উপশহরের অস্ত্রধারীদেরকে পোষছেন বিএনপি নেতা মুক্তাদির ও সাঈদ ?

Sylhet-BNP-Leadersসুরমা টাইমস ডেস্কঃ দলের ভালো কর্মীদেরকে পাশে টানতে না পেরে ছিনতাইকারী ও অস্ত্রধারীদেরকে পাশে টেনে নিয়েছেন সিলেট বিএনপির সাবেক এমপি খন্দকার আব্দুল মালেকের পুত্র বিএনপি নেতা শিল্পপতি খন্দকার মুক্তাদির ও সিলেট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এডভোকেট সাঈদ আহমদ। গত বুধবার সিলেট নগরীর উপশহর ছিনতাইকারী আস্তানা থেকে বিপুল পরিমান গুলি ও অস্ত্র সহ ৬ যুবককে আটক করে পুলিশ। আর এই ৬ আটককৃত যুবকের একজন আতিক আহমদ লাভলুর সাথে খন্দকার মুক্তাদির ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতির এডভোকেট সাঈদ আহমদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে একটি সুত্রে জানা যায়। বিশেষ করে সিলেট ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন হওয়ার পর এই সম্পর্ক গড়ে উঠে। অবশ্য আতিক আহমদ লাভলু উপশহরে ছিনতাই ও ডাকাতি করার জন্য শুধুই এই দু নেতার সাথে সম্পর্ক রাখেন না । ক্ষমতার জন্য তিনি ২২ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুশাহিদ ও মহানগর যুবলীগের সদস্য শামীম ইকবালের সাথে সম্পর্ক রাখে বলে জানা যায়। লাভলু র্দীঘ দিন ধরে উপশহরে ছিনতাই ও ডাকাতি করে আসছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন । তাই নিজেকে বাচানোর জন্য যখন যে দল ক্ষমতায় যায় তখন সে দলের আশ্রয় নেয় ।

বিএনপি নেতা খন্দকার মুক্তাদির সিলেটের রাজনীতিতে আসতে বিভিন্ন কৌশল করে ব্যার্থ হয়ে এই ছিনতাইকারী ও অস্ত্রধারীদেরকে আশ্রয় দিচ্ছেন বলে একটি সুত্রে জানা যায়। এদিকে দীর্ঘ একযুগ পর সিলেট ছাত্রদলের কমিটি টাকার বিনিময়ে তিনিই এনে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠে। তবে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষনার পর বড় একটি অংশ বিদ্রোহ ঘোষনা করে মাঠে অবস্থান করলে তখন বিদ্রোহীদের দাপটের কাছে অসহায় হয়ে পড়ে ছাত্রদলের নতুন কমিটির নেতারা। কিন্তু অবশেষে আওয়ামীলীগের সাথে আঁতাত করে পুলিশের সহায়তা নগরীতে অবস্থান করে ছাত্রদলের নতুন কমিটি। কিন্তু অবস্থান করলেও দলের ভালো কর্মীদেরকে কাছে ভিড়াতে পারেননি ছাত্রদলের নতুন কমিটির নেতারা। কমিটি ঘোষনার পর জেলার আওতাধীন উপজেলা ও থানা এবং মহানগরের ওয়ার্ড কমিটি গঠনের জন্য কর্মী সমাবেশ করেন ছাত্রদলের নেতারা । অভিযগ আছে এই কর্মী সমাবেশে বেশি লোক দেখানোর জন্য টাকা দেন খন্দকার মুক্তাদির। তাই তিনি দলের কোন পদে না থেকেও কর্মী সামাবেশে প্রধান অথিতি হয়ে উপস্থিত থাকেন । কর্মী সমাবেশে প্রায়ই দেখা যায় তার সাথে ছিনতাইকারী ও ডাকাতি মামলার আসামীদেরকে। সর্বশেষ উপশহরের ছিনতাই আস্তানা থেকে অস্ত্রধারী এক যুবক আতিক আহমদ লাভলু সাথে তার একটি ঘনিষ্ঠ ছবির সন্ধান পাওয়া যায়। ছবিতে দেখা যায় ছিনতাইকারী ও অস্ত্র ব্যবসায়ী আতিক আহমদ লাভলু সাথে বিএনপি নেতা খন্দকার মুক্তাদির ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদ আহমদ। এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা মুক্তাদিরের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এডভোকেট সাঈদ আহমদের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আতিক আহমদ লাভলু নামের কাউকে আমি চিনিনা। আমি সভাপতি হওয়ার পর অনেকেই আমার সাথে ছবি তুলেছে।