আওয়ামী ফ্যাসীবাদ-জুলম-নিপীড়ন এরশাদের স্বৈরশাসনকেও হার মানাচ্ছে :

গনতন্ত্র মুক্তি দিবসে সিলেট নগর জামায়াতের আলোচনা সভায় এডভোকেট জুবায়ের

Sylhet City Jamat Photo -06-12-14বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরীর আমীর এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর দেশপ্রেমিক জনতার দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে এরশাদের স্বৈরশাসনের পতন ঘটে। এই দিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবী আদায় করার মাধ্যমে গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছিল। জনগণ ফিরে পেয়েছিল তাদের ভোটের অধিকার। আবারও স্বৈরশাসনের প্রেতাত্মা আওয়ামী অপশক্তি জাতির ঘারে জগদ্দল পাথরের ন্যায় বসে রয়েছে। তাদের অবৈধ মতা লিপ্সা বহু কষ্টে অর্জিত গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে। আধিপত্যবাদী-সম্প্রসারণবাদী শক্তি তাদের এদেশীয় এজেন্টদের সহায়তায় বাংলাদেশকে সার্বভৌমহীন ভূ-খন্ডে পরিণত করতে চাইছে। হাসিনা সরকারের ফ্যাসিবাদী কায়দায় জুলুম, নিপীড়ন ও নির্যাতনের ষ্টীমরোলার এরশাদের স্বৈরশাসনকেও হার মানাচ্ছে। গণতন্ত্র মুক্তি দিবসের চেতনায় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। স্বৈরাচারী এরশাদও যেমন বন্দুকের জোরে মতায় টিকে থাকতে পারেনি, আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরাও মতায় টিকে থাকতে পারবে না।
তিনি গতকাল শনিবার জামায়াত কেন্দ্র ঘোষিত ৬ ডিসেম্বর গণতন্ত্র মুক্তি দিবস উপলে সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। মহানগর সহকারী সেক্রেটারী নুরুল ইসলাম বাবুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন মহানগর সেক্রেটারী মাওলানা সোহেল আহমদ, জামায়াত নেতা মুফতি আলী হায়দার, মাওলানা আব্দুল মুকিত, আব্দুল্লাহ আল মুনিম, এডভোকেট আলীম উদ্দিন, এডভোকেট জামিল আহমদ রাজু, আনোয়ার আলী, চৌধুরী আব্দুল বাছিত নাহির, শফিকুল আলম মফিক, রফিকুল ইসলাম মজুমদার প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, জেনারেল এরশাদ ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে জাতির ঘাড়ে চেপে বসেছিলেন। ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৯ বছর ইতিহাসের নিকৃষ্টতম দুঃশাসন চালিয়ে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি নির্বাচন ব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সমূহ ধ্বংস করে দিয়েছে। অবৈধ মতাকে বৈধ করার জন্য ভোট ডাকাতির প্রহসনের নির্বাচন করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিল। আজ আবার আওয়ামী অপশক্তি স্বৈরাচারী এরশাদকে সঙ্গে নিয়ে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে গেছে। জাতিকে এ অবস্থা থেকে উদ্ধার করার জন্য আন্দোলনের বিকল্প নেই।  বিজ্ঞপ্তি