রাগিব আলীর বিরুদ্ধে চুক্তিপত্র, ইজারা চুক্তিপত্র জালিয়াতির অভিযোগ

লোভাছড়া বাগানের অবৈধ চুক্তিপত্র বাতিল ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি

Ragib Ali 2সুরমা টাইমস ডেস্কঃ রাগিব আলী কর্তৃক অবৈধভাবে সৃজনকৃত চুক্তিপত্র, ইজারা চুক্তিপত্রসহ সকল চুক্তিপত্র বাতিল, কানাইঘাটের লোভাছড়া চা বাগান আত্মসাতের অপচেষ্টা ও এবং বাগানের স্বত্তাধিকারী মুক্তিযোদ্ধা জেমস্ লিও ফার্গুসন ও তার পরিবারের সদস্যসহ কানাইঘাটের নিরীহ ব্যক্তিদের উপর থেকে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্থানীয় এলাকাবাসী স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। রবিবার বিকালে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর মিছিল সহকারে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

Ragib Aliস্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়- কানাইঘাট উপজেলার লোভাছড়া চা বাগানের মূল স্বত্তাধিকারী ছিলেন জেমস্ আর্থার ফারগুসন। এর আগে চা বাগানটির স্বত্তাধিকারী ছিল লোভা টি কোম্পানী। ১৯৬৫ সালে তৎকালীন সরকার স্বত্ত দখল ত্যাগ করেন। তখন থেকে জেমস্ আর্থার ফারগুসন প্রয়োজনীয় রিটেনশন সার্টিফিকেট সরকারের কাছ থেকে নিয়ে বাগান পরিচালনা করে ভোগদখল করে আসছিলেন।
পরবর্তীতে তিনি নিজ কন্যা জুন ফারগুসন বরাবরে উইল সম্পাদন করে মৃত্যুবরণ করেন। তার কন্যা জুন দখলকারী থাকা অবস্থায় পরবর্তীতে তার পুত্র জেমস লিও ফারগুসন ও কন্যা আর্থার বরাবর উইল সম্পাদন করে মৃত্যুবরণ করেন। বর্তমানে তার পুত্র বাগান ভোগদখল করে আসছেন।
বর্তমান স্বত্তাধিকারী মুক্তিযোদ্ধা জেমস লিও ফারগুসন বিদেশে অবস্থানকালে রাগিব আলী প্রতারণামূলকভাবে অবৈধ কাগজপত্র তৈরী করে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং চা বোর্ডের পূর্বানুমতি না নিয়েই নিজ নামে অংশীদারী চুক্তিপত্র সৃজন করে একটি রেজিষ্টার কোম্পানী লোভাছড়া টি কোম্পানী লিমিটেড নামে ইজারা চুক্তি গ্রহণ করে।
এমনকি বাগান দখলের পায়তারা করলে স্বত্তাধিকারী জেমস্ লিও ফারগুসন ২০১০৪ সালের ১৩ নভেম্বর রাগিব আলীর বিরুদ্ধে অবৈধ চুক্তি, ইজারাচুক্তিসহ সকল চুক্তি বাতিলের আবেদন করে স্বত্ত মোকদ্দমা করেছেন। রাগিব আলী এই মামলা অবগত হয়ে ২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর তার পেটোয়া বাহিনী বাগান দখল ও প্রকৃত স্বত্তাধিকারী মুক্তিযোদ্ধা জেমস্ লিও ফারগুসনকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের চেষ্টা করে। শ্রমিকদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে রাগিব আলীর সন্ত্রাসী বাহিনী ব্যর্থ হয়। এরপর রাগিব আলী জেমস্ লিওসহ তার আত্মীয়স্বজন ও নিরীহ মানুষকে আসামি করে মামলা করেন।
তারা স্মারকলিপিতে ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে লোভাচড়া চা বাগান রক্ষার দাবি জানান।