বিশ্বব্যাংক ও আইএফএম এর বিকল্প হিসাবে এআইআইবি ব্যাংক’র যাত্রা শুরু : ৪৬ দেশ সদস্য

বিশ্বব্যাংক ও আইএফএম এর বিকল্প হিসাবে চীন এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগে এশিয়া ইনফ্রাকস্ট্রাচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। এই বছরের শেষ দিকে ব্যাংকটি চালু হবে ও এর কার্যক্রম শুরু হবে। এতে ৪৬ টি দেশ একমত হয়েছে। ৩০ টি ইতোমধ্যে দেশ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হয়েছে। আরো ১৬ টি দেশ সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেছে। তাদের ব্যাপারে ১৫ এপ্রিল সিদ্ধান্ত হবে। ব্যাংকের ব্যাপারে আনুসঙ্গিক আলোচনা করার জন্য এই বছরের ১৫ মে একটি বেঠক হবে। সেখানে এর নীতিমালাও চুড়ান্ত করা হবে। বাংকের তত্ত্ব্াবধানে থাকবেন চীন। আর বাকি ২৯টি প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্র। বাংলাদেশ রয়েছে তালিকার এক নম্বর সদস্য হিসাবে। সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ও এই ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত রাখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অবদান রাখছেন সৈয়দ আবুল হোসেন। তিনি সম্প্রতি বোয়া ফোরামে যোগ দিয়ে দেশে ফিরেছেন ৩১ মার্চ। তিনি বলেন, এই ব্যাংকের মূল ধন শুরুতে ১০০ বিলিয়ন ডলার। এ বেশিরভাগ দিবে চীন। বাকিটা অন্যান্যরা দিবে। ২৬-৩০ মার্চ এই চারদিন ব্যাপী চীনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলে বোয়া ফোরাম ফর এশিয়ার বার্ষিক সম্মেলন। সেখানে চীনের প্রেসিডন্টে শি জিং পেং প্রধান অতিথি থেকে শনিবার প্লেনারী সেশনে ভাষন দেন। সেখানে তিনি চীন কিভাবে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক ভাবে আরো উন্নতি করবে, সহযোগিতা বাড়াবে, ব্যবসায়ীদের সহযোহিতা করবে সেটা জানিয়েছেন। ওই বোয়া ফোরামে এআইআইবি ব্যাংক নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সেখানে বিস্তারিত উঠে এসেছে। এই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠার সদস্য রাষ্ট্রের তালিকার প্রথম নামটি বাংলাদেশের। আর এর কৃতিত্ব বাংলাদেশের সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের। তিনি ওই সম্মেলনে ২০০১ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এবারও করেছেন। এবার তিনি ছাড়া তার মেয়ে সৈয়দ ইফফাত হোসেন সেখানে নির্বাচিত বক্তা হিসাবে বক্তৃতাও করেছেন। বাংলাদেশ থেকে এই ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী, বনিজ্য মন্ত্রী এরা যোগ দিলে বিষয়টি আরো গুরুত্ব পাবে বলে মনে করনে সৈয়দ আবুল হোসেন। তিনি বলেন, আমি এখন সরকারের কেউ নই। ব্যবসায়ী হিসাবে এবং সাবেক মন্ত্রী হিসাবে সেখানে যাই। সেখানে আমাদের অর্থমন্ত্রী, অর্থ উপদেষ্টা, বাজিন্য মন্ত্রী থাকলে আরো ভাল হয় তারা সরকারের তরফ থেকে কথা বলতে পারেন। এই ব্যাংকের আমরা প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হয়েছি। আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় ঋণ এখান থেকেও ব্যাংকটি চালু হলে নিতে পারবো। কারণ তারা কেবল অবকাঠামোগত উন্নয়নে ঋন দিবে। সেটাই এখন আমাদের দরকার। তিনি বলেন, এই বিষয়ে তারা নজর দিবেন বলে আশা করি।
আবুল হোসেন জানান, বিশ্বের ২য় বৃহত্তম অর্থনীতি চীন এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি) নামে একটি আন্তর্জাতিক ব্যাংক গঠনের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে যোগ দিতে ৪৬টির বেশি দেশ আবেদন করেছে। সেই সঙ্গে বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সমর্থন আছে।
ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেশ হিসেবে যোগ দেওয়ার সর্বশেষ দিন ছিল গত ৩১ মার্চ। শেষ দিনে নরওয়ে, তাইওয়ান ও তার আগের দিন সুইডেন আবেদন করে। আর গত সপ্তাহে আবেদন করেছিল রাশিয়া, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশকে সদস্য করার জন্য সার্বিকভাবে সহায়তা করা ও সদস্য করার জন্য কাজ করেন সৈয়দ আবুল হোসেন। তিনি বাংলাদেশের সরকারের থেকে ও সরকারের গুরত্বপূর্ণ কেউ না থাকলেও তিনি কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন। আশা করছেন এটা হলে বাংলাদেশের উন্নতি হবে। বড় বড় প্রকল্পে ঋণ নিতে পারবেন। এতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে।
ব্যাংকটির সদর দপ্তর হবে এর উদ্যোক্তা চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান ব্যাংকটিতে যোগ দেবে না। যুক্তরাষ্ট্র প্রথমদিকে বিরোধিতা করে দিন কয়েক আগে সুর পাল্টে আগ্রহ দেখালেও শেষ পর্যন্ত যোগ দেয়নি। একইভাবে জার্মানি আর ফ্রান্সও এগিয়ে এসে পিছিয়ে গেছে। এই তিনটি দেশ চীনা উদ্যোগকে ঠেকাতে ওয়াশিংটনে এরই মধ্যে একটি চুক্তি সই করেছে। তারা মনে করে, এআইআইবি প্রত্যাশিত মান ধরে রাখতে পারবে না।
ওয়াশিংটনভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইউরেশিয়া গ্রুপের জ্যেষ্ঠ গবেষক আবুল হোসেন এরিকা ডাউনস বরাত দিয়ে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত চীন যা করেছে, তাতে এআইআইবি সত্যিকার অর্থে একটি বহুজাতিক আর্থিক সংস্থা হয়ে উঠতে পারে। তারা খুব সচেতনভাবে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সাবেক কর্মকর্তাদের ব্যাংকটিতে নিয়ে আসতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। আর যেভাবে সবকিছু এগোচ্ছে, তাতে উদ্যোগটি সফল হবে বলেই মনে হচ্ছে। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে চীনের আধিপত্য বাড়াতে এ ব্যাংকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সে জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বিশ্বব্যাংককে এআইআইবির সঙ্গে যৌথভাবে বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়নের পরামর্শও দেন কয়েকজন বিশেষজ্ঞ। আবুল হোসেন বলেন, বিভিন্ন দেশ এআইআইবিতে জয়েন করতে চায়। ডেডলাইন যতই কাছে আসছিল এরমধ্যে অনেক দেশযোগ দিতে থাকে। রাশিয়া, ব্রাজিল, নেদারল্যান্ড, ডেনমার্ক শনিবার যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেন। শুক্রকার জর্জিয়া, তাইওয়ান,দক্ষিন কোরিয়াও এতে যোগ দেওয়া আগ্রহ প্রকাশ করে। আবেদন করেন। যতগুলো দেশ মেজর ইকোনমি আছে ইউএসএ, জাপান, কানাডা, এখন পর্যন্ত জয়েন করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন নাই বা সিদ্ধান্ত জানায়নি তবে শেষ মহুর্তে তারা হয়তো আগ্রহ প্রকাশ করতে পারে। সেটা হলে তারা সাধারন সদস্য হতে পারে।
সৈয়দ আবুল হোসেন বলেন, যেসব দেশ আবেদন করেছেন প্রতিষ্ঠাতা ৩০ সদস্যর বাইরের তাদের বিষয়টি আগামী ১৫ এপ্রিল জানিয়ে দেওয়া হবে। ৩০টি দেশ আগে যোগ দিলেও এরপর ৩১ মার্চ পর্যন্ত সুযোগ রাখা হয় অন্যান্য দেশের সদস্য হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে সদস্য হওয়ার জন্য। সেই হিসাবে আরো ১৬টি দেশ আবেদন করেন। আবুল হোসেন জানান, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া ঝু ইয়ং বলেছে, সকল আগ্রহী দেশকে চীনের ব্যাংকে যোগ দেওয়ার জন্য স্বাগত জানানো হচ্ছে। এটা হলে এশিয়সহ বিশ্বের নানা দেশে এতে করে আর্থিকভাবে উপকৃত হবে। এই ব্যাংকের যারা সদস্য হবে চীন তাদের সঙ্গে কাজ করেন সদস্যদের নিয়ে একসঙ্গে কাজ করে ব্যাংকটিকে একটি প্রফেশনাল ও ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল প্যাটফর্মে উন্নীত করবে।
চীন বানিজ্য বাড়ানো, বিনিয়োগ বাড়ানো ও দ্বিপাক্ষিক সর্ম্পক বাড়ানো যায় কিভাবে সঙ্গে সেই চেষ্টা করছে। যতে করে তাদের অভ্যন্তরীন ব্যবসা বাড়ে সেই সঙ্গে বিদেশী কোম্পানীর এক্সসেস তৈরি করা যায়। এটাও সেখানেকার মন্ত্রণালয় বলেছেন। আমরা সেটাকে কাজে লাগহাতে পারি।
সিল্ক রোড ইকোনমিক বেল্ট এবং ২১ শতকের মেরী টাইম সিল্ক রোড এই দুটি উদ্যোগ নেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং। তিনি এই দুইটি প্রস্তাব করেন ২০১৩ সালে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আমাদেরকে জানিয়েছেন সেন ডেং ইয়ং বলেছেন, চীন নির্ভর করবে ক্রস বর্ডার ইন্টারন্যানল কোয়াপারেশন জোন ও সেন্টারের উপর। যেমন হরগস পন্টে। ইত্যাটি। এটা হলে ভাল প্ল্যাটফর্ম তৈরির জন্য যাতে বিনিয়োগের ক্যাটাগরী আরো বাড়ানো যায়। বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্ম সংস্থানবৃদ্ধি ও মুদ্রা বিনিময়ে বিষয়টিও তৈরি করা যায়। আবুল হোসেন বলেন,চীন যে ভাবে এগুচ্ছে এই ভাবে এগুনো গেলে এতে একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
তিনি বলেন, কিছু কিছু অনুষ্ঠান যেমন আঞ্চলিক সুযোগ সুসম্পর্ক, কারিগরী অভিজ্ঞতা বিনিময় এর অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান স্থাপনের মধ্য দিয়ে। চীন অর্থনৈতিক এবং প্রকল্প ভিত্তিক সহযোগিতা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সহযোগী আশে পাশে অর্থনৈতিক দেশকে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ হিসাবে ইনফ্্রাস্ট্রকচারাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের জন্য ৫০ বিলিয়ন ডলার অর্থ দিবে। এতে ৪২ টা ছিল এখন ৪৬টা দেশ হয়েছে। সেখানকার এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট রেন হয়ং নি বলেছেন বেইজিং বেইজ চায়নীজ একাডেমী অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড একাডেমী নেশনও ও মনে করেন আমিও মনে করি যে, চীনের অনেক ভাল ও ইতিবাচক সম্ভাবনা রয়েছে কারিগরী ও ক্যাপিটাল খাতে। তাদের কাছে টেকনিক্যাল ও প্রফেশনালও যে কোন বড় কাজ করার জন্য ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্য ক্ষমতা ও শক্তি রয়েছে। আবুল হোসেন জু চু নামের ইউনিভারসিটি অব বিজনেস এন্ড ইকোনমিক্সে এর গ্রেড প্রফেসর এর বরাত দিয়ে বলেছেন, যেহেতু ইনভেষ্টগুলো আপাতত ফোকাস হবে রোড, রেলওয়ে, বিমানবন্দর ও বন্দরগুলোর উপর। কারণ এটা সর্ব সাধারনকে সুবিধা দিবে। আর এটা হলে ট্রেড এর কস্টও অনেক কমে যাকে। কস্ট কমলে লাভ বাড়বে।
