আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৫

ফাইল ফটো
ফাইল ফটো

সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সোনাইমুড়ীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে যুবলীগ নেতাসহ পাঁচ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের আবিরপাড়া বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি বদিউজামান খোকন (৩০), একই গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছেলে শাহ আলম (১৮), মো. পিন্টু (২০), কাজিরখিল গ্রামের মো. ইমন আলীর ছেলে সবুজ (১৬), সাতঘরিয়া গ্রামের ওলি উল্ল্যা মাস্টারের ছেলে মো. মিজানুর রহমান (২৮)। তবে আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় যুবলীগ কর্মী ও পার্শ্ববর্তী চাটখিল উপজেলার শিবপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে সোহেলের ওপর আবিরপাড়া বাজারে হামলা চালায় সজিব, পারভেজ ও সাহেদসহ কয়েকজন। এসময় তারা সোহেলকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার সন্ধ্যায় আবিরপাড়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা মুখোমুখি হয়ে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে যুবলীগ নেতা খোকনসহ পাঁচ জন গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। গুলিবিদ্ধসহ আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি বদিউজামান খোকন গুলিবিদ্ধদের নিজ দলের কর্মী দাবি করে জানান, বিএনপি এবং ছাত্রদলের ক্যাডার সজিব, পারভেজ ও সাহেদ কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন ভাবে তার ওপর হামলার চেষ্টা করছিল। শনিবার সন্ধ্যায় তারা সোহেলকে পিটিয়ে জখম করে। রোববার সন্ধ্যায় তারা চাটখিলের শিবপুর গ্রামে সোহেলের বাড়িতে ভাঙচুর করে। পরে তাদের মিছিলে হামলা করে।
এ ব্যাপারে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ উল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি।