খালেদা জিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ

ban-ki-moonনিউইয়র্ক থেকে এনা: বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গ্রেফাতারি পরোয়ানা জারির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার (নিউইয়র্ক সময়) জাতিসংঘ সদর দফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ উদ্বেগের কথা জানান মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। বেগম খালেদা জিয়ার গ্রেফতারের বিষয়ে জাতিসংঘ সচেতন রয়েছে বলেও জানান উল্লেখ করেন। নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বেগম খালেদা জিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে
সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ৪৫/৫০ দিন যাবত তার নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এদিকে সরকার থেকে বলা হয়েছে সরকার পশ্চিমা বিশ্বের কোনো ধরণের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করবে না। এমতাবস্থায় জাতিসংঘের অবস্থান কি-এই প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজারিক জানান, আবশ্যিকভাবে আমরা (জাতিসংঘ) বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে সচেতন রয়েছি। জাতিসংঘ মহাসচিব এ বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশে ব্যাপক অস্থিরতা ও রাজনৈতিক সহিংসতা চলছে। বাংলাদেশের দীর্ঘ মেয়াদি উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব বর্তমান সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে রাজনৈতিক নেতাদের আবারো আহ্বান জানিয়েছেন। বিদেশী আরেক সাংবাদিক জানতে চান- মানবাধিকার হরণের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বেশ কয়েকজন র‌্যাপিড এ্যাকশন সদস্যদের তালিকা দেয়া হয়েছে। যারা জাতিসংঘের এমওএনইউএসসিও (The United Nations Organization Stabilization Mission in the Democratic Republic of the Congo )
মিশনে সম্পৃক্ত রয়েছেন। এখনো বাংলাদেশে সহিংসতা চলছে , মানবাধিকার হরণ করা হেেচ্ছ। যারা নিজ দেশে মানবাধিকার হরণ করছে তাদেরকে শান্তিরক্ষী মিশনে
পাঠানো হচ্ছে। জাতিসংঘ এসব বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। এমতাবস্থায় যারা মানবাধিকার হরনের সাথে জড়িত তাদের শান্তিরক্ষী মিশনে যোগদানের বিষয়ে ডিপার্টমেন্ট অব পীস কিপিং অপারেশন কি ধরণের ব্যবস্থা নিচ্ছে- এই প্রশ্নের জবাবে, স্টিফেন ডুজারিক বলেন, আমি আপনার প্রশ্ন বুঝতে পেরেছি এবং মনোযোগ দিয়ে আপনার প্রশ্ন শুনেছি। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন আমি গতকালও (২৪ ফেব্রুয়ারি) আমার সাধ্য অনুযায়ী জবাব দেবার চেষ্টা করেছি। যেসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ রয়েছে তাদের বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবার জন্য ডিপার্টমেন্ট ও অব পীস কিপিং অপারেশনের নিজস্ব মানদন্ড রয়েছে। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টি তথ্য পেলে আমি আপনাকে জানাবো। এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করে আরেক সাংবাদিক জানতে চান, বাংলাদেশে আইনশৃংখলা বাহিনী প্রতিনিয়ত
বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে । গতকালকেও জনপ্রতিনিধি কাউন্সিলরসহ ৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এমতাবস্থায় জাতিসংঘের অবস্থান কি- এই প্রশ্নের উত্তরে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, এবিষয়ে আমি জাতিসংঘ মহাসচিবের অবস্থান কয়েক দফা তুলে ধরেছি। মহাসচিব বর্তমান পরিস্থিতির উন্নয়ন রাজনৈতিক নেতাদের একটি শান্তিপূর্ণ সমঝোতার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। আর এভাবেই সমাধান আসতে পারে। যার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।