শেখঘাটে গর্ভের সন্তানের পিতৃত্ব নিয়ে গৃহবধুকে নির্যাতন!

pregnancyসুরমা টাইমস ডেস্কঃ জয়ন্তী দেবনাথ। ১০ সপ্তাহের অন্তঃস্বত্ত্বা ২১ বছর বয়সী এক গৃহবধূ। পেটের ১০ সপ্তাহের অনাগত সন্তানকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বামী, শাশুড়ি ও ননদ। প্রশ্ন তুলেই কান্ত নন তারা করেছেন অন্ত:স্বত্ত্বা জয়ন্তীকে শারীরিকভাবে নির্যতনও। এমন পরিস্থিতিতে অসহায় জয়ন্তীকে পুলিশ ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সহযোগীতায় পাঠানো হয়েছে পিত্রালয়ে। জানা গেছে, নগরীর শেখপাড়া ৪৬ ছায়াতরু বাসার বাসিন্দা সাধন দেবনাথের সাথে বিয়ে হয় জৈন্তাপুরের কেনড়িহাওর গ্রামের জন্মজয় দেবনাথের মেয়ে জয়ন্তী দেবনাথের। বিয়ের কিছু দিন ভাল কাটার পরই শুরু হয় জয়ন্তীর ওপর অমানষিক নির্যাতন। সম্প্রতি ১০ সপ্তাহের অন্ত:স্বত্ত্বা জয়ন্তীর ওপর পেটের সন্তানের পিতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেন স্বামী, শাশুড়ি ও ননদ। বেড়ে যায় অত্যাচারের মাত্রা। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি জয়ন্তীর ওপর নির্যাতন চলানো হচ্ছে এমন খবর জানতে পারেন জয়ন্তীর মা-বাবা। তারা সাথে সাথে ছোটে আসেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সিলেট জেলার নেতৃবৃন্দের কাছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রীনা কর্মকার সাথে সাথে সংগঠনের আন্দোলন সম্পাদক রাহিলা জেরীনকে পাঠান জয়ন্তীর স্বামীর বাসায়। সেই সাথে সন্ধ্যা ৬টায় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জয়ন্তীর স্বামীর বাড়ি যাবেন বলে জানান। দিনে রাহিলা জেরীন বাসায় গিয়ে জানতে পারেন জয়ন্তীকে নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি সাথে সাথে সাধারণ সম্পাদক রীনা কর্মকারকে বিষয়টি অবগত করেন। এরপর সন্ধ্যায় জয়ন্তীর স্বামীর বাড়ি যান মহিলা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারা ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর তাদের সাথেও অসদ আচরন করেন নির্যাতিতা জয়ন্তীর শাশুরী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন. সাধারণ সম্পাদক রীনা কর্মকার, লিগ্যাল এইড সম্পাদক রওশন আরা মুকুল, সদস্য তৃষ্ণা কমলা তালুকদার, আন্দোলন সম্পাদক রাহিমা জেরীন ও অরুন চক্রবর্তী। পরে মহিলা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও পুলিশের সহযোগীতায় কিছু দিনের জন্য জয়ন্তীকে পাঠানো হয় তার বাবার বাড়ি জৈন্তাপুরে।
এ ব্যাপারে লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রবিউল হক মাসুম গনমাধ্যমকে জানান, পেটের সন্তান নিয়ে জয়ন্তীর স্বামী তাকে অযতা সন্ধেহ করছে। সন্তান তাদের। সব ধরণের টেষ্ট করানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, লেখাপড়া করেনি ওর স্বামী; তাই স্ত্রীকে ভুল বুঝছে। নির্য়াতনের ব্যাপারে তিনি বলেন, তাকে মানষিকভাবে নির্য়াতন করা হয়েছে।
মহিলা পরিষদ সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক রীনা কর্মকার জানান, পুলিশ ও সংগঠনের সহযোগীতায় মেয়েকে আপাতত তার বাবা-মায়ের কাছে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে বিষয়টি সমাধান করে দেয়া হবে। আমরা চাই তারা সুখে শান্তিতে সংসার করুন।