ওসমানী হাসপাতালে মৃত্যুর মিছিল ॥ তদন্ত দলের সিলেট ত্যাগ

Osmani medical College Hospitalসুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেট এমএ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ শিশুসহ ৩২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ঘটিত তিনটি কমিটিই দায়সারাভাবে তাদের কাজ পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরর ও মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হাসপাতাল পরিদর্শন ও ব্যবস্থাপত্র দেখেই গত বুধবার সিলেট ত্যাগ করেছেন। আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কমিটি তদন্ত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় সময় চাইবেন বলে জানান। শুধুমাত্র ব্যবস্থাপত্র দেখেই দুইদিন সময় পার করেছেন তারা। জানা গেছে, নিহতের স্বজনদের সাথে তারা দেখা বা কোন ধরনের যোগাযোগ না করেই চলে গেছেন।
হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, গত সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ঘন্টায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৩২ জন রোগীর মৃত্যু হয়। এর মধ্যে পাচঁ নবজাতকসহ ১০ শিশু। মারা যাওয়া শিশুদের স্বজনরা অভিযোগ, ‘চিকিৎসকদের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায়’ তাঁদের শিশুরা মারা গেছে।
তবে, ওসমানী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথম থেকেই বলে আসছেন, ‘মৃত্যু স্বাভাবিক, সংখ্যা অস্বাভাবিক। ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ ও অতিরোক্ত রোগীর কারণে এসব শিশুর মৃত্যু হয়েছে, এর জন্য চিকিৎসকরা দায়ী নন।’ এ অবস্থায় বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঘটনার সঠিক তদন্তের জন্য স্বাস্থ মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম-সচিব মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে হাসপাতালে স্বান্থ্য বিভাগের পরিচালক (হাসপাতাল ও নাসিং) সামিউল ইসলাম সাদী ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা.আবির হোসেন রাব্বিকে নিয়ে স্বাস্থ মন্ত্রনালয় এবং স্বাস্থ অধিদপ্তরের ডিজি‘র অফিস থেকে দু‘সদস্যের, পৃথক পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার সকালে স্বাস্থ মন্ত্রনালয় এবং স্বাস্থ অধিদপ্তরের ডিজি‘র অফিসের গঠিত পৃথক তদন্তদল ওসমানী হসপাতালে তদন্ত কাজে আসেন। দুই তদন্তদলই নিহত হওয়া শিশুর স্বজনদের সাথে যোগাযোগ না করেই শুধুমাত্র শিশুদের ব্যবস্থাপত্র ও হাসপাতাল পরির্দশন করে ওইদিনই সিলেট ত্যাগ করেন।
এদিকে ওসমানী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ইসমাঈল পাঠোয়ারীর নেতৃত্বে প্রথমে তিন সদস্যের পরে বিকালে আরো তিন সদস্যের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে। এ কমিটি ও গঠন হওয়ার পর থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত শুধু হাসপাতালের ব্যবস্থাপত্র দেখেই দু‘দিন পার করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তদন্তদলের প্রধান অধ্যাপক ইসমাঈল পাঠোয়ারী বলছেন আমাদের কাজ শেষ হয়নি সবেমাত্র ব্যবস্থাপত্র দেখলাম, আরো সময়ের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হবে।