সীমান্তে নদীপথে আসছে চোরাই কয়লা : সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকা রাজস্ব
কামাল হোসেন,তাহিরপুর: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে এখন কয়লা চোরাচালানীদের তৎপরতা বেপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে তাহিরপুর সীমান্তের যাদুকাটা নদী দিয়ে প্রতি দিন রাতের আধাঁরে আসছে হাজার হাজার বস্তা চোরাই কয়লা। জানাযায়, লাউড়েরগড় সীমান্তের ১২০৩ এর ৬ এস পিলার সংলগ্ন সীমান্ত নদী যাদুকাটা দিয়ে নৌকা যোগে চোরাই পথে স্থানীয লাউড়েরগড় বিজিবির সদস্যদের যোগসাযোসে প্রতিরাতেই চোরাচালানীরা নিরাপদে নিয়ে আসছে প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার বস্তা চোরাই কয়লা।জানাযায়, সুনামগঞ্জ-৮ বর্ডাগাড বিজিবির,লে. র্কনেল গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকারে কড়া নজরদারী তৎপরতায় মাঝে মধ্যে কয়লা চোরাচালান ও লাইনম্যান প্রথা কিছুদিন বন্ধ হলেও এখন আবারও স্থানীয় লাউড়েরগড় বিজিবি ক্যাম্পের প্রত্যক্ষ মদদে গত এক মাস যাবৎ লাইনম্যান নামক দুই র্সোসের মাধ্যমে ভারতীয় চোরাই কয়লায় প্রতি বস্তা ১শত টাকা চাঁদানিয়ে কয়লা চোরাচালানী সক্রিয়ভাবে শুরু করেছে চোরাকারবারিরা এমন অভিযোগ স্থানীয় এলাকাবাসী ও বাংলা কয়লা ব্যবসায়ীদের। সূত্রমতে জনাযায়, র্দীঘদিন যাবৎ তাহিরপুর সীমান্তের কয়লা শুল্কস্টেশন গুলো দিয়ে সবরকমের কয়লা আমদানী রপ্তানী বন্ধ থাকার কারনে অতি লাভের আশায় কয়লা ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা যাদুকাটা নদী দিয়ে ভারতীয় এলসির চোরাই কয়লা আনতে ভারতে গেলে প্রতি রাতেই ঘটছে অপৃতিকর ঘটনা।স্থানীয়রা জানায়, ১৭ অক্টোবর কয়লা আনতে ভারতের ছড়ে(বালুছড়ে) গেলে ভারতীয় বিএসএফ এর তাড়া খেয়ে এক বৃদ্ধ মহিলার মৃত্যু হয়। এবং গত ১৭ নভেম্বর রাতে যাদুকাটা নদী দিয়ে নৌকা নিয়ে চোরাই কয়লা আনতে গেলে নৌকা সহ লউড়েরগড় গ্রামের আবুবক্করের ছেলে কাদির মিয়(৩৫) বিএসএফ এর হতে ধরা পড়ে। পরে ঘোমাঘাট বিএসএফ ক্যাস্পে নিয়ে রাতবর শারীরিক নির্যাতন শেষে কাদিরকে পরদিন সকালে যাদুকাটা নদীর বালু ছড়ে ফেলে রেখে যায় বিএসএফ। পরে স্থানীয় লোকজন ও তার আতœীয় স্বজম তাকে উদ্দার করে আইনি জামেলে এড়াতে হাসপাতালে না নিয়ে সুনামগঞ্জে নিয়ে প্রাইভেট চিকিৎসা করায়। ।এবং গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২ টার সময় চোরাই কয়রা আনতে প্রায় শতাদিক নৌকা যাদুকাটা নদী দিয়ে ভারতের প্রবেশ করলে তখন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ প্রায় অর্ধশতাধিক নৌকা ধরে নিয়ে যায় এমন অভিযোগ স্থানীয় কয়লা ব্যবসায়ীদের। জানাযায়, বিএসএফ এর হাতে নৌকা রেখে কোন রখমে প্রানবাচিয়ে বাংলাদেশে আসা লাউড়েরগড় গ্রামের আব্দুলহক, রফিকুল, বাদশা মিয়া, আলী মুর্তুজা,শিমুলতলা গ্রামের শাহিবুর জানায়, রাতে ভারত থেকে এরসির চোরাই কয়লা আনতে তাদের সাথে প্রাশ ১শত থেকে দেড়শত নৌকা ভারতে গেলে হঠাৎ বিএসএফ তিনটি স্পিট নিয়ে তাদের কে তাড়া করলে তাদেও মত অনেকেই নৌকা রেখে প্রাণ বাচাতে নদীতে ঝাপদিয়ে বাংলাদেশে আসে এবং আবার অনেকেই ভারতের জঙ্গলে গিয়ে উঠে। গতকাল সরেজমিনে গেলে বেশ কয়েক জন বাংলা কয়লা ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিনিধিকে জানায়, লাউড়েরগড় বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার ইমাম হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদে এবং বিজিবির সিওর র্সোস পরীচয়দারী বিজিবির চোরাচালানী ম্মালার আসামী লাউড়েরগড় গ্রামের নুরু মিয়ার সহযোগীতায় রাতের বেলায় বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতিতে লাউড়েরগড় গ্রামের আল সামাদের ছেলে লাইনম্যান উফাজুল(৫০) ও সাহিদাবাদ গ্রামের আলী আকবরের ছেলে সামছুল(২৫) এর নেতৃত্ব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে যাদুকাটা নদীদিয়ে প্রতি রাতেই ছোট ছোট নৌকা যোগে চোরাইভাবে আসছে হাজার হাজার বস্তা এলসির চোরাই কয়লা। আর তাই বিজিবির লাইনম্যান উফাজুল ও সামছুল বিজিবির সদস্যদের উপস্থিতিতে প্রতি বস্তা চোরাই কয়লা বৈধ করতে নিচ্ছে ৫০ টাকা কওে চাঁদা। যারফলে প্রতিদিনেই সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব। তারা আরও বলেন, শুধু তাই নয় সিও স্যার বাংলাদেশের বালু ছড় থেকে কুড়াণো কয়লা উনমুক্ত করে গেলেও লাউড়েরগড় বিজিবি লাইনম্যান উফাজুল ও সামছুল তা থেকেও প্রতি বস্তায় ৩০ টাকা করে নিচ্ছে। অপরদিকে পাথর শ্রমিকরা ভারত সীমান্তে বিতরে গিয়ে পাথর আনার জন্য তাদের কাছ থেকে প্রতি ফুঁট পাথরে ১ টাকা করে চাঁদা নিচ্ছে শাহিদাবাদ গ্রামের রশিদ মিয়ার ছেলে সাইফুল্লা (২৭)। এবং তার জানায়, চোরাই পথে প্রতিরাতে ২ থেকে ৩ হাজার বস্তা চোরাই কয়লা এবং ১৫ খেকে ২০ হাজার ফুঁট পাথর আসছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং তা থেকেলাউড়েরগড় বিজিবি সদস্যদের যোগসাযোসে লাইনম্যান উফাজুল ও সামছুল লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করছে আএমন আভিযোগ করেন স্থানীয এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা। এব্যপারে লাউড়েরগড় বিজিবির লাইনম্যান (র্সোস)উফাজুল ও সামছুল সাথে যোগাযোগ করাহলে, তারা প্রতি বস্তা চোরাই কয়লার জন্য ৩০ টাকা করে চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি সিকার করে বলে, ভাই আগের মত হয় না। এখন কয়লার বস্তা কম আয়(আসে), টাকা তোলার সময় বিজিবি কি তোমাদের সাথে তাকে এমন প্রশ্নের জবাবে তার বলে, রাতে টাকা তোলি, অর এসম বিডিআর(বিজিবি) বালু ছড়ে কারইয়া (দাড়িয়ে) থাকে আর আমরা নদীর পাড়ে টাকা লই। আচ্ছা ভাই আপনে কিছু কইরেন না আমি ক্যাম্পে গিয়া স্যারের সাতে কথা কইয়া আপনা ব্যবস্থা করতাছি ভাই দেইখেন অপনি কিছু কইরেন না। এব্যপারে লাউড়েরগড় বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার ইমাম হোসেনের সাথে তার মোঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে, টাকা নেওয়ার কথা অসিকার করে বলেন, আমি কিছু জানিনা। এখানে কয়লার ব্যবসায়ীরা আছে তাদের সাথে কথা বলেন তারাই জনে কয়লা আসে কিনা এ কথা বলে তিনি মোবাইলের লাইন কেটে দেন।