আমরা দেশের স্বার্থে কেন এক হতে পারি না?

rowshon ershadসুরমা টাইমস ডেস্কঃ দেশের শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী যে পদক্ষেপ নিবেন, জাতীয় পার্টি তার সাথে থাকবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদে বক্তব্য রাখার সময় একথা বলেন তিনি। মঙ্গলবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের দ্বিতীয় কার্যদিবসে মাগরিবের বিরতির পর পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে রওশন এরশাদ বলেন, যেকোনো দাবি আদায়ের মূল হাতিয়ার হরতাল, অবরোধ। কিন্তু বর্তমানে হরতাল অবরোধের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। একের পর এক মানুষ পুড়িয়ে মারছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে আগুন দিচ্ছে। এটা কোনো আন্দোলন নয়, এটা সন্ত্রাস।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, চলমান সহিংসতা প্রতিরোধে আপনি যে পদক্ষেপ নেবেন আমাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যহত থাকবে।
এ সময় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। সহিংসতা বন্ধ করতে, দেশের সার্বিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) যে পদক্ষেপ নেবেন আমরা সহযোগিতা করবো বলেও উল্লেখ করেন রওশন এরশাদ।
হরতাল, অবরোধে ক্ষয়ক্ষতি তুলে ধরে তিনি বলেন, গত ১৫/১৬ দিনে ২৫-৩০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সহিংসতায় ২০০-৩০০ লোক ক্ষতি হয়েছে। বেশকিছু মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করছেন। এর দায়-দায়িত্ব কার? এদের কে দেখবে? লাখ লাখ শ্রমিক অনাহারে দিনাতিপাত করছে। গার্মেন্টস সেক্টরে হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না। আমার এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
রওশন আরও বলেন, আমরা দেশের স্বার্থে কেন এক হতে পারি না?।
প্রতিহিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতি দিয়ে কোনো কিছু আদায় করা যায় না, অর্জন করা যায় না। ফ্রান্সের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সেখানে ৫০টি দেশের নেতারা একমত হয়েছিলেন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার। সেই আন্দোলনে ১০ লাখের বেশি মানুষ প্রতিবাদ করেছিল। আমরা কেন পারি না?।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধী, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সব দেশেই হয়। সেই ধারাবাহিকতায় আমাদের দেশেও হচ্ছে। তার প্রতিবাদে তো আন্দোলন হতে পারে না।
বিশ্ব ইজতেমার মধ্যে অবরোধ অব্যহত রাখার নিন্দা জানিয়ে রওশন বলেন, হজের পর সবচেয়ে বড় জমায়েত এটি, অথচ সেই জমায়াতের দিনও তারা অবরোধ শিথিল করে নাই। এটা কোনো আন্দোলন হতে পারে না। এটা কিভাবে বন্ধ করা যায়, চিন্তা করতে হবে। যেকোনো ভাবেই হোক, হরতাল-অবরোধ বন্ধ করতে হবে।