সিসিক’র ‘গায়েবী’ মশা নিধন, উপদ্রবে অতিষ্ট নগরবাসী

mosquitoসুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেট নগরীতে সম্প্রতি বেড়েছে মশার উপদ্রব। মশার উপদ্রবে অতিষ্ট নগরবাসী। দিন ও রাতে মশার উপদ্রব চলছে সমানতালে। মশার উপদ্রবের কারণে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা রাতে মশারির ভেতর ঢুকে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। এ অবস্থায় মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে আন্দোলনে নেমেছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। অথচ সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) কর্তৃপক্ষ দাবি করছে তারা নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে মশার ঔষধ ছিটিয়েছে। তবে নগরীর বেশিরভাগ এলাকার লোকজনের অভিযোগ তাদের এলাকায় মশার ঔষধ ছিটাতে সিটি করপোরেশনের কোন কর্মী যাননি।
গত বুধবার সিলেট কল্যাণ সংস্থার নেতাকর্মীরা সিসিক’র সামনে মশারি টানিয়ে মশা নিধনে সিসিক’কে কার্যকর ভূমিকা রাখার দাবি জানান। তারা নগরীর মশা নিধনে সিটি করপোরেশনকে ১৫ দিনের সময় বেধে দিয়েছেন।
এদিকে, সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের দাবি নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে টানা ১৩ দিন মশার ঔষধ ছিটানো হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ১ লাখ টাকার ঔষধ ছিটানো হলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে স্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ।
তবে সিটি করপোরেশনের ঔষধ ছিটানোকে ‘গায়েবী’ কার্যক্রম বলে অভিযোগ করছেন নগরবাসী। তাদের অভিযোগ নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় সিটি করপোরেশনের কর্মীরা ঔষধ ছিটাতে যাননি। যে দু’এক জায়গায় কর্মীরা গেছেন সেখানেও রাস্তার পাশের ড্রেনে ঔষধ ছিটিয়ে চলে এসেছেন। ফলে এর সুফল পাননি নগরবাসী।
সিলেট নগরীর রায়নগরের মানবাধিকারকর্মী ডাঃ বাপ্পি চৌধুরী , জেল রোডের গুলজার আলম ও উপশহরের শাকিল জামান জানান- তাদের এলাকায় মশার ঔষধ ছিটাতে কেউ যায়নি। বিকেল হতেই মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পায় বলে জানান তারা। চালিবন্দরের দিব্যজ্যোতি জানান- তাদের এলাকায় সিটি করপোরেশনের কর্মীরা গিয়েছিলেন। ড্রেনের পাশে কিছু ঔষধ ছিটিয়ে তারা দ্রুত চলে এসেছেন।
এ ব্যাপারে সিসিক’র সেনেটারি ইন্সপেক্টর আলবাব আহমদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন- ২৭ ওয়ার্ডে মশার ঔষধ ছিটানো হয়েছে। কিন্তু এ ঔষধ চাহিদার তুলনায় কম। চলতি বছরে আরেকবার মশার ঔষধ ছিটানো হবে বলে জানান তিনি।