‘ওই শামীম, থাপড়াইয়া তোর দাঁত ফেলে দেবো’

shamim and shirinসুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিএনপি’র প্রেস কনফারেন্সে মঙ্গলবার বিকেলে দলের সহ-দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমানকে থাপ্পড় মারার হুমকি দিলেন মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন সুলতানা। ‘ওই শামীম থাপড়াইয়া তোর দাঁত ফেলে দেবো। তুই আমারে কখনোই চোখে দ্যাখোস না,’ এই ছিলো তার হুমকির ভাষা।
শামীমুর রহমানের অপরাধ, সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের নাম বলতে গিয়ে তিনি শিরীন সুলতানার নাম উচ্চারণ করেন নি। এতে শামীমুর রহমানের ওপর শিরীন সুলতানা ক্ষেপে গেলেও দলেও নেতাকর্মীরা তার প্রতিক্রিয়াকেই অশোভন মনে করছেন।
নেতাকর্মীদের মতে, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কোথাও গেলে তার সঙ্গে সঙ্গে থাকেন শিরীন। আর এ নিয়ে প্রায়শই দম্ভ করে থাকেন তিনি। তিনি যে খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠজন তা প্রকাশে সবসময়ই সরব তিনি। আর এ কারণেই তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির একজন দায়িত্বশীল নেতাকে এভাবে গালি দিয়ে নিজের ক্ষমতা জাহির করেছেন।
বিকেলে নয়াপল্টনে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন সাংবাদিক সম্মেলন করছিলেন তখন শিরীন ও শামীম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিবুন্নবী খান সোহেল, ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসান, সাধারন সম্পাদক আকরামুল হাসান, সহদফতর সম্পাদক আসাদুল করিম।
শামীমুর রহমান শুরুতে দাঁড়িয়ে নেতা-নেত্রীদের পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে এদের সকলের নামই বলেন, কেবল বাদ পড়ে থাকে শিরীন সুলতানার নাম। এক সময়ের ডাকসু নেতা শিরীন সুলতানা এতে ক্ষিপ্তই হন। তিনি বেশ রেগেমেগে শাসাতে থাকেন শামীমুরকে। এতে উপস্থিত সবাই হকচকিয়ে যান। বিস্মিত হন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে বিষয়টি আর গড়ায়নি। নেতারা দ্রুতই শিরীন সুলতানাকে শান্ত করলে সাংবাদিক সম্মেলন শুরু হয়।
সাংবাদিকদের মধ্যে অবশ্য এ নিয়ে কানাঘুষা চলতেই থাকে। যার জের সংবাদ সম্মেলনের পরেও দেখা যায়। অনেকেই বলেন, বিএনপির কর্মসূচিগুলোতে এমন অগোছালো ভাব প্রায়শঃই চোখে পড়ে। মঞ্চে বসা নিয়ে ধাক্কাধাক্কি, কথা কাটাকাটি, বিশৃঙ্খলা দলটির নৈমিত্যিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে।