রাক্ষুসীদের রাজত্ব : মোঃ শামীম মিয়া

426505973_39516017এক দেশে ছিলো এক রাজা। সে অনেক কথা। তবে সে রাজ্যে প্রজারা বসবাস করতে পারতো না। রাজার রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে প্রজারা যাওয়া শুরু করলো। রাজা একদিন মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লেন। ভাবছেন, কেন প্রজারা ছুটছে অন্য রাজ্যে ? এবং রাজা তার এক মন্ত্রীকে বলেন এই কথা। মন্ত্রি বললো, হুজুর বেদবী মাফ করবেন। আসলে হুজুর আমাদের রাজ্যে রাক্ষুসীদের অত্যাচার অনেক অংশে বেড়ে গেছে। পুশু পাখি এমন কী মানুষ পযন্ত দিন-দুপুরে গেয়ে ফেলছে। রাজা তার মন্ত্রিকে বললেন, এই থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় কী ? মন্ত্রি বললো,হুজুর রেহাই পাওয়ার পথ একটাই রাক্ষুসীদের সাথে আপনাকে কথা বলতে হবে। তারা আসলে কী চায় ? হুজুর এই ছাড়া আর কোন পথ নেই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভাব এর সমাধান করা দরকার । নইলে একদিন এই রাজ্য প্রজা শূন্য হয়ে যাবে। এই কথা ঐ কথা বলতেই আসে রাজার মেয়ে সোনালী । এসে বলে আব্বাজান আপনী আর দেরি করেন না । এর একটা ব্যবস্থা করেন জলদি। রাজা মন্ত্রীকে বললো, ব্যবস্থা করো আমি দেখা করতে চাই রাক্ষুসীদের সাথে। মন্ত্রি বললো, আমি ব্যবস্থা করছি হুজুর। রাজার কাছ থেকে বিদায় নিলো মন্ত্রি। এবং চললো, বনের দিকে রাক্ষুসীদের খোঁজে।
এদিকে রাজার মেয়ে বললো, আব্বাজান এবার কী হবে? রাজা বললো, চিন্তা করিওনা আম্মাজান। আমরা ৩৩৩৩ সালে এই রাজ্যটাকে জয় করেছি যে ভাবে। তার চাই কঠিন হলেও জয় করবো। আম্মাজান তুমি ঘুমাও আমি দেখছি এদিকে। মন্ত্রি ফিরে এলে আমি ঘুমাবো।
দিনে গেছে মন্ত্রি এখন রাত বারোটা বাজে কোন খোঁজ নেই তার। রাজা ভাবছে মন্ত্রিকে কী রাক্ষুসীরা খেয়ে ফেললো। হঠাৎ দমকানো একটা বাতাস এলো সঙ্গে আগুনের গোলা। রাজা প্রথমে ভয় পায়, তারপর রাজার ভয় ভেঙ্গে যায়। আগুনের মধ্যে থেকে মন্ত্রি বললো, হুজুর ভয় পেয়েন না এইটা যাদুর আগুন মাত্র, আমি রাক্ষুসীদের এনেছি। আগুন থেকে বেড়িয়ে আসে মন্ত্রি। রাক্ষুসীরা তাদের আসল চেহারা ধারন করে। এবং বলে এই রাজা আমাদের ডাকছিস কেন রে ? রাজা রাগে আগুন তাদের ব্যবহারে। মন্ত্রি বললো, হুজুর এরা শয়তান এদের ব্যবহার এমনী হবে, আপনার মূল্যবান কথা গুলো বলুন। রাজা রাক্ষুসীদের বললো, তোমরা আমাদের রাজ্যের প্রজাদের ক্ষতি করছো কেন ? রাক্ষুসী বললো, শুধু পেটের জন্য। পেট না ভরা পযন্ত খেতেই থাকবো থাকি। যখন পেট ভরে যায় তখন আর খাইনা। আমরা জানি তুই কেন আমাদের ডেকেছিস। আমি বলি শোন, যদি রাজ্যটাকে বাঁচাতে যাস তাহলে আমাদের কথা শুনতে হবে। রাজা বললো, কী কথা শুনতে হবে? রাক্ষুসীদের একজন বললো, আমাদের পেটের দ্বায়িত্ব তোকে নিতে হবে, নইলে রাজ্য তোর রাজ্যের প্রজাদের খেয়ে ধংস করবো আমরা। রাজা বললো, কত টুকু খাদ্য দিতে হবে তোমাদের ? এক রাক্ষুসী বললো, প্রতিদিন একশত গুরু বিশটি তাজা খাশি। তবে ভুনো করে দিতে হবে। যদি পারিস তাহলে আমরা আর কোন প্রজাকে খাবো না।
রাজা তাতেই রাজি হয় । প্রতিদিন রাক্ষুসীদের কথা অনুযায়ী খাদ্য দেয় রাজা।
এভাবে বেশ কয়দিন কেটে যায়। কিন্তু রাজ্যে নেমে আসে অভাব। রাজা রাজ্যের সব মন্ত্রিদের নিয়ে মিটিং করেন। রাক্ষুসীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কী ? কোন মন্ত্রি বুদ্ধিজীবি এর উপায় পায় না। রাজা শেষ কথা বললেন, আমি এই রাজ্য ধংস হতে দিবো। আমার জীবন এর কোন চিন্তা করিনা আমি। আমার জীবনের বিনিময় যদি আমার রাজ্য রক্ষা হয় তাতে আমার দুঃখ নেই।
এই কথা বলা মাত্র দমকানো বাতাস আসে সঙ্গে রাক্ষুসীরা। তাদের বিশ্ররী চেহারাই। বেশ কয়জন মন্ত্রি অজ্ঞান হয়ে যায়। রাজাও ভয় পায়। রাজার মেয়ে সোনালী রাক্ষুসীদের হা হা হি হি হ হ খ খ হাসি শুনে বাহিরে আসে এবং দেখে রাক্ষুসীদের আসল চেহারা। সোনালী ভয় পায় তবে কাউকে বুঝতে দেয় না। এক রাক্ষুসী বললো, রাজাই আমাদের যত জামেলা। রাজা কে প্রাণে না মেরে ব্যাঙ বানিয়ে ছেড়ে দেই। রাজা কোন দিন মানুষ হতে পারবেনা। আরেক রাক্ষসী বললো, তা ঠিক বলেছো তবে রাজার মেয়েকেও ব্যাঙ বানালে খারাপ হয় না।
রাজা বললো, শয়তান রাক্ষুসী ভালো হবে না বলে দিলাম। তোরা আমাকে ব্যাঙ বানাস না তার বদলে আমাকে মেরে ফেল। এই কথা শুনে রাক্ষুসীরা আবারো হাসছে হা হা হি হি হ হ খ খ করে। অবশেষে, রাজা আর রাজার মেয়ে কে ব্যাঙ বানায় রাক্ষুসীরা। আর রাজ্য দখল করে তারা।
ব্যাঙ হয়ে রাজা আর রাজার মেয়ে চললো নদীর উদ্দেশ্যে কিছুদুর গিয়ে রাজা তার মেয়ে সোনালী কে বললো আম্মাজান নদী আরো কত দুর। সোনালী বললো,আব্বাজান আর একটু এগলেই হয় তো নদীর দেখা পাবো আমরা।
