দুই মাহমুদের মুক্তির দাবিতে নিউইয়র্কে সমাবেশ

মাহমুদুর রহমান মান্না ও মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন ডা. ওয়াজেদ এ খান। ছবি- এনা।
মাহমুদুর রহমান মান্না ও মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন ডা. ওয়াজেদ এ খান। ছবি- এনা।

নিউইয়র্ক থেকে এনা: আমাদের দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এবং নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার মুক্তির দাবিতে নিউইয়র্ক প্রবাসী নাগরিক সমাজ আয়োজিত এক সভা গত ২৪ এপ্রিল (নিউইয়র্ক) সন্ধ্যায় বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। লংআইল্যান্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. শওকত আলীর সভাপতিত্বে এবং খন্দকার ফরহাদের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রবীন সাংবাদিক মনজুর আহমেদ, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, সাপ্তাহিক জন্মভূমির সম্পাদক রতন তালুকদার, এডভোকেট মজিবর রহমান, গাজী শামসুদ্দীন, আইঅন বাংলাদেশের পরিচালক রিমন ইসলাম, হাবিবুর রহমান শামীম, এডভোকেট মুনির, ড. আবুল কাশেম প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এবং নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই আজ তারা জেলে। কিন্তু বাংলাদেশে যারা প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লংঘন করছে, পিস্তল দিকে মানুষ খুন করছে তাদের কোন বিচার হচ্ছে না। কিন্তু যারা সরকারের সমালোচনা করছে বা সরকারের দুনীতির রিপোর্ট প্রকাশ করছে তাদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে বছরের পর বছর তাদের জেলে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। তারা বলেন, বাংলাদেশে এখন রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা খুবই সহজ। যে কারো বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা হচ্ছে। সরকারের সমালোচনা করলেই তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা হয়। মাহমুদুর রহমান তার পত্রিকায় সত্য প্রকাশ করেছিলেন, এটাই ছিলো তার অপরাধ অন্যদিকে মাহমুদুর রহমান মান্না বাংলাদেশে নতুন রাজনীতির ধারা শুরু করতে চেয়েছিলেন, কঠোর ভাষায় সরকারের সমালোচনা করেছিলেন, দেশের পরিস্থিতি নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেছিলেন এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চেয়েছিলেন- এটাই ছিলো তার অপরাধ। তারা ক্ষোভের সাথে বলেন, বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র বলতে কিছু নেই, শাসক দলের মাথায় পাকিস্তানী স্বৈরশাসক আইয়ুব- ইয়াহিয়ার ভুত চেপে বসেছে, সেই স্টাইলেই তারা দেশ পরিচালনা করছেন, বাংলাদেশে সংবাদ পত্রের কোন স্বাধীনতা নেই, মানবাধিকার নেই, মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই, আইনের শাসন নেই, স্বাধীনতা আছে তাদের যারা আওয়ামী লীগ করছেন। যারা আওয়ামী লীগ করছেন তারা পিস্তল দিয়ে মানুষ খুন করছেন, বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গুলি করছেন, লাঠি দিয়ে তার গাড়ি ভাংচুর করছে, তার সিকিউরিটির লোকজনকে প্রকাশ্যে রাস্তায় অমানুষের মত পিটিয়ে রক্তাক্ত করছে কিন্তু তাদের বেলায় আইন নেই, তাদের জন্য সাত খুন মাফ। আরা যারা সরকারের সমালোচনা করছে, সত্য কথা বলছে, দুর্নীতির রিপোর্ট করছে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তাদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে, মামলা এবং হামলা করা হচ্ছে। সভায় বক্তারা মাহমুদুর রহমান এবং মাহমুদুর রহমান মান্নার মুক্তির দাবি করেন।