সিলেটে অবরোধ-আতঙ্ক : রাতে তেলিহাওর পূবালী ব্যাংকে ও দক্ষিণ সুরমায় বাসে ঢিল

hortalসুরমা টাইমস ডেস্কঃ অবরোধের ১৫তম দিন অতিবাহিত হয়েছে গতকাল সোমবার। অপরোাধ সমর্থকরা গতকাল দুপুরে দক্ষিণ সুরমার পালপুর নামক স্থানে একটি বাসে ও রাতে নগরীর তালতলাস্থ পূবালী ব্যাংকে টিল মেরে গ্লাস ভেঙে পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধ আতঙ্ক ছড়াতে রাত পৌনে ৯টায় নগরীর তালতলাস্থ পুবালী ব্যাংকে ৮/১০ জন ছাত্রদলকর্মী টিল মারে। এতে ব্যাংকের দুতলার একটি গ্লাস ভেঙে গেছে। এসময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতে ছাত্রদলকর্মীরা রাস্তায় একটি চকলেট বোমা ফুটিয়ে পালিয়ে যায়। অপরদিকে দুপুরে দক্ষিণ সুরমার পালপুর এলাকায় ৪/৫ জন যুবক একটি চলন্ত বাসে ঢিল মেরে বাসটির সামনের গ্লাস ভেঙে ফেলে। তারা বাসে টিল মেরে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রবিউল ইসলাম জানান, তালতলার পূবালী ব্যাংকে ৮/১০ জনের একদল দুর্বৃত্ত ঢিল মেরে পালিয়ে যায়। এ সময় একটি চকলেট বোমা ফুটিয়েছে তারা।
আলমপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জয়ন্ত কুমার দে সবুজ সিলেটকে জানান, পালপুরে কেউ পিকেটিং করেনি। তবে একটি চলন্ত বাসে দুর্বৃত্তরা ঢিল মেওে সাথে সাথে পালিয়ে গেছে।
অপরদিকে, অবরোধে গত কয়েকদিনের মতই যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক। নগরীর সবকটি বাসট্যান্ড থেকে সিলেটের বিভিন্নস্থানে বাস ছেড়ে গেলেও সিলেট বিভাগের বাহিরে বাস ছেড়ে সল্প সংখ্যক। যে কয়েকটি বাস সিলেট থেকে রাজধানীসহ অন্য বিভাগে ছেড়ে গেছে; সেগুলোতে যাত্রীদের সংখ্যা ছিল প্রচুর। অপরদিকে অবরোধ সমর্থনে প্রথমদিকে যে পরিমান মিছিল সমাবেশ করেছে ২০ দলীয় জোট; এখন আর সেরকম কর্মসূচি সিলেটের রাজপথে পালন করা হচ্ছেনা। নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছেন মাঠ ছাড়া। আর সিলেটের রাজপথে ২০ দল বলতেই বিএনপি-জামায়াত। এ দুটি দল ছাড়া বাকী ১৮ দলের নেতাকর্মী কিংবা সংগঠনের ব্যানার গত ১৫ দিনে সিলেটের রাজপথে দেখা যায়নি।
অবশ্য গতকালের অবরোধে ২০ দলের বাকী ১৮দল মাঠে না থাকলেও বিএনপির অঙ্গ-সংগঠন সেচ্চাসেবক দল বিকেল ৪টার সময় নগরীর শেখঘাট পয়েন্টে মিছিল সমাবেশে করেছে। একই সময় সদর দক্ষিণ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অবরোধের সমর্থনে জালালপুর বাজারে মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপি নেতা ও সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি কোহিনুর আহমদ, জেলা যুবদল নেতা বখতিয়ার আহমদ ইমরান, মিনহাজুল ইসলাম, নাজির হোসেন, জেলা ছাত্রদল নেতা শেখ নুরুল ইসলাম, মুর্শেদ আহমদ, মহানগর ছাত্রদল নেতা লোকমান আহমদ, উপজেলা ছাত্রদল নেতা মাহবুবুল আলম, রায়হানুল হক প্রমুখ।