এদিকে মন্ত্রিরা অজ্ঞান অবস্থা থেকে সুস্থ হয়ে যায়। রাক্ষুসী বলে মন্ত্রিরা তোরা যদি আমার কথা না শুনিস তাহলে তোদের অবস্থা হবে রাজার মতো। এক মন্ত্রি বললো, শয়তান রাক্ষুসী আমাদের হুজুর কোথায় ? রাক্ষুসী বললো, কোথায় তা জানিনা, তবে হয়তো বা কোন নদীতে আছে। তোদের রাজা এখন ব্যাঙ। মন্ত্রিদের কিছু করার নেই। র্নিউপায় হয়ে রাক্ষুসীকে রাজা বলে মেনে নেয়।
শুরু হয় রাক্ষুসীদের র্নিযাতন। আগে যা খেতো তার চাইতে এখন দ্বিগুন বেশি খাচ্ছে। রাজ্য থেকে কমে যাচ্ছে গরু, ঘোড়া,হাতি, প্রজা, ইত্যাদি।
এদিকে রাজা আর তার মেয়ে সোনালী লাফাতে লাফাতে এলো নদীর পারে । এখন নামবে নদীর পানিতে সেই মুহুতে বাধা দেয় নদী থেকে ভেসে উঠা মৎসকন্যা। রাজা এবং সোনালী প্রথমে চমকেই উঠে। মৎসকন্যা বললো, হুজুর বেদবী মাফ করবেন। আমি মৎসকন্যা আপনাদের এই বিপদে সাহায্য করতে পারি। আপনাদের সহযোগীতা পেলে রাক্ষুসীদের রাজত্ব ধংস করা যাবে। রাজা বললো, মৎসকন্যা আমরা যে ব্যাঙ হয়েছি এর থেকে উদ্ধার হওয়ার উপায় কী ? মৎসকন্যা যাদুর মাধ্যমে একটা নীল পাথর হাতে নিলো এবং রাজাকে দিয়ে বললো, হুজুর এবার আমি যে মন্ত্র পাঠ করবো তা আপনী পাঠ করেন। ঠিক ঠিক মন্ত্র পাঠ করলে আপনী এবং আপনার মেয়ে সোনালী আবার সেই আগের মতোই মানুষ হবেন,ব্যাঙ থেকে। রাজা বললো, হ্যাঁ মৎসকন্যা তুমি এবার তোমার মন্ত্র পাঠ করো। মৎসকন্যা মন্ত্র পাঠ করছে রাজাও মন্ত্র পাঠ করছে । মন্ত্রটা এই রকম ঃ হু পিং পিং পিং ঠিং ঠিং ঠিং কিং কিং কিং রিং রিং রিং। এই মন্ত্র পাঠ করা মাত্র আগের মতো হয়ে যায় রাজা এবং তার মেয়ে সোনলী। মৎসকন্যা এবার বললো, হুজুর আমি আপনী পারবো না এই শয়তান রাক্ষুসীদের ধংস করতে। একে ধংস করতে পারবে তেরো রাজ্যের উপারে সিং সিং রাজ্যের আমদির পাড়া গ্রামের এক রাখাল। রাজা বললো, তা সম্ভাব কী করে আমি তো সেখানে যেতে পারবো না ? মৎসকন্যা বললো, তা সম্ভাব হুজুর আপনী যদি চান। আপনাদের জন্য কংকং বনে অপেক্ষা করছে উট পাখি। আপনী চাইলে আমি ডাক দেই উট পাখিকে,। তার পাখায় চরে আপনারা সেই রাজ্যে যেতে পারেন। রাজা বললো, ডাক দাও উট পাখিকে। মৎসকন্যা রাজার আদেশ পেয়ে উট পাখিকে ডাকলো। উট পাখি সঙ্গে সঙ্গে এলো নদীর পারে রাজার কাছে। এসে রাজাকে সালাম দিলো এবং বললো, বলুন হুজুর আপনার জন্য আমি সামান্য উট পাখি কী করতে পারি ? রাজা বললো, উট পাখি আমাকে আর আমার আম্মাজানকে এখনী সিং সিং রাজ্যের আমদির পাড়া গ্রামের সেই রাখালের কাছে নিয়ে যাও। উট পাখি তার পাখা দুটি মেলে দিয়ে বললো, উঠুন হুজুর । রাজা আর সোনালী উট পাখির পাখায় উঠে চললো সিং সিং রাজ্যের দিকে। তার আগে মৎসকন্যার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ছিলো রাজা এবং তার মেয়ে সোনালী। মৎসকন্যা বিদায় বেলা বলেছিলো হুজুর এখানে আবার আসতে হবে রাখালকে নিয়ে।