আবুল হোসেন বলেন,৪৬ টি দেশে এখন এআইআইবি এর সদস্য রাষ্ট্র হচ্ছে। তারা সদস্য হওয়ার জন্য আবেদনও করেন। এখন সেখানে আলোচনায় হয় কেমন করে এই ব্যাংকের নতুন নতুন নিয়মগুলো তৈরি করা হবে। এটা ড্রাফট করতে হবে। এআইআইবি মাল্টি লেবারেল সেক্রেটারিয়েটের সেক্রেটারী জেনালে জিন লিকুন রে বরাত দিয়ে বলেন, তিন ব্যাংকের প্রিপারেটরী কর্মকান্ড সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করেছেন। ২৯ টি দেশের প্রতিনিধিদেরকে যারা সদস্য হবে। কাজাকিস্তানের মল্টিমন্ট সম্মলেনেও এনিয়ে আলোচনা হয়েছে। ব্যাংকের নিয়ম ও বিধি বিধানগুলো চুড়ান্ত করতে হবে, এরপর সেটাতে সাক্ষর করতে হবে। তিনি বলেন ,আশা করা যাচ্ছে এই বছরেই সেটা করা সম্ভব হবে। এছাড়াও মে মাসে এটা নিয়ে এটা ফাইনাল সেশন হবে। অর সেটা করে সেখানে সব চুড়ান্ত করে এই বছরের শেষ নাগাদ ব্যাংকটি চালু করার যাবে।
তিনি বলেন, আমরা ওখানে যে আলোচনা করেছি তাতে এতে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে প্রায় দুই সপ্তাহের বেশি সময় লাগবে। আর কারা কারা চুড়ান্ত সদস্য হবে এটা ১৫ এ্িরলের মধ্যে চুড়ান্ত করা হবে। শুরুতে যারা সদস্য হয়েছে তারা হলো প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। আর যারা পরে সদস্য হবে তারা হবে সাধারন সদস্য। চীনের অর্থন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে লেখেছিল বিদেশ থেকে আসা সদস্যদের নিয়ে গভরনেস, প্রকিউরন্টে, পরিবেশগত কাঠামো ও সামাজিক নেটওয়ার্ক এই সব বিষয় নিয়ে আলোচনা বরা হয়।
এই বাংকটি একটি মাল্টি লোটারেল ইনভেস্ট হবে। এর কাজ হবে ইনফ্রাস্ট্রাকাচারাল ও উন্নয়ন। এই সব উন্নয়ন করার জন্য যে সব সম্ভাব্য জায়গা রয়েছে তাদেরকে লোন দেওয়া। কিনি বলেন, এই ব্যাংকটি চীনের নেতৃত্বে হলেও এই ব্যাংকের সদস্য হওয়ার জন্য ইউওিেপীয় দেশগুলো আগ্রন প্রকাশ করছে। এরমধ্যে রয়েছে ইতালী জার্মানী, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স রয়েছে। এই ব্যাংকের অথরাইজড ক্যাপিটাল রয়েছে ১০০ বিলিয়ন ডলার। শুরুতে ইনিশিয়াল সাবক্রাইব ক্যাপিটাল হবে ৫০ বিনিয়িন ডলার।
এদিকে এই ব্যাংকের যাদের সদস্য হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে ওই সব দেশ এটা নিয়ে আলোচনা করেছে কিভাবে শেয়ার ভাগাভাগি হবে। আর এটা নির্নয় করার দরকার। সেখানে বলা হয়েছে কোন দেশের শেয়ার কি হবে সেটা নির্ভর করবে ওই দেশের জিডিবির উপর ভিত্তি করে। ৪৬টির বেশি দেশ এই ব্রাংকের সদস্য হিসাবে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে বিশেকর মনে করছে, এটা হলেও শিগগিরই গুরুত্বপূর্ন কিছু বিষয়ের সমাধান করতে হবে।
বর্ড ওয়াই চ্যাট হার্ম হাউজের এসোসিয়েট ফেলো এর বরাতে আবুল বলেন, তিনি বলেন, কিভাবে মূলধন ভাগাভাগি হবে,তত্ত্বাবধানে কি কি নিয়ম করা হবে তা নিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এদিক এটাও প্রশ্ন উঠেছে ব্যাংক লোন দিতে কতটা সফল হবে। কারা লোন পাবে এবং কি ধরনের কোম্পানী এই সব ব্যাংকের সুবিধা পাবে। এই সব বিষয়গুলোর সমাধান করতে হবে আলোচনা করেই।
