২ বছর সিম বন্ধ থাকলেই মালিকানা বাতিল

sim॥ সুরমা টাইমস ডেস্ক ॥
এখন থেকে ২ বছর ধরে মোবাইলের কোনো সিম বন্ধ থাকলে তার মালিকানা হারাবেন সিমের গ্রাহক। এ অবস্থায় বন্ধ থাকা ঐ নম্বর পুনরায় বিক্রি করার অনুমোদন অপারেটরদের দিয়ে নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
দীর্ঘ দিনের অব্যবহৃত বা পুরনো সিম বিক্রি করে প্রায়ই নানা ঝামেলায় পড়ছিল অপারেটরা। দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর সেই সিম বিক্রি করলে গ্রাহক তা ফেরত চাইলে অপারেটররা বিব্রত অবস্থায় সম্মুখীন হচ্ছিল।
‘ডাইরেকটিভস অন সার্ভিস অ্যান্ড ট্যারিফ ২০১৫’ নামে বৃহস্পতিবার জারি করা নির্দেশনায় মোবাইল সংযোগ অকার্যকর (ডি-অ্যাকটিভ), পুনরায় সচল (রি-অ্যাকটিভ), পুনরায় বিক্রি (রি-সেলিং) বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়। এছাড়া মোবাইল রিচার্জের ক্ষেত্রেও কত টাকায় কতদিন মেয়াদ দিতে হবে, তার ন্যূনতম সময় নির্ধারণ করা হয়েছে এ নির্দেশনায়।
এতে বলা হয়েছে, পরপর বা টানা ৯০ দিন বন্ধ থাকলে সেই মোবাইল সংযোগ নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। এক বছরের মধ্যে ন্যূনতম পরিমাণ রিচার্জের মাধ্যমে এই সংযোগ চালু করতে পারবেন গ্রাহকরা।
গ্রাহক যদি ৩৬৫ দিন বা এক বছরের মধ্যে এই সংযোগ চালু না করেন, তাহলে ৭৩০ দিন বা দুই বছরের মধ্যে অনধিক ১০০ টাকা রি-এক্টিভেশন ফি দিয়ে তা চালু করতে পারবে।
সংযোগ বন্ধ থাকলেও ৭৩০ দিন পর্যন্ত গ্রাহকের নম্বর সংরক্ষণ করতে অপারেটরদের বলেছে বিটিআরসি। তবে এই সময়ের পর পুনরায় বিক্রি বা পুনরায় নিবন্ধন করতে পারবে অপারেটররা, যদি কমিশন বা কোনো সংস্থার আপত্তি না থাকে।
পুনরায় বিক্রি করার আগে এসব নম্বর অপারেটরদের নিজস্ব ওয়েব সাইট, কাস্টমার কেয়ার সেন্টার এবং কমিশনের ওয়েবসাইটে দিতে হবে। তবে সেই গ্রাহকের নিবন্ধন, ব্যবহার ও অন্যান্য ডকুমেন্ট অপারেটরদের সংরক্ষণ করতে হবে।
সংযোগ বন্ধ থাকার দুই বছর পর বিক্রির তিন মাস আগে কমপক্ষে তিনটি সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানাতে হবে যে যেসব নম্বর পুনরায় বিক্রি হবে।
পুনরায় বিক্রি করা সংযোগ চলতি বাজার দরে বিক্রি করতে হবে বলেও নির্দেশনায় বলা হয়েছে। মোবাইল রিচার্জের ক্ষেত্রেও কত টাকায় ন্যূনতম মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে এ নির্দেশনায়। ১০ থেকে ৩০ টাকা রিচার্জে ১০ দিন, ৩১ থেকে ৫০ টাকায় ১৫ দিন, ৫১ থেকে ১৫০ টাকায় ৩০ দিন, ১৫১ থেকে ৩০০ টাকায় ৪৫ দিন, ৩০১ থেকে ৫০০ টাকায় ১০০ দিন, ৫০১ থেকে ৯৯৯ টাকায় ১৮০ দিন এবং এক হাজার বা তার বেশি টাকা রিচার্জে ন্যূনতম এক বছর মেয়াদ দিতে হবে। বিটিআরসির হিসাবে গত জানুয়ারি পর্যন্ত ১২ কোটি বেশি মোবাইল ফোন গ্রাহক রয়েছে বাংলাদেশে।