নবীগঞ্জে মেঘনা লাইফের গ্রাহকদের মেয়াদপুর্তির টাকা প্রদানে ব্যাপক অনিয়ম হয়রনীর অভিযোগ

নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লোকবীমা ডিভিশনের নবীগঞ্জ উপজেলা শাখা ও হবিগঞ্জ শাখার বিরুদ্ধে ব্যাপক অমিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্ষুদ্র বীমার মাসিক কিস্তির মাধ্যমে ১০ বছর পর দ্বিগুন টাকা প্রদানের প্রলোভন দিয়ে বীমা শুর করে মেয়াদ পুর্তির ৬ মাস পর আসল টাকার সাথে নামমাত্র মুনাফা দিয়ে একাউন্টপেয়ী চেকে টাকা প্রদান করে কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদেরকে হয়রানী করার তথ্য পাওয়া গেছে।
জানাযায়,মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর লোকবীমা ডিভিশন ক্ষুদ্র বীমার কর্মীরা মাসিক ১শত থেকে শুরু করে ১ হাজার পর্যন্ত কিস্তিতে ১০ বছরের জন্য টাকা আদায় করা সময় গ্রাহকদেরকে মেয়াদপুর্তিতে দ্বিগুন টাকা প্রদানের কথা দেয়। সরল বিশ্বাসে গ্রাহকরা কষ্ট করে টাকা ও জমা দেন। কিন্তু মেয়াদ পুর্তিতে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। মাসিক ১শত টাকা করে জমা দিয়ে যেখানে ১০ বছরে গ্রাহকের আসল টাকা ১২ হাজারের সাথে মাত্র ৩ হাজার টাকা মুনাফা দেখিয়ে ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদেরকে হবিগঞ্জ ব্রাঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তৃপক্ষ তাদেরকে পুনরায় আরেকটি বীমা করার প্রস্তাব দেয় । যদি পুনরায় আরেকটি বীমা গ্রাহকরা করেন তাহলে তাদের মেয়াদপুর্তির বীমার টাকা বেয়ারার চেকে দেবে বলে কথা দেয়। এতে গ্রাহকরা রাজী না হলে তাদেরকে একাউন্টপেয়ী চেক প্রদান করা হয়। যার ফলে গ্রাহকরা মাত্র ১৫ হাজার টাকা উঠাতে গিয়ে নিজের নামে একাউন্ট খুলে আরো ১ হাজার টাকা প্রদানের ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। লোকবীমা নবীগঞ্জ শাখার মাঠকমীর্ পান্না লাল ভট্টাচার্য্যরে গ্রাহক নবীগঞ্জ পৌর এলাকার কানাইপুর গ্রামের অনিমা পাল,জয়া গোপ,আব্দুল জব্বার,বলাই দাশ,ডলি রানী দাশ,প্রাণকৃষ্ণ পালসহ অন্যান্য গ্রাাহকরাই হয়রানীর শিকার হচ্ছেন বেশী। অপর দিকে নবীগঞ্জ শাখার অপর মাঠকর্মী কাজল গোপের মাধ্যমে মেয়াদপুর্তিতে বীমা গ্রাহকের টাকা বেয়ারার চেকে প্রদানের তথ্য পাওয়া গেছে। অপর দিকে পান্না লাল ভট্টাচার্য্যরে গ্রাহকদেরকে একাউন্টপেয়ী চেক প্রদান করে পরিকল্পিতভাবে হয়রানী করা হয়েছে বলে সুত্রে জানাগেছে। এছাড়া এ কোম্পানীর আরো অন্যান্যে গ্রাহকদের টাকা প্রদানে অনিয়ম,আত্মসাত ও হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ শাখার ম্যানেজার বেদানা বেগম,হবিগঞ্জ শাখার ম্যানেজার জাহির মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তাদেরকে পাওয়া না গেলেও হবিগঞ্জ শাখার সহকারী কর্মকর্তা চিনু দাশের সাথে যোগাযোগ করা হলে গ্রাহক হয়রানীর সত্যতা পাওয়া যায়। ভুক্তভোগী গ্রাহকরা এ বীমা কোম্পানীর অনিয়মের ব্যাপারে পুলিশ প্রমাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।