এদিকে আবুল হোসেন আরো বলেন, এই ব্যাংকের সদস্য হতে ৪৬ টি ব্যাংক আবেদন করলেও এখন জাপান, আমেরিকা আবেদন করেনি। চীনে সবার জন্য প্রস্তাব করেছে। কিন্ত সেটা কারা গ্রহণ করবে কারা করবে না সেটা এখনই বলা যাবে না। চীনর প্রেসিডেন্ট ২০১৩ সালে এর প্রস্তাব দেন। মূলত এডিবি ও ওয়াল্ড ব্যাংকের গন্ডি থেকে বাইরে বের হয়ে আসাও এর একটি উদ্দেশ্যে। ওই সময়ে চীনের বেইজিংয়ে ২৬টি দেশের মধে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। এরমধ্যে বাংলাদেশও একটি। বৃটেন আবেদন করার পর তাদের দেখে ইতালী, জামার্নী আবেদন করেন। এরপর তৈরি হতে থাকে ব্যাংকর ভেতরকার সকল কার্যক্রম। এবার বছরের শেষ নাগাদ সেটি চারু হবে। আবুুল হোসেন বলেন, সেখানে বিশ্ব নেতারা বলেছেন, আমরা দেখিছে ওয়াল্ডং ব্যাংক ও এডিবি এই দুটি ব্যাংক অনেক কাজ করছে তবে তাদের মূল কাজ হচ্ছে দারিদ্র নিরসন করা। তারা এটার উপর বেশি গুরুত্ব দেয়। আর সেই কারণেই তারা অন্যান্য খাতে ঋণ দিতে পারে না। আমরা সেটা চাইরা, যেমন এর পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়ন জরুরী। আর সেই জন্যই এই ব্যাংক। এই ব্যাংক বিভিন্ন দেশকে অবকাঠামো গত উন্নয়নে সহায়তা করবে। ঋণ দিবে। যেখানে এডিবি, ওয়ার্ল্ড বাংক উন্নয়নের জন্য দেশ ফোকাস করে সেখানে এআইআইবি শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে এটাকে স্বগত জানিয়েছে। ব্যাংকের মূলধন ধরা হয়েছে ১০০ বিলিয়ন ডলার। এটা আসলে প্রয়োজনের সঙ্গে তুলনা করলে কম। তবুও অনেক বিশেষঞ্জদের মতে, এআইআইবি চীনকে একটি বিরাট সুযোগ করে দিবে এবং চীনক দায়িত্বশীল একটি রাষ্ট্রে পরিনত করবে। এখনকার অর্থনৈতিক যে সম্পর্ক আছে যেটা শেপ করা হচ্ছিল বিলস ইস এগ্রিমেন্ট করার সুযোগ আছে। এটাকে সামলে ওয়েস্টার্ন কন্ট্রি যখন থেকে গোবাল ফাইন্যান্সিসিয়াল ক্রাইসিস আছে তখন থেকে মার্জিন মার্কেটগুলো প্রধান উন্নয়ন চালক হয়ে গেছে।
আবুল হোসেন বলেন, আলোচনায় এটাও এসেছে, গোবাল ইকোনমি তিনভাবে বিভক্ত। এর এক ভাগ এশিয়ানদের দখলে। যেহেতু ক্ষমতা বাড়ছে এটাই ফেয়ার যে তারা গ্লোবাল ইকোনোমিতে ইন্টিস্টিটিউটে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখছে। আগামী দিনে প্রতিযোগিতা ও সময় বিবেচনা করে আরো কিছু প্রতিষ্ঠান তৈরি করা দরকার।
এখানে আবুল হোসেন আরো জানান, যারা শুরুতে ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হয়েছে তারা ব্যাংকর তত্ত্বাবধান ও পরিচালণার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। আর যারা পরে সদস্য হবে তাদের ভোটিং পাওয়ার থাকবে কিন্তু তারা নীতি নির্ধারনী কোন ভূমিকায় থাকতে পারবেন না। এদিকে এটাও বলে রাখা প্রয়োজন এই ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়ার পর আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড বাংকসহ বিশ্বের অনেক গোবাল প্রতিষ্ঠানগুলো এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠাকে স্বাগত জানিয়েছে। এটা একটা আশার আলো বলা যায়। তিনি বলেন, সেখানে যে ৩০ টা দেশ সদস্য হয়েছে বলা হয়েছে, এরমধ্যে বাংলাদেশের নাম শুরুতে। পর রয়েছে বৃটেন, চীন, ভূটান, ক্যাম্পোডিয়া, ভারত, কাজাকিস্তান, লাউস, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, জাকার্তা,কাতার , সিংঙ্গাপুর,, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, উজবেকস্তান, থাইল্যান্ড,ভিয়েতনাম ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, লুক্সেমবার্গ, মালদ্বীপ, সৌদি আবর, সুইজারল্যান্ড, তাজাকিস্তান ইত্যাদি, পরে যে ১৬ টি দেশ সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করে এরমধ্যে রয়েছে ফ্রান্স,জার্মানী, অস্ট্রেলিয়া, তুর্কি, কোরিয়া, ব্রাজিল, রাশিয়া, নেদারল্যোন্ড, তাইওয়ান, জর্জিয়া, ডেনমার্ক, মিশর, ফিনল্যান্ড, সুইডেন।এদের সদস্য করা হবে কি হবে না এটা টিক করবে প্রথম ত্রিশটি সদস্য রাষ্ট্র।

