নবীগঞ্জে দোকান ঘরের দখল নিয়ে টানটান উত্তেজনা : বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা

রাতে পাহারা দিচ্ছে অর্ধশতাধিক সসশ্র যুবক

প্রভাবশালী চক্রের কাছে জিম্মি একটি প্রবাসী পরিবার

SAM_4340 copyনবীগঞ্জ প্রতিনিধি: নবীগঞ্জ শহরের প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত শাহজালাল হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্টের দখল নিয়ে দুই পরে মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষেও ঘটনা ঘটতেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এক পরে আবেদনের প্রেেিত পুলিশ সংঘাত এড়াতে পুরাতন ওই দোকান গৃহের সংস্কার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। অপরদিকে ভূমি ও গৃহের মালিকপরে লোকজন ঘরে অবস্থান করলেও প্রতিপরে লোকজন দিন-রাত বাইরে সতর্ক পাহারা দিচ্ছে।
জানা যায়,শহরের ওসমানী রোডের বাসিন্দা মরহুম শেখ মোঃ মনর মিয়া বিভিন্ন সময়ে হাট নবীগঞ্জ মৌজার এসএ ২১৭ দাগের প্রায় ৩২ শতাংশ ভূমি একাধিক মালিকের নিকট থেকে রেজিস্টারী দলিলে খরিদ করেন। প্রায় ৩০ বছর পূর্বে শেখ মনর মিয়া নবীগঞ্জ পশু ও প্রাণী সম্পদ অফিসের সন্নিকটে প্রায় ৫ শতাংশ ভূমিতে পাকা পিলার দিয়ে আধাপকা গৃহ নির্মাণ করে শাহজালাল হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট ব্যবসা চালু করেন। কয়েক বছর আগে শেখ মনর মিয়ার মৃত্যু হলে তার পুত্ররা ব্যবসার দেখভাল করতে থাকেন। সম্প্রতি শেখ মনর মিয়ার বড় ছেলে শেখ স্বরাজ মিয়া লন্ডন থেকে দেশে এসে তার পিতার নির্মিত দোকান ঘরের কাঠ ও টিন পরিবর্তন করার কাজে হাত দেন। কাজ প্রায় সমাপ্তির পর্যায়ে টিন মারার সময় শহরের আনমনু গ্রামের বাসিন্দা সাহিদ মিয়া ৫০/৬০জন লোক নিয়ে বাধা দেন। পরে সাহিদ মিয়া থানায় আবেদন করলে পুলিশ শান্তি শৃৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে উভয় পকে কোন ধরনের কাজ করতে নিষেধ করে নোটিশ দেয়। প্রায় পকাল ধরে এ নিয়ে উভয় পরে লোকদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। মরহুম শেখ মনর মিয়ার পরিবারের দাবি হাল জরিপে তারা ওই দোকান ঘরের ৫ শতাংশ ভূমির রেকর্ড পেয়েছেন। তাদের ওই হাল রেকর্ডে সাহিদ মিয়া সেটেলমেন্টে আপত্তি,৩০ ও ৩১ ধারায় মামলা করে হেরে যান। শেখ মনর মিয়ার আরেক পুত্র শেখ সাইদুর রহমান বিষয়টি জানতে পেরে আমেরিকা থেকে দেশে এসে স্থানীয় মুরব্বিদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন। সাইদুর রহমানের অভিযোগ প্রভাব ও লাঠির জোর দেখিয়ে কোন স্বত্ব না থাকা সত্বেও তাদেরকে হয়রানি করছেন সাহিদ মিয়া । প্রবাসী পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রভাবশালী ও লাঠিয়াল চক্রের কাঝে জিম্মি হয়ে পড়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম,পৌরসভার প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরী ও পৌর কাউন্সিলর যুবরাজ গোপ সালিশের ব্যবস্থা করে একাধিকবার বেঠক করেন। সর্ব শেষ ঈদুল আজহার আগেরদিন সালিশবৃন্দ সরেজমিনে এসে সার্বিকদিক বিবেচনায় রেখে দোকান ঘরের দখলে অবস্থানকারী শেখ স্বরাজ মিয়াকে ঘরের চালে টিন মারার জন্য বললে সাহিদ মিয়া এত আপত্তি দেন। ফলে সালিশি উদ্যোগ ভেঙ্গে যায়। এর পর উভয় পরে লোকদের মাঝে উত্তেজনা আরো বেড়ে যায়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পরে নিকটাত্মিয়সহ স্বস্ব গ্রামের লোকদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে যে কোন সময় বড় ধরনের কোন সংঘর্ষ ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গতকাল রাতে সাহিদ মিয়ার সাথে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে নবীগঞ্জে গত মাসে অনুষ্ঠিত ওপেন হাউজ ডে-তে আলোচনা হয়েছে।