বৈধ মালিকদের ঠেকাতে অবশেষে তারাই অবৈধ

গড়বিলে মৎস্য সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন গড়গাঁও গ্রামবাসী

CHHATAJ PHOTO 2 (1)ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : ছাতকের কালারুকা ইউনিয়নের মামদপুর মৌজার ৬৫ শতক জলাশয় ঘিরে গড়বিলে মৎস্য সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন গড়গাঁও গ্রামবাসী। গ্রামের কৃষকরা মৌসুমের ধান তোলার পাশাপশি শনিবার থেকে নিজেদের মালিকানা বিলে ইতোমধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সর্বস্থরের অধিবাসীরা বিলে সৎস্য সংগ্রহ করছেন। বিলের বৈধ মালিকদের ঠেকাতে অবশেষে তারাই অবৈধ হয়ে গেলেন। গোবিন্দগঞ্জ-ছাতক সড়কের গড়গাঁও গ্রাম সংলগ্ন এবং ছাতক-সিলেট রেল লাইনের পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত বিলটির নাম গড়বিল। যুগ যুগ ধরে এ বিলের মাছ আহরণ করে আসছেন গড়গাঁও গ্রামের অধিবাসীরা। তাও গ্রামের নামের সাথে বিলটির নাম সংযুক্ত রয়েছে। নাম তার গড়বিল।
জানা যায়, প্রতি বছর অগ্রহায়ন মাসের শেষ দিকে জ্বাল ফেলে পৌষ মাস পর্যন্ত বিলের মৎস্য আহরণ করা হয়ে থাকে এ বিলে। এ বছর বিলটিতে মাছ ধরার কোন সুযোগ ছিলনা। গড়বিল জোরপূর্বক দখল এমন মিথ্যা অভিযোগ এনে গড়গাঁও গ্রামের খুশিদ আলী গংদের বিরুদ্ধে সহকারী জজ আদালত ছাতক সুনামগঞ্জে স্বত্ব মোকদ্দমা নং-(৭৯/১৩ইং) দায়ের করা হয়। ফলে এ বিলের মাছ ধরার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন গ্রামবাসী। আর এ মামলার বাদী ছিলেন স্থানীয় তকিপুর গ্রামের রজব আলী গং। পরে মামলার বিবাদী খুশিদ আলীর পক্ষ ৯ নভেম্বরে নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত দাখিল করলে ১৭ নভেম্বর আদালত ৭দিনের মধ্যে কারণ দর্শানো সহ আপত্তি দাখিল না করা পর্যন্ত ১-৫ নং-মামলার বাদী রজব আলী, খোয়াজ আলী, জুবেদ আলী, আবদুস ছোবহান ও আবদুস ছমাদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে অন্তবর্তী কালীন নিষেধাজ্ঞা আদেশ প্রদান করেন। এতে গ্রামবাসীরা শনিবার থেকে জ্বাল দিয়ে গড়বিলে মৎস্য ধরা শুরু করছেন।
এ ব্যপারে গড়গাঁও গ্রামের ছালেক আহমদ, সুয়েব আহমদ, আবদুর রহিম, খুশিদ আলী, আবদুল খালিক, মখলিছ মিয়া, মাওলানা আমির আলী জানান, এর আগে ২০১০ সালে এ বিলটি নিজেদের মালিকানা দাবি করে জবর-দখলের অপচেষ্টা করে মোশাহিদ আলী ঠান্ডা। এ বিষয়ে গড়গাঁও গ্রামবাসীর পক্ষে আছাব আলী ছাতক থানায় একটি জিডি এন্টি করেন। জিডির প্রেক্ষিতে থানার ওসি বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষে স্থানীয় তকিপুর গ্রামের আছলম আলীর বাড়িতে বর্তমান ছাতক উপজেলা আ’লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আবরু মিয়া তালুকদারের সভাপতিত্বে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মর্তুজ আলী, বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, কালারুকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল হক, আছলম আলী, আজিজুল হক মেম্বার, ইসমাঈল মেম্বারসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠিত বৈঠকে উভয় পক্ষের কাগজপত্র ব্যাপক যাচাই-বাচাই শেষে সালিশ বৈঠকে গড়গাঁও গ্রামবাসির পক্ষে রায় ঘোষণা করা হয়। পরে মোশাহিদ আলী ঠান্ডা থানায় অঙ্গিকার নামায় স্বাক্ষর করেন।