বড়লেখা পৌরসভাতে ভুয়া পে-অর্ডার জমা : ছয় ঠিকাদারের টেন্ডার ফাইল স্থগিত

protaronaবড়লেখা সংবাদদাতাঃ মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা পৌরসভার প্রায় ৬৮ লাখ টাকার উন্নয়ন কাজ ভুয়া পে-অর্ডার ও হালনাগাদ ঠিকাদারি লাইসেন্স ছাড়াই বাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী ঠিকাদারদের অভিযোগে পৌর মেয়র অভিযুক্ত ছয় ঠিকাদারের টেন্ডার ফাইল স্থগিত করেছেন। এ ঘটনা ফাঁস হওয়ায় টেন্ডার বাছাই কমিটির দায়িত্ব পালন নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা পৌরসভার প্রায় ৬৮ লাখ টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে ১৭টি স্কিমে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। ১৫ মার্চ ৩৮ জন ঠিকাদার টেন্ডার ড্রপ করেন। বাছাই কমিটি টেন্ডার যাচাই করে ৩১ মার্চ লটারির আয়োজন করে। লটারিতে জুনেদ আহমদ নামে জনৈক ঠিকাদার প্রায় ৮ লাখ টাকার দুটি কাজ পান। কাজ না পাওয়া ঠিকাদার জসিম উদ্দিন ও হারুনুর রশীদ বাদশা তাদের পে-অর্ডার ফেরত আনতে গিয়ে দেখেন ঠিকাদার জুনেদ আহমদের দুটি টেন্ডার ফাইলেই লাইসেন্সের ফটোকপি নেই, প্রাইম ব্যাংকের যে পে-অর্ডার সংযুক্ত সেটি জাল। তাৎক্ষণিক বিষয়টি তারা পৌর মেয়রকে অবহিত করেন। ঠিকাদার জসিম উদ্দিন ও হারুনুর রশীদ বাদশা জানান, জাল পে-অর্ডারে ছয় ঠিকাদার পৌসভার প্রায় অর্ধ কোটি টাকার কাজ হাতিয়ে নিয়েছে। জুনেদ আহমদ ভুয়া পে-অর্ডারে দুটি কাজ হাতিয়ে নিলেও এ নামে কোনো ঠিকাদারের অস্বিত্ব আমরা খুঁজে পাইনি।
পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী আবদুল খালিক পে-অর্ডার জালিয়াতির সত্যতা স্বীকার করে জানান, টেন্ডার নিয়ে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। অভিযোগের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পৌর মেয়র ফখরুল ইসলাম জানান, ঠিকাদারদের মৌখিক অভিযোগে জিল্লুর রহমান, ফয়জুর রহমান, জুনেদ আহমদসহ ছয় ঠিকাদারের ফাইল জব্দ করেছেন। এ বিষয়ে বাছাই কমিটিকে তিনি নোটিশ করবেন। অভিযোগের সত্যতা পেলে টেন্ডার বাতিলও করতে পারেন।