প্রায়, চল্লিশ ঘন্টা পর পৌচ্ছে তারা সিং সিং রাজ্যের আমদির পাড়া গ্রামে। রাজা এবং রাজার মেয়ে রাখালকে দেখা পায় মাঠেই রাখাল গরুকে ঘাস খাওয়াচ্ছে। রাজা এবং তার মেয়ে সোনালী সব খুলে বললো, রাখাল কে। রাখাল এই কথা শুনে মুছকী হাঁসলো এবং বললো, হুজুর এই সামান্য বেপার নিয়ে এসেছেন এতো দুর। রাজা বললো, তাছাড়া আমাদের কোন উপায় নেই। রাখাল বললো, হুজুর আজই যেতে চাই আপনার রাজ্যে। তবে আপনারা অন্য। কোথাও লুকিয়ে থাকবে। আমি একা যেতে চাই রাক্ষুসীর কাছে। রাজা বললো, ঠিক আছে তোমার যেভাবে ইচ্ছা সেই ভাবে তুমি কাছ করতে পারবে।
উটের পাখায় চরে আবারো আসে তারা চল্লিশ ঘন্টা পর সেই নদীর পারে। মৎসকন্যা রাজাদের জন্য অপেক্ষায় ছিলো আগে থেকেই। রাজা মৎসকন্যাকে বললো, তোমার কথা অনুযায়ী এনেছি রাখাল কে। এবার বলো কী করতে হবে? মৎসকন্যা রাখাল কে বললো, রাখাল ভাই আপনার সাহসের কথা সারা দুনিয়া জানে। তাই আমি আপনার কথা হুজুরকে বলেছি। বেদবী মাফ করবেন। রাখাল বললো, শুধু রাজা নন পৃথিবীর যে কেউ আমার সাহায্য পেতে পারে।
মৎসকন্যা বললো, এখন সময় নষ্ট করার সময় নয়। রাখাল ভাই আজ শনিবার রাক্ষুসীদের জন্মদিন। এই দিনে তাদের জীবন লুকীয়ে রাখে কোন এক স্থানে একটা কাচের বোতলের ভিতর। আপনাকে লুকিয়ে রাজ্যের ভিতরে ঠুকতে হবে। রাক্ষুসীরা জানতে পারলে আপনাকে খেয়ে ফেলবে। রাখাল বললো, যেভাবেই হক আমি ভিতরে ঠুকবো। আমি কোন রাজ্যে যাবো। রাক্ষুসীদের রাজ্যে না রাজার রাজ্যে। মৎসকন্যা বললো, আপনী রাজার রাজ্যেই যাবেন। সেখানে প্রথম বারের মত তারা জীবণ লুকিয়ে রাখছে। রাখাল আর দেরী না করে চললো রাজার রাজ্যের দিকে। রাজা আর রাজার মেয়ে সোনালী কে নিয়ে গেলো মৎসকন্যা, মৎসকন্যার রাজ্যে।
রাখাল রাজার রাজ্যে এসে দেখলো রাক্ষুসীরা তাদের জীবন লুকানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। রাখাল জানালার আড়াল থেকে লুকিয়ে দেখচ্ছে। এক সময় এক রাক্ষুসী মনের সুখে গান গাইতে শুরু করলো। আমরা রাক্ষুৃসী মরবো না কোনো দিনি, মানুষ খাবো মজিয়ে পাবো অনেক তৃপ্তি।
প্রায় এক ঘন্টা পযন্ত তারা আনন্দ ফ্রুতি করে বাহিরে চলে যায়। এই সময়ের মধ্যে রাখাল সেই রুমে ঢোকে। যে রুমে রাখা আছে জীবন রাখার বোতল। রাখাল কৌশলে বোতলটা হাতে নেয় এবং বাহিরে আসে। এসে চিৎকার দিয়ে বলে এই রাক্ষুসীর দলবল সাহস থাকলে আমার সামানে এসো। রাক্ষুসীরা সবাই রাখালের কথা গুলো শুনতে পায় এক রাক্ষুসী বললো কার এতো বড় হাহস আমাদের ডাকছে। রাক্ষুসীরা সবাই আসে রাখালের কাছে। এসে বলে এই রাখাল কী হয়েছে ? চিৎকার করছিস কেন ? রাখাল বললো, চিৎকার করছিলাম তোদের ডাকার জন্য। এবার তোরা সবাই তোদের যাদুর যন্ত্র ফেলে দে। নইলে তোদের জীবন আমি নিয়ে নিবো। এই দেখ আমি তোদের জীবন রাখার বোতল এনেছি। তোদের জীবন আমি নিয়ে নিবো। আজ তোদের আর রক্ষা নেই। রাক্ষুসীরা আতকে উঠে তারপর বলে ভাই তুমি আমাদের মেরে ফেলো না। আমরা তো তোমার কোন ক্ষতি করিনী। রাখাল বললো, তোরা কী জানিস না মানুষ মানেই ভাই ভাই। তোরা এই রাজ্যের রাজাকে ব্যাঙ বানিয়েছিলি তার সঙ্গে রাজ কন্যাকেও মানে রাজার মেয়েকেও। আজ আমি তোদের এমন শিক্ষা দিবো তা মরনের পরেও ভুলতে পারবিনা। রাক্ষুসীরা রাখালের পা ধরে বললো, ভাই আমরা এই যাবত যা যা খেয়েছি সব ফিরত দিবো। রাখাল বললো, সব ফিরত দে নইলে এক্ষনী মেরে ফেলবো। রাক্ষুসীরা এ যাবত যা যা খেয়েছে সব ফিরত দিয়ে বললো, ভাই রাখাল এবার আমাদের জীবন রাখার বোতলটা দাও। রাখাল মুছকী হেসে বললো, আমি তোদের আর বাঁচাবো না তোদের এখন মারবে এই রাজ্যের প্রজারা। রাখাল প্রজাদের বল তোমরা রাক্ষুসীদের জুতা পিটা করো তারপর আমি এদের মেরে ফেলছি। প্রজারা সবাই জুতা দিয়ে রাক্ষুসীদের মারতে থাকলো। মৎসকন্যার দেশ থেকে আসলো রাজা ও রাজকন্যা। রাজা মানুষ রুপ পেয়েছে তাই প্রজারা খুশি হয় । রাজা ও তার মেয়ে সোনালী রাক্ষুসীদের দু-গালে দুইটা জুতার বাড়ি মেরে বললো, শয়তান রাক্ষুসী আজ থেকে তোদের রাজত্ব শেষ। এবং রাখাল কে রাজা বললো, এদের এখন মেরে ফেলো। রাখাল বোতলটিকে জ্বলন্ত আগুনে ফেলে দিলো। মারা গেলো রাক্ষুসীরা। রক্ষা পেলো সবাই। এখন প্রজাদের একটাই দাবী রাজার কাছে, বীর রাখালের সঙ্গে রাজকন্যার বিয়ে হক। রাজা প্রজাদের দাবী মেনে নেয়। এবং রাখাল ও রাজন্যার বিয়ে দেয় তখনী। রাজা এই সময়ের মধ্যে মৎসকন্যা এবং উট পাখির কথা প্রজাদের বলে। আবার রাজার রাজ্য আলোকিত হয়। ধংস হয় রাক্ষুসীদের রাজত্ব।