ধানমন্ডি থানায় লতিফ সিদ্দিকীর আত্মসমর্থন : জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ

Latif Siddikiসুরমা টাইমস ডেস্কঃ আসাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। রোববার দিবাগত রাতে দেশে ফেরা সাবেক এই আওয়ামী লীগ নেতা মঙ্গলবার দুপুরে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে ঢাকার সি এম এম আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। লতিফ সিদ্দিকী আদালতে জামিন প্রার্থনা করেননি। ফলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান এ আদেশ দেন। তবে শুনানিতে লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। বাদী পক্ষে আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এএনএম আবেদ রেজা নিজেই শুনানি করেন।

এএনএম আবেদ রেজা শুনানি শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালত লতিফ সিদ্দিকীকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন। আদালতের এ আদেশে আমরা খুশী। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করি।’ এ সময় লতিফ সিদ্দিকীকে তিনি দেশের কুলাঙ্গার বলেও মন্তব্য করেন।

ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১টা ২২ মিনিটে তিনি ধানমন্ডি থানায় এসে আত্মসমর্পণ করলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
লতিফ সিদ্দিকীকে এই মুহূর্তে ঢাকা মহানগর হাকীম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনানের আদালতে নেয়া হয়েছে। তাকে কাঠকগড়ায় তোলা হয়েছে শুনানির জন্য। এই আদালতে তার চারটি মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষ থেকে জামিনের আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে আত্মসমর্পণের পর লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে নেওয়া হয়। তাকে ঢাকা সিএমএম আদালতের সেফ কাস্টডিতে নিয়ে রাখা হয়।
বেফাঁস বক্তব্য দিয়ে মন্ত্রিত্ব ও দলীয় পদ খোয়ানো বিতর্কিত এই রাজনীতিক মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় আত্মসমর্পণ করেন। গত ২৮শে সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে এক আলোচনা সভায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.), হজ এবং তাবলীগ জামায়াত নিয়ে কটুক্তি করেন লতিফ সিদ্দিকী। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়েও বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করেন তিনি। লতিফ সিদ্দিকীর এ মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় উঠে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠে সব মহল থেকে। প্রধানমন্ত্রী তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিস্কার করেন। পরে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম এবং সাধারণ সদস্য পদ থেকেও তাকে বহিস্কার করা হয়। যদিও সংসদ সদস্য হিসেবে এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন তিনি।