আবুল হোনে বলেন, ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবরর এই ব্যাংবের প্রথম প্রস্তাব দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে ২৪ অক্টোবর বেইজিংয়ে ২১ টি দেশ এক হয়ে আলোচনা করে ও এমওইউ সাইন করে। এরপর ২৭ অক্টোর ইন্দোনেশিয়র অর্থ মন্ত্রী এই এমওউতে সাইন করেন। ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারী পর্যন্ত ফাউন্ডার মেম্বার হিসাবে ২৬টি দেশের নাম উঠে পরে আবার ইন্দোনেশিয়া, নিউজিলান্ড, মালদ্বীপও ও সৌদি আরব আসে। আর এতে করে ৩০টি দেশ হয়। ১২ মার্চ আরো কয়েকটি নতুন করে জয়েন করেন। ১৭ মার্চ ফ্রান্স, ইতালী, জামার্ন আসে। চীন তাদেরকে স্বাগত জানায়,। এরপর থেকে দ্রুত ঘটনা ঘটতে থাকে।
আবুল হোসেন বলেন, সেখানকার মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র সেন ইয়ং বলেছন, চীন ট্রেড ম›ন্ত্রনালয়ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এর কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছে যাতে করে কয়েকটা ইনফ্রাস্ট্রাকচার, ম্যানফ্যাকচারিং এবং সার্ভিস প্রোজেক্ট শুরু করা যায়। তিনি আরো বলেছেন, জয়েন ফ্রি ড্রে জোন এর চীন অন্যান্য অনেক দেশের জন্য বড় বড় প্যাটফর্ম তৈরি করবে। যাতে করে আরো এটাকে আরো কার্যকর করা যায় ও বানিজ্যিক ভাবেও শিল্প কলকারখানারও উন্নতি করা যা।
আবুল হোসেন বলেন, ইনটার‌্যানল ইউভারসিটি এন্ড ইকোনমিক্স এর পেট্রড প্রফেসর বলেছেন, ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড এ ইনভেস্ট করার পাশাপাশি অবাকাঠামোগত উন্নয়নে বিনিয়োগ করলে চীনের জন্য নতুন এক্সপোর্ট মার্কেটকে উন্নতি করবে পাশাপাশি চীনের কারেন্সীকে আন্তর্জাতিকরণ করারও একটি মাধ্যম তৈরি হবে।
সম্প্রতি শেষ হয়ে যাওয়া বোয়া ফোরম ফর এশিয়া বার্র্র্ষিক সম্মেলনে চীনে প্রেসিডেন্ট বলেছেন, চীনের পলিসি ফরেন ইনভেনন্টমেন্টের ব্যবহার, ফরেন ইনভেস্টদের রাইট সুরক্ষা এবং ফরেন ইনভেস্টেদেরকে আরো ভালভাবে নার্র্সি দিতে চায় চায়না। ২০১৪ সালে যখন ডেভলপমেন্ট দেশগুলোর ফরেন ইনভেস্টটররা সেই রকম পায়নি, তখনও চায়না এটা পেয়েছে। এবং চায়না নতুন নতুন ফরেন ফান্ড নেচারসের সংখ্যা ২৩৭৭৮এ দাঁড়িয়েছে। এগুলো করে এখনও ফরেন সেন্ট্রাল চায়নাতে ঢুকছে।
চীনের নানা প্রকল্প যেমন, পাইলট ফ্রি ট্রেড জোন, চায়না এর নির্নয় কয়েকটি ট্রেড জোন চালু করার গুয়াংজুং,তানজিন এবং ফুজিয়ান এ এবং অরো অনেক প্রকল্প করা হচ্ছে যাতে করে চায়না বাইরের বিশ্বের কাছে আরো তুলে ধরতে পারে। ইউরোপের দেশগুলো চায়নাতে আরো বেশি বিনেিয়াগে আগ্রহী হতে পারে।
উল্লেখ, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে সব কমন স্বার্থ রয়েছে ওই সব স্বার্থকে চিহ্নিত করে “ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড” পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সমাধানের পথ খোঁজার চেষ্টা করেছেন এশিয়ার বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা। এই লক্ষ্যেতারা চীনে মিলিত হন। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় বোয়া সম্মেলন। ৩১ মার্চ শেষ হয়। এতে যোগ দেন বিভিন্ন রাষ্ট্রের রাষ্ট্র প্রধান, সরকার প্রধানগণ। এছাড়াও সেখানে যোগ দেন অনেক রাষ্ট্রের মন্ত্রীরা। