তাহিরপুরে দুই সহোদরের মিথ্যাচারে অতিষ্ট উপজেলাবাসী

jahangir-and-mujammilতাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ তাহিরপুরে কতিথ দুই সহোদরের মিথ্যাচারে কারনে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন গোটা উপজেলাবাসী। এরা হলো উপজেলার চিহ্নিত গাঁজা সেবী রব মিয়া ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী (আয়া)’র দুই সহোদর মোজাম্মেল (৩২), জাহাঙ্গীর (২৮)। মোজাম্মেল কখনো চলচিত্রের সাইট নায়ক কখনো সাংবাদিক সেজেঁ এলাকায় নানা নাটকীয় ঘটনা ঘটিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একাধিকবার গণ দোলাইয়ের শিকার হয়েছে। এমন কি তাহিরপুর থানায় তৎকালীন ওসির সঙ্গে অসৌজন্য মূলক আচরনের জন্য থানা হাজতেও ডুকেছে পরে তাকে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনা হয়। ইভটিজিং সহ মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে মানুষকে হয়রানী করার দায়ে এলাকায় অনেক বার সালিশ বিচারে কান ধরে উঠবস করে মুচলেকা দিয়ে পালিয়ে আসার অনেক ঘটনাই ঘটিয়েছে এই মোজাম্মেল। শুধূ এখানেই শেষ নয় দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি হাবিব সরোয়ার আজাদের সঙ্গে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০১৪ সালের ২৯ শে মার্চ রাতের আধারে সাংবাদিক আজাদের শিশু পুত্র বাদাঘাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র শিহাব সরোয়ার শিপুর মুখে এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সাংবাদিক আজাদ বাদী হয়ে ৫ এপ্রিল ২০১৪ মোজাম্মেলের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা আরো কয়েক জনের বিরুদ্ধে এসিড নিয়ন্ত্রন দমন আইনে তাহিরপুর থানায় ৫ই এপ্রিল ২০১৪ মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ৬। তাহিরপুর থানা পলিশ মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৩০ শে জুন আদালতে মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করে। অদ্যবদি মোজ্জাম্মেল পলাতক রয়েছে। পলাতক থেকেও মোজাম্মেল সাংবাদিক আজাদ সহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে বিভিন্ন অনলাইন সহ কিছু স্থানীয় পত্রিকায়।
মোজাম্মেল পলাতক থাকায় তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয় তারই সহোদর জাহাঙ্গীর সে কখনো ঔষধ কোম্পানীর সেলস্ম্যান কখনো সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এলাকায় ঘুরে ফিরে সাংবাদিক আজাদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে চলেছে নিয়মিত। এসব ঘটনা এলকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ অবগত রয়েছেন এমনকি সাংবাদিক আজাদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাংবাদিক আজাদের ছোট ভাই সাজ্জাদ হোসেন। এখানেই শেষ নয় গত ছয়মাস যাবৎ মোজাম্মেলের বাবা গাঁজাখোর রব মিয়া তার মা হাসপাতালের আয়া আলেনা বেগম, ছোট ভাই জাহাঙ্গীর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে নিয়মিত সাংবাদিক আজাদের পরিবারকে এবং বিভিন্ন লোকজনের মাধ্যমে মোজাম্মেলের বাবা, মা সাংবাদিক আজাদের বাসায়ও গিয়েছে মামলা আপোশ করার জন্য। কিন্তু কোন সমাধান না পেয়ে মোজাম্মেল ও তার ভাই জাহাঙ্গীর সহ তাদের কিছু অনুসারী হলুদ সাংবাদিকদের দিয়ে সাংবাদিক আজাদ ও তাঁর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা ও স্থানীয় পত্রিকায় সাংবাদিক আজাদ ও তাঁর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে রূপকথার গল্পের মতো মিথ্যে, বানোয়াট, ভুয়া সংবাদ পরিবেশন করে সামাজিক ভাবে সাংবাদিক আজাদ ও তার পরিবারের লোক জনকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে চলেছে নিয়মিত। এই দুই হলুদ সাংবাদিক ও তাঁর অনুসারীদের এসব অপ সাংবাদিকতায় তাহিরপুর উপজেলার সচেতন মহলে তীব্র নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে গোটা উপজেলায়, তাঁদের এহেন অপকর্মের নিন্দা জানিয়েছেন উপজেলার সচেতন মহল।
মোজাম্মেল গংদের এসব অপকর্মের তদন্ত পুর্বক ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য সাংবাদিক হাবিব সরোয়ার আজাদ এর ছোট ভাই সাজ্জাদ হোসেন শাহ্ বাদী হয়ে তাহিরপুর থানায় সাধারণ ডায়রী করেছেন যার নং ৪৯ তারিখ:- ০৬/০৭/২০১৪ইং ও ৯৬১ তারিখ:- ২৫/০২/২০১৫ইং।
এ বিষয়ে বক্তব্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাহিরপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই জামাল উদ্দিনের মোঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এসিড মামলা সহ মোজাম্মেল ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক জিডি রয়েছে, একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক ভাবে অভিযোগ সত্য প্রমানিত হওয়ায় আদালতে মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে, বাকি গুলি তদন্ত পুর্বক ব্যাবস্থা নেয়া হবে।