মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে নবীগঞ্জে কৃষক খুন
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ) থেকেঃ নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর গ্রামে নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিপরে ফিকলের আঘাতে এক ব্যক্ত নিহত হয়েছে। অপর একজনকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত ছানু মিয়া (৩৮) ঐ গ্রামের আব্দুর রহমানের পুত্র। ঘটনার পর পরই হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। আটককৃতরা হলেন আহাদ মিয়া (২০), তার পিতা রশিক মিয়া (৫৮) ও তার মা মুলুক চাঁন (৪৮)।
জানাযায়, নবীগহ্জ উপজেলার গজনাইপুর গ্রামের বিজনা নদীর পাড়ে গাছতলার ডরের পাশাপাশি নিহত ছানু মিয়া ও ঘটনাকারী আহাদ মিয়ার বাড়ি। বাড়ির উত্তর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বিজনা নদীর কান্দিতে জাল দিয়ে মাছ ধরার জন্য কচুরিপানার ধল তৈরি করেন ছানু মিয়া, কিন্তু ছানু মিয়া যে জায়গাতে কচুরিপানার ধল তৈরি করেন এ জায়গাটি আহাদ মিয়ার বাড়ির সীমানার বরাবর বলে দাবী করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটর এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে আহাদ মিয়ার ঘরে থাকা দেশিয় ফিকল দিয়ে আঘাত করলে ছানু মিয়ার বুকের বাম দিকে রক্তাক্ত জখম হয়ে ঘটনা স্থলেই তার মৃত্যু হয়। এর পর নিহতের ভাই চুনু মিয়া এগিয়ে আসলে তাকে ও আঘাত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে চুনু মিয়ার মুখে ও ঘাড়ে আঘাত লাগলে মাঠিতে লুটিয়ে পরে। পরে আশ পাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। ঘটনার পর পরই ঘাতক আহাদ ও তার বাবা-মা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা। ঘাতক আহাদের পিতার বাড়ি নবীগঞ্জ উপজেলার তিমির পুর গ্রামে বলে জানা গেছে। তিনি বিগত প্রায় ৫ বছর ধরে উল্লেখিত স্থানে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলেন। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ লিয়াকত আলী গোপলার বাজার তদন্দ কেন্দ্রের ইনচার্জ এস.আই আরিফ সহ এক দল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘাতক সহ আটককৃত ৩ জনকে থানায় নিয়ে যান। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত্রের জন্য হবিগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের এক আত্মীয় জানান আহত চুনু মিয়া অবস্থা আশংকাজনক ও খুনের ব্যপারে মামলা দায়ের করা হবে।