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ী, বিশেষজ্ঞরাও। চীনের প্রেসিডেন্ট, জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, চীনের সাবেক ভাইস প্রিমিয়ার, মালয়েশিয়া, অষ্ট্রেলিয়া, কোরিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী যোগ দেন। চীনের প্রধান বিচারপিত ছাড়া বিভিন্ন দেশের প্রধান বিচারপতিগণ যোগ দেন। বাংলাদেশ থেকে সরকারের কেউ আমন্ত্রিত না হলেও সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন বাংলাদেশ থেকে যোগ দেন ওই সম্মেলনে। এর আগে তিনি একাধিবার ওই সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০০৭ সালে নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূস ওই সম্মেলনে আমন্ত্রিত হয়ে যোগ দেন। তার পর এবার সেই সম্মেলনে বক্তৃতা করার সুযোগ পান আবুল হোসেনের মেয়ে সৈয়দা ইফফাত হোসেন। তিনি নির্বাচিত বক্তা ।
বোয়া ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) এর সম্মেলন শুরু হয় বৃহস্পতিবার সকালে। চীনে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চীনের প্রেসিডেন্ট শিই জিং পিং।
বোয়া ফেরামের সেক্রেটারী জেনারেল আাগেই জানান , এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতির উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে সব কমন স্বার্থ রয়েছে সেগুলো বের করে এর উপর আলোচনা করা হবে। এরপর তা বিভিন্ন দেশের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার মাধ্যমেই সমাধান করা হবে। এছাড়াও এর মাধ্যমে আগামী দিনের জন্য একটি কমন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও গ্রহন করা হয়ব। দক্ষিন চীনে হাইনান প্রদেশে চারদিনে এই সব বিষয় আলোচনার ছাড়াও আরো ৭৭টি বিষয়ে বৈঠক হয়। এআইআইবি ব্যাংকের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এরমধ্যে চীনের প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনা ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড নিয়েও চীনের উদ্যোগের বিষয়েও আলোচনা করা হয়।
সেখানে যোগ দিয়ে আবুল হোসেন জানান, বোয়া ফোরামের সম্মেলনে ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল ট্রান্সফরমেশন ও পলিটিক্যাল সিকিউরিটির বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়। অর্থনৈতিকভাবে আরো উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন দেশের মধ্যে ছোটখাটে যে সব বিরাজমান সমস্যা ও বিবাদ রয়েছে তা মিটিয়ে ফেলে এগুতে হবে। এটা জরুরী যে আমরা সবাই কমন ইন্টারেস্টের উপর মনোযোগী হই। আর সেটার জন্য আমরা সবাই বিএফএ এর প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করতে পারি। সেখানে আলোচনা করে এশিয়ার শেগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলোর জন্য বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবনা তৈরি করতে হবে। এরপর সকল দেশের সরকারকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয় হয় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করার জন্য। সম্মেলনে যোগ দেওয়া ব্যক্তিরাও তাদের দেশে গিয়ে এই ব্যাপারে কাজ করবেন।
তিনি জানান, শনিবার চীনের প্রেসিডেন্ট শিই জিং পিং সম্মেলনে যোগ দিয়ে বৃক্ততা করেন। এনিয়ে তিনি তৃতীয়বারের মতো এতে অংশ নেন। এবারের ফোরামের মূল প্রতিবাদ্য বিষয় এশিয়া’স নিউ ফিউচার: টুওয়ার্ডস অ্যা কমিউনিটি অব কমন ডেসটিনি।
