নিজেকে যুবরাজ বলে বেড়ালেও সে যুবলীগের কেউই নয় : রচনা

Rochona Begomসুরমা টাইমস ডেস্কঃ ‘সন্ত্রাসী শামীম তো শামীমই, সে যুবলীগের কেউই নয়। নিজেকে যুবরাজ বলে বেড়ালেও পাথুরে সন্ত্রাসী হওয়ায় তার নাম হয়ে গেছে পাথুরে শামীম। এই পাথর শামীমের চাঁদাবাজির টাকায় ভাগ পেয়ে আলফু, মাহফুজ, আজমল ও ভুট্টো আজ জিরো থেকে হিরো হয়ে খুন রাহাজানিসহ নানা অপকর্মে জড়িত হয়ে সম্মানজনক আইনপেশা ও জনপ্রতিনিধিত্বের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলো সব সময় তাদের এ অপকান্ডের প্রতিবাদ ও বিরোধীতা করে আসছে। এ প্রতিবাদ আন্দোলনের সাথে আমার বাবা-চাচারা যুক্ত ছিলেন। যার কারণে আমার পিতা আব্দুল আলী শামীম চক্রের রোষানলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন।’ শামীম ওরফে পাথর শামীম কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা তথা উত্তর সিলেটের গ্রেট সন্ত্রাসী ।
সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে রবিবার বেলা আড়াইটায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ নেতা নিহত আব্দুল আলীর মেয়ে রচনা বেগম।
তিনি বলেন, ‘সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ ও পরিবেশ বিধ্বংসী বোমা মেশিন চক্রের কবল থেকে সাধারণ পাথর শ্রমিকদের উদ্ধার ও নিরীহ শ্রমিকদের পক্ষে কাজ করায় আমার বাবাকে নির্মমভাবে খুন করে আমাদেরকে এতিম বানানো হয়েছে। কিন্তু হত্যাকান্ডের নেপথ্যের নায়করা প্রকাশ্যে ঘুরছে। পাশাপাশি পাল্টা মিথ্যে ও সাজানো মামলা দিয়ে আমাদের ও আমার পিতা হত্যাকান্ডের মামলার স্বাক্ষী এবং পক্ষের লোকজনদের হয়রানি করে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তে চরম বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। আমার পিতার ঘাতক ও নেপথ্যের নায়করা সম্প্রতি তিন মহিলা দিয়ে আমার চাচা আব্দুল হক, সোনা মিয়াসহ আমাদের পক্ষের ৪৫ জনকে আসামি করে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানায় পৃথক তিনটি মামলা করিয়েছে। হত্যাকান্ডের নেপথ্যের নায়কদের কয়েকজন সিলেট জেলা আদালতের আইনজীবি হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে মামলাগুলো রেকর্ডের আদেশ হাসিল করেছে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’
রচনা বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা তথা উত্তর সিলেটের গ্রেটসন্ত্রাসী শামীম ওরফে পাথর শামীম, শামীমের সহযোগী এড. মাহফুজ, এড. আজমল, এড. হাবিবুর রহমান ভুট্টো, ও ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল অদুদ আলফু। তার তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ পাথর খনি ভোলাগঞ্জে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে। আদালত ও প্রশাসনের আদেশ নিষেধ উপেক্ষা করে পরিবেশ বিধ্বংসী পাঁচ শতাধিক অবৈধ বোমা মেশিন বসিয়ে দৈনিক ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে চলেছে। তাদের এমন বিধ্বংসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় আমার বাবাকে তারা হত্যা করেছে।’
রচনা বেগম ‘পাথর শামীম’সহ তার পিতা আব্দুল আলীর হত্যাকান্ডের নেপথ্যের নায়কদের অবিলম্বে গ্রেফতার, চাঁদাবাজি ও বোমামেশিন বন্ধ এবং নরঘাতক শামীম চক্রের জিম্মিদশা থেকে কোম্পানীগঞ্জবাসীকে মুক্তি প্রদানে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের আশু পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান।