লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত

Latif Siddikiসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নিউইয়র্কে হজসহ নানা আপত্তিকর মন্তব্য করায় তাকে অব্যাহতি দেয়াার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপনও প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
লন্ডন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।
তবে এবিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। ফোনেও প্রধানমন্ত্রী তাঁকে কিছু বলেননি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিব আবদুস সোবহান সিকদারও জানিয়েছেন, তিনিও কিছু জানেন না। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী বিদেশে রয়েছেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে নিউইয়র্কে জ্যাকসন হাইটসের একটি হোটেলে স্থানীয় টাঙ্গাইল জেলা সমিতির দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাসুল সা., পবিত্র হজ, সজিব ওয়াজেদ জয় ও তাবলীগ জামায়াতের বিরুদ্ধে তিনি বিরূপ মন্তব্য করেন।
পবিত্র হজ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমি কিন্তু হজ আর তাবলিগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী। তবে তার চেয়েও হজ ও তাবলিগ জামাতের বেশি বিরোধী। তিনি বলেন, এ হজে যে কত ম্যানপাওয়ার নষ্ট হয়। হজের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরবে গিয়েছে। এদের কোনো কাম নাই। এদের কোনো প্রডাকশন নাই। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা দিয়ে আসছে।
মন্ত্রী বলেন, এভারেজে যদি বাংলাদেশ থেকে এক লাখ লোক হজে যায় প্রত্যেকের পাঁচ লাখ টাকা করে ৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়। হজ কিভাবে এসেছে এর ব্যাখ্যা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আব্দুল্লাহর পুত্র মোহাম্মদ চিন্তা করল এ জাজিরাতুল আরবের লোকেরা কিভাবে চলবে। তারাতো ছিল ডাকাত। তখন একটা ব্যবস্থা করলো যে আমার অনুসারীরা প্রতিবছর একবার একসাথে মিলিত হবে। এরমধ্য দিয়ে একটা আয়-ইনকামের ব্যবস্থা হবে।
তাবলিগ জামাতের সমালোচনা করে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, তাবলিগ জামাত প্রতিবছর ২০ লাখ লোকের জমায়েত করে। নিজেদেরতো কোনো কাজ নেই। সারা দেশের গাড়ি-ঘোড়া তারা বন্ধ করে দেয়। তিনি তার বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তনয় সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিষয়েও বিরূপ মন্তব্য করেন। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্যে বলেন, কথায় কথায় আপনারা জয়কে টানেন কেন। ‘জয় ভাই’ কে। জয় বাংলাদেশ সরকারের কেউ নয়। তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ারও কেউ নন।