ওসমানীনগরে গৃহ শিক্ষক কর্তৃক কিশোরী ধর্ষণ

rapeশাহ মো. হেলাল, বালাগঞ্জ: ওসমানীনগরে গৃহ শিক্ষক কর্তৃক ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সাদীপুর ইউপির ইব্রাহিমপুর গ্রামে। এঘটনায় কিশোরির মা রুপেজা বেগম বাদি হয়ে ওসমানীনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৬। মামলা দায়ের পর ২ মাসের অন্তঃসত্তা ঐ কিশোরীকে গত মঙ্গলবার সকালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি’তে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওসমানীনগর উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রামের ঐ কিশোরীর বাড়িতে গৃহ শিক্ষক হিসেবে কিশোরীকে কোরআন শিক্ষা দিতেন পার্শ্ববর্তী বুরুঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব তিলাপাড়া গ্রামের ফারুক মিয়ার পুত্র আলী আহমদ (২৮)। এ সুযোগে প্রায় ৪ মাস ধরে কিশোরীকে ধর্ষণ করে আসছিল গৃহ শিক্ষক আলী আহমদ। এতে ঐ কিশোরী ২ মাসের অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর আলী আহমদ আত্মগোপনে চলে যায়। কিশোরীর অসহায় মা রুপেজা বেগম গত সোমবার রাতে ওসমানীনগর থানায় একটি লিখিতে অভিযোগ দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা রুজু করে ।
কিশোরীর মা রুপেজা বেগম বলেন, আমাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে সে এমন কান্ড ঘটায়। সে আত্মগোপনে গিয়ে বিভিন্ন ভাবে আমাকে হুকমী দিয়েছে মামলা না করার জন্য।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসমানীনগর থানার এসআই গোলাম মোস্তফা বলেন, ধর্ষিত কিশোরীর একটি ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে আরেকটি পরীক্ষা কাল হবে। মামলার আসামী আলী আহমদকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।
ওসমানীনগর থানার ওসি মুরসালিন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কিশোরীকে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।