নবীগঞ্জে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

suisideনবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শী ইউনিয়নের রাইয়াপুর গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে তিন সন্তানের জননীর রক্তমাখা ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবী পাষন্ড স্বামী তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছে।
মৃতের পরিবার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার রাইয়াপুর গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের কন্যা ছামিউন (২৭) এর সাথে প্রায় ১০ বছর পূর্বে প্রতিবেশী আফরোজ মিয়ার পুত্র খায়রুজ্জামান (৩৫) এর সাথে বিয়ে হয়। সাংসারিক জীবনে দুটি মেয়ে ও একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। সম্প্রতি আফরোজ আবু ছিয়াদের স্ত্রী রোকেয়া বেগমের সাথে পরকীয়া প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তুলে।
এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ছোট খাটে বিবাদসহ মনোমালিণ্য চলে আসছিল। স্থানীয় মুরুব্বীরা এ নিয়ে কয়েকবার সালিসে বসলেও সমাধান হয়নি। খায়রুজ্জামান প্রায়ই রোকেয়ার কথামত ছামিউনের উপর নির্যাতন-নিপীড়নসহ ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিতো। বৃহস্পতিবার সকালেও দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হলে মারপিট করে খায়রুজ্জামান।
ওই দিন সন্ধ্যায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন খায়রুজ্জামানের বাড়ির দুতলার একটি রোমে ছামিউনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে ছামিউনের ভাই সেকুল মিয়াকে খবর দেয়।
সেকুল মিয়া ও খায়রুজ্জামানের পরিবারের লোকজন পুলিশকে খবর দিলে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে পরিবারের জিম্মায় লাশ হস্তান্তর করে। তবে লাশের নাক-মুখ ও পা রক্তাক্ত ছিল। ঘটনার পর থেকে খায়রুজ্জামান ও রোকেয়া আত্মগোপন করায় সন্দেহের তীর এখন তাদের দিকে?