
জিন্দাবাজারে ছাত্রদলের সংঘর্ষের সময় বিদ্রোহীরা জ্বালিয়ে দেয় মহানগর ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক আবু সালেহ লোকমানের মোটরসাইকেল। এ সময় তার পক্ষে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মাক্সুক আহমেদ। উপরের ছবিতে মহানগর ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক লোকমান আহমেদের গলা টিপে ধরছেন পদবঞ্চিত বিদ্রোহী নেতা রেজাউল করিম নাচন।
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ নগরীতে ছাত্রদলের বিবদমান দুই বলয়ের সংঘর্ষে অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন। এসময় ৫টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে সাড়ে ৪টায় নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিএনপি’ নেতা ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজ’র ৩০ মাস পূর্তি উপলক্ষে তার সন্ধান দাবিতে শুক্রবার বিকেলে ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ ও বিএনপি অঙ্গ সংগঠন ব্যানারে মিছিল-সমাবেশ শেষে কিছু সংখ্যক নেতাকর্মী মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মো. লোকমান ও ছাত্রদল নেতা আফসরের নেতৃত্বে জিন্দাবাজার থেকে চৌহাট্টা হয়ে নিজ নিজ এলাকায় যাচ্ছিলেন। পথে শহীদ মিনারের সম্মুখে সিলেট ছাত্রদলের বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় বিদ্রোহীরা ৫টিমোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং জহিরুল নামক এক ছাত্রদল কর্মীকে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন। সংঘর্ষে বিদ্রোহী গ্রুপের নেতৃত্ব দেন সাফেক মাহবুব, রেজাউল করিম নাচন, মাহবুবুল হক চৌধুরী, আহমেদ চৌধুরী ফয়েজ প্রমুখ। মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মো. লোকমান বলেন, ছাত্রদল নামধারী সন্ত্রাসীরা ছাত্রদলের ৫টি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে ও জহিরুল নামক এক কর্মীকে মেরে আহত করেছে। অপরদিকে সিলেট ছাত্রদলের বিদ্রোহী গ্রুপের নেতা রেজাউল করিম নাচন ‘সংঘর্ষে আমাদের কেউ আহত হয়নি’ এ কথা বলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন রেখে দেন। সিলেট বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ বিকাশ দাশ জানান, ছাত্রদলের দু’পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।