স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

fileসুরমা টাইমস ডেস্কঃ ২৩ ঘন্টা পরে শিশু জিহাদের লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয় লোকজন। উদ্ধার তৎপরতায় গাফিলতির অভিযোগে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। রাজধানীর শাজাহানপুরে রেলওয়ে কলোনি এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর চলছে। জিহাদকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণার পর এ বিক্ষোভ ও ভাঙচুর শুরু হয়। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রেখেছে।
শনিবার বিকেল তিনটার কিছু সময় পর শিশু জিহাদকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকাল তিনটা ৪০ মিনিটে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা জানান, কয়েকঘণ্টা আগে জিহাদের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে শক্ত কিছুর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এর আগে শনিবার দুপুর আড়াইটায় সংবাদ সম্মেলন করে উদ্ধার অভিযান স্থগিতের ঘোষণা দেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মদ খান। তিনি বলেন, ওই পাইপলাইনে শিশু জিহাদের অবস্থান সম্পর্কে সুষ্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের এমন বক্তব্যের কিছুক্ষণ পর শিশু জিহাদকে উদ্ধার করা হয়।
জিহাদকে উদ্ধার তৎপরতায় গাফিলতি ছিল, এমন অভিযোগ তুলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ভাঙচুর শুরু করে। তাদের অনেকে বলছেন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কীভাবে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বক্তব্য দিলেন? তিনি কীভাবে শিশু জিহাদের আটকা পড়ার ঘটনাকে ‘গুজব’ বলেছেন।
শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বিষয়টিকে গুজব বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
ওই সময় তিনি বলেন, ‘প্রায় ১১ ঘণ্টার চেষ্টায় ৩০০ ফুট নিচেও শিশুর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। আমরা নিশ্চিত পাইপটির ভেতরে শিশুটি নেই। তবে গর্তে টিকটিকিসহ কীট পতঙ্গ আছে। এতে বোঝা যায় সেখানে পর্যাপ্ত অক্সিজেন আছে।’
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের পর শিশুটির পরিবার দাবি করছিল জিহাদ পাইপের ভেতরেই আছে। প্রতিমন্ত্রী ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে শাহজাহানপুর থানা পুলিশ জিহাদের বাবা নাসির বকুলকে থানায় নিয়ে যান। ঘটনার ‘তদন্তের স্বার্থে’ তাকে নেওয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশের মতিঝিল জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার আনোয়ার হোসেন।

এদিকে শুক্রবার রাতে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ৩০০ ফুট গভীরের ক্যামেরা পাঠানোর কথা বললেও শনিবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলেছেন তারা সর্বোচ্চ ২৪৫ ফুট নিচে ক্যামেরা পাঠাতে পেরেছেন। সকাল ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডেপুটি অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর (ডিএডি) মো. আবদুল হালিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।