মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎ বিভাগের ভূমি জবরদখল করে জমিদারী ॥ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরী

মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজারঃ মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎ বিভাগের সংরক্ষিত ভূমি প্রকাশ্যে জবরদখল করে জমিদারী করছেন জেলা সদরে অবস্থিত আহমদিয়া ফার্মেসী মালিক । এ ব্যাপারে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরী। সরেজমিন শহরের কোর্ট রোডস্থ বনশ্রী এলাকায় অবস্থিত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে- বিদ্যুৎ বিভাগের সংরক্ষিত ভূমির একেবারে পূর্ব সীমান্ত সংলগ্ন ভূমির মালিক হবার সুবাদে, ওই ভূমি সংলগ্ন বিদ্যুৎ বিভাগের সংরক্ষিত খালি ভূমিতে সিমেন্ট রাখার ও নির্মান শ্রমিকদের থাকার জন্য অস্থায়ী ঘর নির্মান, নির্বাহী প্রকৌশলীর বাসভবনে যাতায়াতের ইটসলিং রাস্তার উভয় পাশে ইট, বালি ইত্যাদি নির্মান সামগ্রী সংরক্ষণ করে রেখেছেন। ইতিমধ্যেই ওই ইটসলিং রাস্তার সাথে নিজ মালিকানাধীন ভূমির সংযোগ রাস্তা নির্মান করেছেন এবং মাটি ভরাট করে নিজ মালিকানাধীন ভূমির সাথে জবরদখলকৃত বিদ্যুৎ বিভাগের সংরক্ষিত ভূমি একিভূত করে নিতে চলেছেন। এভাবেই কয়েক মাস যাবৎ আহমদিয়া ফার্মেসী মালিক তার জবরদখল পাকাপোক্ত ও প্রসারিত করে চলেছেন। স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি এতে আপত্তি জানালেও জবরদখলকারী তা মানেননি। পরবর্তীতে হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি মৌলভীবজার জেলা শাখা এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট বিভাগীয় পুলিশ পরিদর্শক, সিলেট বিভাগীয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক, মৌলভীভাজার পুলিশ সুপার, র‌্যাব-৯, শ্রীমঙ্গল ক্যাম্প অধিনায়ক, মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট সংরক্ষিত পৌর ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বরাবর অনুলিপি সহকারে মৌলভীবাজার বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর গত ০১/০১/২০১৫ইং লিখিত অভিযোগ (স্মারক নং ঃ এইচআরআরএস/মৌজেশা/অভিঃ/জনস্বার্থ- ০৯/২০১৪/(০১)/১৫) করলে, অভিযোগপত্র গ্রহণকারী কর্মকর্তা জানান- এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করা হয়েছে। কিন্তু, থানার পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে মৌলভীবাজার বিদ্যুৎ বিভাগের দুজন কর্মচারী জানান- মৌলভীবাজার বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করা হয়েছে। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক বরাবরও লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু, কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা।