নিউজার্সিতে বাঙালির বিজয় পতাকা : স্থায়ী শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

নিউজার্সির পেটারসনের ওয়েস্ট সাইড পার্কে স্থায়ী শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। ছবি- এনা।
নিউজার্সির পেটারসনের ওয়েস্ট সাইড পার্কে স্থায়ী শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। ছবি- এনা।

নিউইয়র্ক থেকে এনা: প্রবাসে বাংলাদেশীদের বিজয়ের ধারা অব্যাহত রয়েছে। এবার বাঙালির বিজয় পতাকা উড়েছে বাংলাদেশী অধ্যুষিত নিউজার্সির পেটারসনে। নিউজার্সি বাংলাদেশীদের প্রচেষ্টায় পেটারসন সিটির সহযোগিতায় সেখানে নির্মাণ করা হচ্ছে স্থায়ী শহীদ মিনার। পেটারসন সিটির ওয়েস্ট সাইড পার্কে নিউইয়র্ক সময় অনুযায়ী গত ১১ অক্টোবার সকাল সাড়ে ১১টায় স্থায়ী শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কন্স্যুলেটের কন্সাল জেনারেল শামীম আহসান এবং পেটারসন সিটির মেয়র জোয়ী টেরেস। এ সময় বাংলাদেশী কম্যুনিটির নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সিটি কাউন্সিলম্যান টি জে ব্রেন্ট, ব্রস জেমস, কাউন্সিলম্যান ড. নূরনবী, ওয়ার্ল্ড হোম সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ জে আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান রানা, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জে মোল্লা সানি, সহ সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জেড চৌধুরী জুয়েল, মৌলবীবাজার ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ জুবায়ের আলী, আবুল হোসেন সুরমান প্রমুখ।
শহীদ মিনারের জন্য উদ্যোগ গ্রহণকারী সংগঠন ওয়ার্ল্ড হোমসের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান রানা এনাকে জানান, নিউজার্সিতে স্থায়ী শহীদ মিনার বানানোর উদ্যোগ দীর্ঘ দিন থেকেই কিন্তু আমরা সফল হতে পারছিলাম না। কারণ আমরা যারা নিউজার্সিতে আছি তাদের মধ্যে কেউ কেউ এর বিরোধিতা করেছিলেন। অবশেষে আমাদের সফল প্রচেষ্টায় ৫ বছর পর পেটারসন সিটি আমাদের ২০১২ সালে জায়গা বরাদ্দ দেয় পেটারসন সিটির ওয়েস্ট সাইড পার্কে। জায়গা বরাদ্দ দেয়ার পরও অর্থের কারণে আমরা কাজ শুরু করতে পারছিলাম না। আমরা ২০১৩ সালে শহীদ মিনার বানানোর স্থানটি নির্ধারণ করে উদ্বোধীন অনুষ্ঠান করেছিলাম একই বছরের নভেম্বর মাসে। এনার এক প্রশ্নের জবাবে জনাব রানা জানান, আমাদের ফান্ড দেয় ওপেন হোমস ফান্ড। তারা আমাদের হান্ড্রেড এন্ড ৫০ থাইজেন্ট ডলার বরাদ্দ দেয়। অর্থ পাওয়ার সাথে সাথেই আমরা ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করি। তিনি বলেন, আশা করছি ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যেই স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে। শহীদ মিনার নির্মাণ সম্পন্ন হলেই আমরা আগামী বছর থেকে একুশে ফেব্রুয়ারি সেই শহীদ মিনারে পালন করতে পারবো।
তারা বলেন, প্রবাসে এটা বাঙালির বিজয়। আমরা এখন গর্ব করে বলতে পারবো আমাদের একটি স্থায়ী শহীদ মিনার রয়েছে। যারা আমাদের ভাষা দিয়েছেন তাদের জন্য আমরা কিছু করতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করছি। কন্সাল জেনারেল শামীম আহসান বলেন, এটি শুধু ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান বা শ্রদ্ধা নয়, এখানে বাঙালির বিজয় পতাকা উড়লো। উল্লেখ, এর আগে ২০১৩ সালেই নিউজার্সির পেটারসনের একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছিলো জালালাবাদ স্ট্রিট।