ক্যান্টনমেন্টে বসে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা দেয়া যায় না: খালেদা

Khaleda Ziaসুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ক্যান্টনমেন্টে বসে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ঢাকা উত্তর সিটিতে মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আওয়ালের বাস প্রতীকের প্রচারণায় তিনি এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘সেনা মোতায়েন করলে জনগণ ভোট কেন্দ্রে নির্বিঘ্নে যেতে পারবে। আমাদের সেনাবাহিনী বিদেশে শান্তি মিশনে অনেক সুনাম কুড়িয়েছে। তাহলে কেন তারা দেশে নিরাপত্তা দিতে পারবে না? ক্যান্টনমেন্টে বসে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না।’
তিনি বলেন, ‘সরকার জনবিচ্ছিন্ন, সিটি নির্বাচনে তাদের জয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই নির্বাচন থেকে বিএনপিকে সরাতে এবং আমার প্রাণনাশের জন্য বিভিন্ন স্থানে গাড়িবহরে হামলা ও গুলি চালানো হয়েছে।’
ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরবাসীকে উদ্দেশ্য করে খালেদা জিয়া বলেন, আপনারা সকাল-সকাল ভোট কেন্দ্রে গিয়ে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ঢাকার মির্জা আব্বাস, তাবিথ আওয়াল ও চট্টগ্রামে মনজুর আলমের নির্বাচনী প্রতীকে ভোট দিবেন।
সবাইকে নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঢাকার মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা পরিবর্তন চাই, সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মুক্তি চাই।’
মা-বোনদের উদ্দেশ্য করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের ভোট দিবেন না। তাহলে আপনারা নিরাপদে ঘর থেকে বের হতে পারবেন না।’
বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মির্জা আব্বাস প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও জনসংযোগ করতে পারছে না। নেতাকর্মীরা তার পক্ষে প্রচারণা করতে গেলে সেখানে বাধা দেয়া হচ্ছে।’
এর আগে একদিন বিরতির পর বিকেল পৌনে ৫টার দিকে গুলশানের বাসভবন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন গাড়িবহর নিয়ে দল সমর্থিত প্রার্থীদের প্রচারণায় বের হন। বারিধারা-কুড়িল হয়ে তিনি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা প্রচারণা চালান।
গত কয়েক দিনের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত নিজের এবং তার নিরাপত্তা টিমের গাড়িসহ বহরের ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো মেরামতে পাঠানোয় বৃহস্পতিবার প্রচারণায় বের হতে পারেননি খালেদা জিয়া।
গত শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জনগণের কাছে গিয়ে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের জন্য ভোট চান খালেদা জিয়া। এ সময় তিনি ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেন।
এর মধ্যে সর্বশেষ বুধবার বাংলামটরে খালেদা জিয়ার গাড়িতে হামলা করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলা লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় খালেদা জিয়া অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও তার গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।