সরকারকে চাপ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভুল করছে : মুহিত

Muhitআগামী বাজেটের আকার আড়াই লাখ কোটি টাকা হবে বলে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য বর্তমান সরকারকে চাপ দিয়ে ভুল করছে।
একই পথে হাটছে যুক্তরাজ্যও। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রকে মনে রাখতে হবে এ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত বৈধ সরকার। এখানে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোন সুযোগ নেই। মধ্যবর্তী নির্বাচনের জন্য ওকালতি না করতে এ দুই দেশের প্রতি আহবান জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, তারা বিএনপির কিছু দুষ্টু বুদ্ধির লোকের কারণে এসব করছে। মন্ত্রী শুক্রবার সিলেটের কুমারগাঁওয়ে ২৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার বেসরকারি শাহজাহান উল্লাহ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
দেশি-বিদেশি চাপে সরকার মধ্যবর্তী নির্বাচনের দিকে যাবে কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘শোনো, কতোগুলো বিষয় আছে। এই সরকার বৈধ সরকার, আমেরিকা এটা ভুল করছে, অন্যরাও ভুল করছে। বিএনপির দুষ্টু বুদ্ধির জন্য তারা এটা করছে।’
মুহিত বলেন, ‘মানুষ ভোট দিয়েছে। আমরা নির্বাচিত হয়েছি। আমরা বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে অফার করেছিলাম। তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাওয়ার মত অযথা বোগাস কথাবার্তা না বলতে। ডোন্ট টক অ্যাবাউট ইট, ইফ ইউ আর সেনসেবল।’
তিনি বলেন, ‘তারা এসব কানে তোলেনি। কিন্তু বিএনপি এখন যেভাবে এগাচ্ছে, তাতে সংলাপের ভবিষ্যত নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছি না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি, সরকার ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। সুতরাং আমরা ৫ বছরই ক্ষমতায় থাকব।’
অর্থমন্ত্রী মধ্যবর্তী নির্বাচনের সম্ভাবনা নাকচ করে বলেন, ‘সরকার যখন বসেছে, সরকারকে পাঁচ বছর থাকার কথা মাথায় নিযেই কাজ করতে হবে, নইলে তো কাজ করতে পারবে না। কারণ সরকারের তো একটা লক্ষ্যমাত্রা থাকবে, ইফেকটিভ গভমেন্ট হতে হবে। বিএনপির মত গভমেন্ট নয়।’
নতুন সরকারের প্রথম অর্থবছরের বাজেট পরিকল্পনা নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সরকার ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে এবং এবার বাজেটের আকার হতে পারে অন্তত আড়াই লাখ কোটি টাকা।’

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনে বর্তমান সরকার সফল হয়েছে। এখন আর আগের মতো লোডশোডিং নেই। আমরা গতবার ক্ষমতায় আসার সময় মাত্র তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। আর চাহিদা ছিল তার দ্বিগুণ। আমরা ক্ষমতায় আসার পর এ ব্যাপারে মনযোগ দেই এবং দ্রুত প্রকল্প বাস্তাবায়নের মাধ্যমে ৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হয়েছি। কিছু দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ১০ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাবে। সিলেটে আরো ২০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে শিগগির।