‘ইন্টার্ণ নার্সরা মানসিক অসুস্থ, তারা পেশার যোগ্য নয়’

ইন্টার্ণ চিকিৎসক পরিষদের সংবাদ সম্মেলন

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জয় সাহা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জয় সাহা।

সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ শিক্ষনবিশ নার্সদের মানসিক অসুস্থ ও তারা এই পেশার যোগ্য নয়। অভ্যন্তরীণ ঘটনার জন্য মিডিয়ার সামনে ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের তারা সন্ত্রাসী বলে আখায়িত করেছে। হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছেনা বলে অপপ্রচার চালিয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ইন্টার্ণ চিকিৎসকরা এ মন্তব্য করেন। এসময় লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ণ চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জয় সাহা।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়-১৮ মে রাত সাড়ে ১২ টায় একজন নতুন রোগীর স্যালাইনসহ ঔষধপত্রাদি ঠিকমত দেওয়ার জন্য ৪র্থ তলার ৫নং ওয়ার্ডে কতব্যরত ইন্টার্ণ চিকিৎসক তোফায়েল শিক্ষানবিশ নার্স প্রলয়কে ডাকেন। কিন্তু প্রলয় চিকিৎসকের কথা না শুনে শিক্ষানবিশ নার্স রাজিয়া সুলতানার সাথে গল্পে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বিষয়টি চিকিৎসক তোফায়েল সিনিয়র স্টাফ নার্স নাসিমা বেগমকে অবহিত করেন। কর্তব্য অবহেলার কারণ জানতে চাইলে ইন্টার্ণ চিকিৎসক তোফায়েলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন
প্রলয়।
ইন্টার্ণ চিকিৎসক তোফায়েল বিষয়টি সিনিয়র সার্জারি ইউনিট-২ এর সহকারি রেজিস্টার ডা. আবু বকর সিদ্দিকীকে জানান।
এরই মধ্যে ইন্টার্ন নার্সরা মোবাইল ফোনে ১০-১৫ জন বহিরাগতদের ডেকে নিয়ে আসে। তারা ওয়ার্ডে এসে সহকারী রেজিস্টার ডা. আবু বকর সিদ্দিকী, ইন্টার্ন চিকিৎসক তোফায়েল আহমেদ, জনি লাল দাশ, রিফাত আল ইসলামকে গালিগালাজ ও মারধর করে। এ অবস্থায় বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে এগিয়ে আসলে ডা. বিষ্ণু ও রেজিস্টার হাসিব এগিয়ে আসলে তাদেরকেও লাঞ্ছিত করে ইন্টার্ন নার্সরা।
এসময় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ৫নং ওয়ার্ডে জিম্মি থাকা সহকর্মীদের উদ্ধারে এগিয়ে গেলে ইন্টার্ন নার্সদের সাথে হাতাহাতি হয়। এতে নার্স ও চিকিৎসকদের কয়েকজন আহত হন।
ওই রাতেই হাসপাতালের পরিচালক ও উপ পরিচালকের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা হয় এবং উভয় পক্ষ স্ব স্ব দায়িত্বে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ারও আশ্বাস দেন।
কিন্তু পরেরদিন সকালে কতিপয় উশৃঙ্খল ইন্টার্ন নার্স হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে জমায়েত হয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের কথা জানান। তারা কর্মবিরতি পালনের মাধ্যমে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে এমন গুজব ছড়িয়ে হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালান।