সৌদি আরবে গুলিতে বড়লেখার আতা মিয়া খুন : গ্রামের বাড়ীতে শোকের মাতম

ata-miah-and-kidsসুরমা টাইমস ডেস্কঃ সোমবার সকালেই ঘুম থেকেই উঠেই সৌদিতে আততায়ীর বন্দুকের গুলিতে বাবা আতা মিয়ার মৃত্যুর সংবাদ পেয়েই বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন আতা মিয়ার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। প্রতিবেশী ও স্বজনদের কোন কিছুই তাদেরকে শান্তনা দিতে পারছেনা। তাদের কান্নার রোলে সেখানে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। বছর ছয়েক আগে শেষবারের মতো দেশে এসেছিলেন আতা মিয়া। এর দুই বছর পর আতা মিয়ার স্ত্রী মারা গেলে সন্তানেরা মা হারা হয়ে যান। পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, জীবিকার তাগিদে চৌদ্দ বছর আগে সৌদিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ২নং ওয়ার্ডের কুমারশাইল গ্রামের মৃত ওয়াতির আলীর পুত্র আতা মিয়া (৫৫)।
গত শনিবার সৌদির স্থানীয় সময় রাত আনুমানিক দুইটার দিকে সৌদি আরবের আল কোম্পদা এলাকায় গভীর রাতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা শয়নকক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে আতা মিয়াকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। বর্তমানে আতা মিয়ার লাশ সৌদি আরবের হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
নিহত আতা মিয়ার বড় ছেলে মাসুম জানায়, আমার বাবা মারা যাওয়ায় আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। আমাদের ভরন-পোষনের দায়িত্ব এখন কে নেবে ? আমি আমার বাবার খুনীদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।’
আততায়ীর গুলিতে নিহত মৌলভীবাজারের বড়লেখার আতা মিয়ার (৫৫) বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। নিহত আতা মিয়া উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউপি’র ২নং ওয়ার্ডের কুমারশাইল গ্রামের মৃত ওয়াতির আলীর পুত্র।
পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, জীবিকার তাগিদে প্রায় চৌদ্দ বছর আগে সৌদিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন আতা মিয়া। বছর ছয়েক আগে শেষবারের মতো দেশেও এসেছিলেন আতা মিয়া। নিহত আতা মিয়ার পরিবারে এখন দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। প্রায় দুই বছর আগে আতা মিয়ার স্ত্রী মারা গেলে সন্তানেরা মা হারা হয়ে যান। মা হারানোর শোক কাটতে না কাটতেই হঠাৎ সোমবার ২ মার্চ সকালে সংবাদ এলো তাদের পিতা আর নেই। বাবার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে বারবার ভেঙ্গে পড়ছেন নিহত আতা মিয়ার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। তাদের কান্নার রোলে সেখানে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। পিতাকে হারিয়ে সন্তানেরা এখন বাকরুদ্ধ প্রায়।