তিনি বলেন, বোয়া ফোরামের সম্মেলনে চীন সরকারের প্রস্তাবিত ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড এর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য যে আঞ্চলিক সহযোগিতা দরকার সেটা গুরত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। কারণ চীন এই উদ্যোগ পরিকল্পনা ও এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত যে পরিকল্পনা করেছে সেটাও এখানে প্রকাশ হয়। এরমধ্যে প্রধান প্রধান অবকাঠামোগত উন্নয়ন, তাদের উদ্যোগের উপর বিস্তারিত ফোকাস করা হয়। এছাড়াও ফোরামের বৈঠকে এই জন্য দুটি কমিটিও গঠন করা হয়। শুক্রবারের ফোরামের বৈঠকে হংকংয়ের চীফ এক্সিকিউটিভ লি ইয়ং তাদের যে ভূমিকা রয়েছে এবং আগামী দিনে তারা যে কাজ করবেন সেই সম্পর্কে তুলে ধরা হয়। এর উপর পরে আলোচনাও হয়।
তিনি বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট ২০১৩ সালে বলেছিলেন, ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোডের কথা আর সেটা করা গেলে সেটা রেফার্স টু সিল্ক রোড ইকোনকি বেল্ট হবে। আর এর উদ্দেশ্য হলো আঞ্চলিক যে সহযোগিতা রয়েছে তা আরো বাড়ানো এবং মজবুত করা। যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বাণিজ্য ক্ষেত্রে আরো বিনিয়োগবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কেরও উন্নয়ন করতে হবে। এই উদ্যোগ সফল করার জন্য এই রুটে যে সব দেশগুলো রয়েছে তাদের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন রয়েছে। বোয়া ফোরামের সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা সেটাই চাইছে।
তিনি জানান, বোয়া ফোরামের সম্মেলনে এশিয়ান ইনফাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) এর যারা যোগ দিতে চায় সেই বিষয়টিও নিয়েও অগ্রগতিমূলক আলোচনা হয়। তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির জন্য এশিয়া একটি গুরুত্বপূর্ন চালিকাশক্তি। আর এই জন্য এশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নতি আরো প্রয়োজন। আর সেটা সমন্বিতভাবেই করতে হবে। বোয়া ফোরাম এই ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখে চলেছে। সেই কারণে বোয়া ফোরামের ভূমিকাও ক্রমশ গোবালী গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠছে। সম্মেলনে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের উন্নয়নের নানা দিক নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে ওই ফোরামের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় “হোয়াটস আপ উইথ দ্য নেক্সট জেনারেশন” এ সেশনে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ থেকে ফোরামের নির্বাচিত বক্তা সৈয়দা ইফফাত হোসেন। তিনি ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের তরুন প্রজšে§র ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসাবে যোগ দেন। ওই সেশনে মডারেটর ছিলেন পিকিং ইউনিভারসিটির গাং গুয়া স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের ডীন ছাই হং বিন। আলোচক ছিলেন ছয় জন। তারা বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান থেকে আসেন। আবুল হোসেন ও তিনি এই সম্মেলনে যোগ দেওয়া ছাড়াও চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেন। বিজ্ঞপ্তি