত্র আব্দুর রহমান(২৮) জানান গত শনিবার রাত অনুমান ৮ টায় সিলেট নগরী টিলাগড় এলাকা থেকে বাঘার বুরহান উদ্দিন সড়ক হয়ে রাজাগঞ্জে যাবার জন্য চার যুবক তার সিএনজি অটোরিক্সা ভাড়া নেন। মধ্য পথে দক্ষিণ বাঘা ও রুস্তমপুর গ্রামের মধ্যখানে জনমানবহীন নির্জন এলাকায় পৌছা মাত্র তাদেরই একজন প্রস্রাব করার জন্য গাড়ী থামায়। ঐ সময় অন্যজন চালককে জোর পূর্বক তার আসন থেকে টেনে হেচড়ে মারধর করতে থাকে এক পর্যায়ে চালক আব্দুর রহমানকে মাটিতে ফেলে ধারালো ছুরা দিয়ে বুকের মধ্যে আঘাত করতে চাইলে সে গড়া গড়ি করে কোন রকমে প্রাণে রক্ষা পেয়ে দৌড় দেয়। এসময় ছিনতাইকারীরা আব্দুর রহমানের সিএনজি অটোরিক্সা (সিলেট থ-১২-০১৪৫) টি নিয়ে সিলেটের নগরীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। অটোরিক্সা চালক আব্দুর রহমান রাস্তার পাশের গ্যাস লাইনের চৌকিতে গিয়ে পাহারাদারকে বিষয়টি অবহিত করলে এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জেনে অগ্রসর হন। এদিকে ছিনতাইকারীরা সিএনজি অটোরিক্সা নিয়ে কিছুদূর এগুবার পর গাড়ীটি বন্ধ হয়ে যায়, এসময় তাদের একজনকে হাতে নাতে জনতা আটক করে। বিষয়টি গোলাপগঞ্জ মডেল থানার পুলিশকে অবহিত করা হলে টহলরত পুলিশ এ এসআই শফিক ও এ এসআই সিরাজের নেতৃত্বে একদল পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ধৃত ছিনতাইকারী সহ সিএনজি ও তার চালককে থানায় নিয়ে আসে। পরে ধৃত ছিনতাইকারীর তথ্যের ভিত্তিতে আরো ৩ জনকে কাজীর বাজারের একটি স্থান থেকে আটক করা হয়। আটক ছিনতাইকারীরা হচ্ছে গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের আনসার মহল্লার হেলাল আহমদের পুত্র মামুন আহমদ(২২), জকিগঞ্জ উপজেলার তেরাপুর গ্রামের মৃত লেচু মিয়ার পুত্র রিয়াজ উদ্দিন(২২), ছাতক দোয়ারা বাজার উপজেলার জালালপুর গ্রামের লিলু মিয়ার পুত্র কামরুজ্জামান(২১), নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার হাতকান্দা গ্রামের ইদ্রিছ আলীর পুত্র রাব্বি হোসেন রুবেল(২০)। এদের মধ্যে মামুনের কাছ থেকে সিলেটের দৈনিক একটি সংবাদ পত্রের প্রতিনিধির আইডি পাওয়া গেছে। ঐ কার্ডে তার ছবি থাকলেও কুলাউড়ার এক সাংবাদিকের নাম ঠিকানা রয়েছে। জানা যায় মামুন প্রায়ই ঐ কার্ডটি গলায় ঝুলিয়ে নিজে সাংবাদিক পরিচয় দিত। গতকাল তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হলেও গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন ছিনতাই ও অপকর্মের তথ্য জানতে তাদেরকে রিমান্ডে আনা হবে বলে থানা সুত্রে জানা যায়।