নেতা শফি চৌধুরীর বিরুদ্ধে মুখ খুললেন জামায়াত নেতা মাওলানা লোকমান

shofi Chowdhuryসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে পরাজয়ের পর এবার সংবাদ সম্মেলন ডেকে সাবেক সাংসদ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শফি চৌধুরীর বিরুদ্ধে কথা বললেন জামায়াত নেতা মাওলানা লোকমান আহমদ। নির্বাচনের পর শফি চৌধুরীর দেয়া আপত্তিকর বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে মানহানি মামলা করারও হুমকি দেন তিনি। নির্বাচনে তার পরাজয়ের পেছনে শফি চৌধুরীর জোট বিরোধী বক্তব্য এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর কারচুপি ও পুলিশের হয়রানির অভিযোগ করেন তিনি।
সোমবার দুপুরে সিলেট নগরীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা লোকমান বলেন, ১৯ জোটের সমর্থনে আমি নির্বাচনে অংশ নিলেও সিলেট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শফি আহমদ চৌধুরী বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আহমদের পক্ষে অবস্থান নেন। নির্বাচনের আগে তিনি আমাকে ও জামায়াত-শিবিরকে জড়িয়ে অব্যাহতভাবে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। লোকমান আহমদ বিএনপি নেতা শফি চৌধুরীকে আওয়ামী লীগের এজেন্ট উল্লেখ করে বলেন- নির্বাচনের পর পরই আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু জাহিদকে পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। ‘দক্ষিণ সুরমাবাসীকে আল্লাহতায়ালা রক্ষা করেছেন’ শিরোনামের শফি চৌধুরীর দেয়া বিবৃতিকে পাগলের প্রলাপ বলে আখ্যায়িত করেন লোকামান। মাওলানা লোকমান বলেন-আমি গত ৫ বছর নিজের যোগ্যতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে সততার সাথে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। দক্ষিণ সুরমাবাসীকে নিয়ে শফির বক্তব্য পত্রিকায় ঘোষণা দিয়ে প্রত্যাহার না করা হলে মানহানির মামলা করবেন বলে জানান লোকমান। শফি চৌধুরীকে ইঙ্গিত করে লোকমান বলেন, পুকুর থেকে ত্রাণের ডেউটিন উদ্ধার কিংবা ঘোড়াকে খাওয়ানোর জন্য গরীবের রিলিফের বিস্কুট আত্মসাতের যোগ্যতা আমার নেই। এখন পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের কোন অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি। শফি চৌধুরী তাই হয়তো আমাকে অযোগ্য প্রার্থী মনে করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লোকমান অভিযোগ করে বলেন, গত ১৫ মার্চের নির্বাচনের আগেই আমার কর্মী-সমর্থককে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। এছাড়াও নির্বাচনের দিন সরকার দলীয় প্রার্থীর লোকজন আমার পক্ষের এজেন্টদেরকে মারধর করে কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট কাস্টও করা হয়েছে।