সিলেটে সোনার খনির সন্ধান : শুক্রবার কূপ খনন শুরু

Gold Golapgonjসুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেটের গোলাপগঞ্জে এবার ‘তরল সোনা’ খ্যাত তেল উত্তোলন করতে যাচ্ছে বাপেক্স। পেট্রোবাংলার অধীনস্থ এ সরকারি প্রতিষ্ঠানটি ২শ’২০ কোটি টাকা ব্যয়ে কৈলাশটিলা গ্যাস ক্ষেত্রের ৭নং কূপের খনন করতে যাচ্ছে। শুক্রবার এ কূপের খনন কাজ শুরু হবে।
যদিও ২০১৩ মালের ১৭ সেপ্টেম্বর সিলেট সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তেল ও গ্যাসের নতুন মজুদাগার এই কূপটির খনন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তবে বাপেক্সের রিগ সঙ্কটের কারণে মূল খনন কাজ এতোদিন শুরু করা যায়নি।
এ কূপ থেকে দৈনিক ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তলিত হওয়ার পাশাপাশি দৈনিক অপরিশোধিত অন্তত: আরো ৫শ ব্যারেল তেল বা ‘তরল সোনা’ উত্তোলনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক হারুনূর রশিদ। তিনি বলেন, তেল পাওয়া না গেলেও গ্যাসের বিষয়টি নিশ্চিত। আগামী ৩ মাসের মধ্যেই এ কূপের খনন কাজ শেষ হওয়ার কথা।
এ ব্যাপারে সিলেট গ্যাস ফিল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘কৈলাশটিলা ক্ষেত্রের ৭নং কূপটি খনন কাজ শুক্রবার শুরু হচ্ছে। তেল বা গ্যাস উত্তোলন করতে তিনমাস সময় লাগবে। এই কূপ থেকে প্রথমে তেল উত্তোলনের চেষ্টা করা হবে। তেল উত্তোলন লাভজনক না হলে গ্যাস উত্তোলন করা হবে।’
এর আগে বাপেক্স সিসমিক জরিপ চালিয়ে এই নতুন কূপে তেল ও গ্যাসের সন্ধান পায়। জরিপের ফলাফল সঠিক হলে এ কূপ থেকে প্রতিদিন ৫০০ ব্যারেল জ্বালানি তেল উত্তোলন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লি. (এসজিএফএল) সূত্র।
কূপটিতে ৪৪ মিলিয়ন ব্যারেল তেল ও ৬৫৮ বিসিএফ গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে সাসমিক জরিপে জানা গেছে।
এসজিএফএল সূত্রে জানা যায়, সিলেটের গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা থেকে এতোদিন গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছিল। গ্যাসের সাথে পাওয়া কনডেনসেড পরিশোধন করে জ্বালানি তেল উৎপাদন করা হতো। ২০১০-১২ সালে বাপেক্সের কারিগরি সহায়তায় সিলেটের কৈলাশটিলা, রশিদপুর ও হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রে নতুন করে ত্রিমাত্রিক ভূতাত্ত্বিক (থ্রিডি সাসমিক) জরিপ চালানো হয়। জরিপে কৈলাশটিলা ও হরিপুরে গ্যাস ও তেল এবং রশিদপুরে শুধুমাত্র গ্যাস প্রাপ্তির সম্ভাবনা দেখা দেয়।
এরপর কৈলাশটিলার ৭নং কূপ খননের উদ্যোগ নেয়া হয়। ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিকে এই কূপ খননের কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
সিসমিক জরিপ থেকে জানা যায়, কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্রের ৭নং কূপে ৪৪ মিলিয়ন ব্যারেল তেল ও ৬৫৮ বিলিয়ন কিউবেক ফুট (বিসিএফ) গ্যাস মজুদ রয়েছে। জরিপ অনুযায়ী তেলের মজুদ সঠিক হলে প্রতিদিন এ কূপ থেকে ৫০০ ব্যারেল তেল উত্তোলন সম্ভব হবে। যা দেশের মোট চাহিদার দশমিক ৫ ভাগের যোগান দেবে। আর তেল উত্তোলন লাভজনক না হলে ওই কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হবে। প্রতিদিন ওই কূপ থেকে উত্তোলন করা সম্ভব হবে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।